Our Location
1310 Keraniganj, Dhaka.
Dhaka, Bangladesh.
ইফতার বাংলাদেশের রমজান মাসের একটি বিশেষ অংশ। প্রতিদিন সূর্যাস্তের পর ইফতারের সময় নানা রকমের মুখরোচক খাবার খাওয়া হয়। রমজান মাসে ইফতারের খাবারের তালিকা তৈরি করা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ সময় শরীরকে সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার বেছে নেওয়া খুবই জরুরি। অনেকেই ইফতারে কি কি খাবার রাখবেন তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তাই, ইফতারের জন্য কিছু সহজ এবং সুস্বাদু খাবারের তালিকা তৈরি করা হলে তা আপনাকে অনেক উপকারে আসবে। এই তালিকায় বিভিন্ন ধরণের ফল, পানীয়, স্ন্যাক্স এবং প্রধান খাবারের পরামর্শ থাকবে। এতে ইফতার সময়ের খাবার আরও উপভোগ্য এবং স্বাস্থ্যকর হবে।
ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিন, শরীর ও মনকে সতেজ রাখুন।
সুস্থ থাকতে ইফতারে তাজা ফল, শাকসবজি ও পানি রাখুন।
ইফতার রোজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দীর্ঘ সময় উপবাস থাকার পর শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি পায় ইফতারের মাধ্যমে। ইফতারের খাবারের তালিকা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পুষ্টি ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ইফতারকে স্বাস্থ্যকর ও উপকারী করে তোলা সম্ভব।
দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ইফতারের মাধ্যমে শরীর আবার শক্তি ফিরে পায়। শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ হয় ইফতারের মাধ্যমে। তাই ইফতারে ফল ও পানিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
সঠিক পুষ্টি ইফতারের খাবারে থাকা খুব জরুরি। পুষ্টিকর খাবার শরীরকে সুস্থ রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ইফতারে প্রোটিন, ভিটামিন ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত। ফলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।
রমজান মাসে ইফতার একটি বিশেষ মুহূর্ত। সারাদিন রোজা রাখার পর, ইফতারের সময় আমরা সবাই চাই সুস্বাদু কিছু খাবার। তাই, আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো সুস্বাদু ইফতারের খাবারের তালিকা নিয়ে। চলুন, দেখি কি কি প্রিয় খাবার ইফতারে রাখতে পারেন এবং কিভাবে প্রচলিত রেসিপি দিয়ে সেগুলো তৈরি করবেন।
ইফতারে আমরা সাধারণত এমন কিছু খেতে চাই যা সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। নিচে কিছু প্রিয় ইফতারের খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:
ইফতারের জন্য কিছু প্রচলিত রেসিপি রয়েছে, যেগুলি সহজে তৈরি করা যায় এবং সুস্বাদু হয়। নিচে কিছু রেসিপি দেওয়া হলো:
এই খাবারগুলো সহজে তৈরি করা যায় এবং ইফতারের সময় সবার পছন্দ হবে। আশা করি, এই রেসিপিগুলো আপনাদের ইফতারকে আরও সুস্বাদু করে তুলবে।
ইফতার মানেই দিনের শেষে সবার জন্য এক চমৎকার সময়। দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর শরীর কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পরে, তাই ইফতারের খাবারগুলো হওয়া উচিত স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর। স্বাস্থ্যকর ইফতার তৈরির জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। চলুন এবার দেখি কীভাবে আমরা স্বাস্থ্যকর উপায়ে ইফতার করতে পারি।
স্বাস্থ্যকর ইফতারের প্রথম শর্ত হলো পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ উপাদান নির্বাচন করা। ইফতার মেনুতে এমন কিছু উপাদান রাখুন যা শরীরকে শক্তি যোগাবে এবং পুষ্টি দেবে।
ইফতারের খাবারগুলো এমন হওয়া উচিত যা কম চর্বি ও কম ক্যালোরি সরবরাহ করে। এই ধরনের খাবার শরীরের জন্য হালকা এবং সহজপাচ্য হয়।
স্বাস্থ্যকর ইফতার মানেই শুধু পুষ্টিকর এবং কম চর্বি ও ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার নয়, বরং এটি আমাদের শরীর এবং মন উভয়ের জন্য ভালো। আশা করি, এই নির্দেশিকা আপনাদের ইফতারকে আরও স্বাস্থ্যকর এবং উপভোগ্য করতে সহায়তা করবে।
ইফতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় যেখানে রোজাদাররা দিনের উপবাস ভেঙে সঠিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করেন। ইফতারের সময় সঠিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শরীরের সঠিক পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয়। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা অনেকের মধ্যে দেখা যায়। তবে এটি স্বাস্থ্যকর নয়। অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। মনে রাখতে হবে, ইফতার শুধুমাত্র ক্ষুধা মেটানোর জন্য নয়, এটি একটি পবিত্র প্রক্রিয়া।
ইফতারের সময় পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি শরীরের জন্য অপরিহার্য এবং এটি শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে সহায়ক। ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করার চেষ্টা করুন।
সময় | পানি পানের পরিমাণ |
---|---|
ইফতারের সময় | ২ গ্লাস |
ইফতারের পর | ১ গ্লাস |
সেহরির আগে | ২ গ্লাস |
বেশি পানি পান করলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেয়া যাক। আমি একবার ইফতারের সময় অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেছিলাম এবং পরে বেশ অস্বস্তি বোধ করেছি। এরপর থেকে আমি সঠিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণের দিকে মনোযোগ দিই এবং পর্যাপ্ত পানি পান করি। এটি আমার শরীরের জন্য অনেক উপকারী হয়েছে।
সুতরাং, ইফতারের সময় সঠিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। আশা করি এই পরামর্শগুলো আপনার ইফতারকে আরও স্বাস্থ্যকর এবং আনন্দময় করে তুলবে।
ইফতারের সময় পুষ্টিকর খাবার বেছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারাদিনের রোজার পর আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি ফিরে পেতে ফলমূল ও সবজি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এই বিভাগে আমরা ফলমূল ও সবজির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো যা ইফতারের খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
ফলমূলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ইফতারে বিভিন্ন রকমের ফলমূল খাওয়া শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে এবং তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। নিচে কিছু জনপ্রিয় ফলমূলের পুষ্টিগুণ তুলে ধরা হলো:
সবজিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ইফতারের সময় সবজি খাওয়া আমাদের হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে ও শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য সবজির উপকারিতা দেওয়া হলো:
সব মিলিয়ে, ইফতারের খাবারের তালিকায় ফলমূল ও সবজি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এগুলো আমাদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে এবং সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। তাই ইফতারের সময় ফলমূল ও সবজিকে আপনার ডায়েটে যুক্ত করুন এবং সুস্থ থাকুন!
Credit: sharebiz.net
ইফতার মানেই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবারের সম্ভার। সারা দিন রোজা রাখার পর আমাদের শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধার করতে প্রয়োজন প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। প্রোটিন শরীরের পেশি গঠনে সাহায্য করে এবং ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক। তাই ইফতারের মেনুতে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ইফতারের জন্য কিছু প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:
মাংস ও মাছ প্রোটিনের চমৎকার উৎস। ইফতারে আপনি বিভিন্ন ধরনের মাংস এবং মাছের পদ যোগ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ:
মাংস ও মাছের পুষ্টি আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য। তাই ইফতারের মেনুতে এগুলি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন।
ডাল ও বাদাম প্রোটিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এগুলি ভেজিটেরিয়ানদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। কিছু জনপ্রিয় ডাল ও বাদামের মধ্যে রয়েছে:
ডাল ও বাদাম ইফতারের সময় শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। তাই আপনার ইফতারের তালিকায় এগুলি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন।
এগুলো ছিল কিছু প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের উদাহরণ, যা ইফতারে যোগ করে আপনি আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারেন।
ইফতারের সময় নানা ধরণের স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। স্যুপ স্বাদ ও পুষ্টির মেলবন্ধন সাধন করে। নানা ধরণের স্যুপ তৈরি করা যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
স্যুপের মধ্যে একটি বিশেষ স্বাদ থাকে যা ইফতারের সময় মনকে তৃপ্তি দেয়। স্যুপের মধ্যে থাকে নানা ধরণের সবজি ও মসলা যা শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস সমৃদ্ধ স্যুপ সহজেই হজম হয়। ফলে এটি ইফতারের জন্য আদর্শ খাবার।
প্রথমেই আসি মুরগির স্যুপের কথায়। এটি সহজে তৈরি করা যায়। মুরগির মাংস ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে। পেঁয়াজ, রসুন, আদা কুচি করে নিন। সবজি হিসেবে গাজর, টমেটো, ক্যাপসিকাম ব্যবহার করতে পারেন। সব উপকরণ একসাথে সেদ্ধ করে নিন।
দ্বিতীয়ত, লেন্স স্যুপ। লেন্স স্যুপের জন্য প্রয়োজন ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও মসলা। ডাল সেদ্ধ করে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা দিয়ে রান্না করুন। এই স্যুপ স্বাদে ও পুষ্টিতে ভরপুর।
তৃতীয়ত, ভেজিটেবল স্যুপ। বিভিন্ন রঙের সবজি যেমন গাজর, টমেটো, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি ব্যবহার করতে পারেন। সব উপকরণ একসাথে সেদ্ধ করে নিন। এটি স্বাদে ও পুষ্টিতে সমৃদ্ধ।
ইফতারের সময় মিষ্টি খাবার না থাকলে যেন কিছুই পূর্ণ হয় না। ইফতারের পর হালকা মিষ্টি খাবার মনটাকে প্রশান্ত করে, শরীরে শক্তি যোগায়। তবে প্রচলিত মিষ্টি খাবারগুলোতে চিনি বেশি থাকে যা স্বাস্থ্যকর নয়। তাই স্বল্প চিনি ও স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খাবার বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খাবার দিয়ে ইফতার সাজালে সবার মন ভালো হবে, শরীরও ভালো থাকবে। এখানে কিছু স্বল্প চিনি ও স্বাস্থ্যকর মিষ্টির তালিকা দেওয়া হলো:
প্রচলিত মিষ্টি খাবারের অনেক বিকল্প আছে যা একই সাথে স্বাদে ও স্বাস্থ্যকর। নিচে কিছু বিকল্পের নাম দেওয়া হলো:
মিষ্টি খাবার শুধু ইফতারের মজাই বাড়ায় না, বরং স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খাবার আমাদের সুস্থ থাকার সহায়কও হতে পারে। তাই ইফতারের সময় স্বল্প চিনি ও স্বাস্থ্যকর মিষ্টির দিকে নজর দিন।
ইফতারের সময় যখন ঘনিয়ে আসে, তখন আমাদের সবারই মনে হয় কীভাবে দ্রুত কিছু সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুত করা যায়। কাজের ব্যস্ততা, পরিবারের দেখাশোনা, আর নানা কাজের মাঝে ইফতার প্রস্তুতির জন্য খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না। তাই দ্রুত প্রস্তুত খাবারের তালিকা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। আজকের ব্লগে আমরা আলোচনা করবো এমন কিছু ইফতারের রেসিপি নিয়ে, যা সহজে ও দ্রুত তৈরি করা যায়।
যখনই ইফতারের কথা আসে, তখন আমাদের মনে পড়ে কিছু সহজ ও দ্রুত প্রস্তুত করা যায় এমন রেসিপির কথা। এই রেসিপিগুলো শুধুমাত্র দ্রুত প্রস্তুত হয় না, বরং স্বাদেও অতুলনীয়।
ইফতারে শুধু দ্রুত প্রস্তুত খাবারই নয়, স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসও থাকা উচিত। স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের শরীরকে ভালো রাখে, আর রোজার পরে শরীরকে সঠিক পুষ্টি দেয়।
ইফতারের সময় আমাদের শরীরকে পুষ্টি দিতে দ্রুত প্রস্তুত খাবার ও স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রেসিপিগুলো আপনাকে সময় বাঁচাতে এবং সঠিক পুষ্টি পেতে সাহায্য করবে। আপনার ইফতার আরও আনন্দময় ও সুস্বাদু হোক!
ইফতারের সময় আসলে পানীয়র গুরুত্ব অপরিসীম। দিনের দীর্ঘ রোজার পরে শরীরকে পুনরুদ্ধার করতে, সঠিক পানীয় বেছে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন ধরণের পানীয় কেবল তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করে না, এটি শরীরের জন্য পুষ্টিকর উপাদানও সরবরাহ করে। নিচে আমরা কিছু জনপ্রিয় পানীয়র তালিকা আলোচনা করব যা ইফতারের সময় উপভোগ করা যায়।
ইফতারে শরবত ও জুসের কোনো তুলনাই হয় না। এগুলি শুধুমাত্র প্রশান্তি দেয় না, তৃষ্ণাও মেটায়।
গরম পানীয় ইফতারে একটি ভিন্ন ধরণের স্বাদ যোগ করে। বিশেষ করে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় এগুলি খুবই আরামদায়ক।
ইফতারের সময় এই পানীয়গুলো ট্রাই করে দেখতে পারেন এবং নিজের পছন্দমতো মেনু তৈরি করতে পারেন। একেক দিন একেকটি পানীয় ট্রাই করা যেতে পারে যাতে প্রতিদিনই নতুন স্বাদ উপভোগ করা যায়।
ইফতারের সময় স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সালাদ ইফতারের জন্য একটি চমৎকার বিকল্প। বিভিন্ন ধরণের সালাদ আপনার ইফতার টেবিলকে রঙিন এবং স্বাদযুক্ত করে তুলবে। নিচে কয়েকটি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু সালাদের রেসিপি দেয়া হলো।
স্বাস্থ্যকর সালাদ তৈরি করা খুবই সহজ। টমেটো, শসা, গাজর এবং ব্রকলি মিশিয়ে নিতে পারেন। সামান্য লেবুর রস এবং লবণ দিয়ে মিশিয়ে নিন। এই সালাদ পুষ্টিকর এবং স্বাদে ভরপুর।
আরেকটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হলো ফলের সালাদ। আপেল, কলা, আঙ্গুর এবং পেঁপে কেটে একসাথে মিশিয়ে নিন। এতে মধু এবং চিমটি লবণ মিশিয়ে দিন। এই সালাদ শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
সালাদে স্বাদের বৈচিত্র্য আনতে বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং ফল ব্যবহার করতে পারেন। মুরগির মাংসের টুকরো, ফেটা চিজ এবং অলিভ যোগ করে একটি গ্রীক সালাদ তৈরি করতে পারেন।
আরেকটি বৈচিত্র্যময় সালাদ হলো মেক্সিকান সালাদ। এতে মটরশুঁটি, কর্ন, টমেটো এবং পেঁয়াজ মিশিয়ে নিন। উপরে সামান্য লেবুর রস এবং ঝাল সস দিয়ে পরিবেশন করুন।
এই সালাদগুলো শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। ইফতারের সময় এগুলো আপনার টেবিলকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
Credit: www.dhakawatch24.com
ইফতারের খাবারে ভারসাম্য রাখুন, অতিরিক্ত তেল-মসলা এড়িয়ে চলুন।
রোজার সময় পুষ্টিকর খাবার খান, শরীরকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখুন।
ইফতারের পরে আমরা সাধারণত কিছু হালকা খাবার খেয়ে থাকি। তবে ইফতারের পরের খাবারগুলি ঠিক মতো নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র আমাদের শরীরের জন্য নয়, বরং আমাদের মনও প্রশান্ত রাখতে সাহায্য করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস আমাদের সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে এবং পরবর্তী দিনের উপবাসের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। আসুন জেনে নিই ইফতারের পরের খাবারগুলির কিছু পরামর্শ।
ইফতারের পরে হালকা রাতের খাবার খেলে শরীরও ভালো থাকে, আবার ঘুমও ভালো হয়। নিচে কিছু হালকা রাতের খাবারের তালিকা দেওয়া হল:
রাতের খাবার হিসেবে ভারী কিছু খেলে তা হজমে সমস্যা করতে পারে। তাই হালকা ও পুষ্টিকর খাবার নির্বাচন করা উচিত। নিচে কিছু পরামর্শ দেওয়া হল:
ইফতারের পরের খাবারের তালিকা সঠিকভাবে নির্বাচন করলে, শরীর সুস্থ থাকবে এবং মনও উৎফুল্ল থাকবে। তাই আমাদের সঠিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
ইফতারের প্রস্তুতি এমন একটি সময় যা আমাদের সকলের জন্য বিশেষ। রমজান মাসে ইফতারের আগে কিছু সময় আমরা ইফতারের প্রস্তুতির জন্য রাখি, যা শুধুমাত্র খাবার তৈরির জন্য নয়, বরং পরিবারের সাথে সময় কাটানোরও একটি সুযোগ। সঠিক প্রস্তুতি ইফতারের আনন্দকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এখানে ইফতারের প্রস্তুতির কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো।
ইফতারের আগে সময় সঠিকভাবে কাজে লাগানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেকেই শেষ মুহূর্তে খাবার প্রস্তুতির জন্য দৌড়াদৌড়ি করি, যা ইফতারের আনন্দকে কমিয়ে দিতে পারে। সময়ের সঠিক ব্যবহার করার জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হলো:
ইফতার শুধুমাত্র খাওয়া নয়, বরং পরিবারের সাথে সময় কাটানোর একটি সুযোগ। ইফতারের সময় পরিবারের সাথে একসাথে বসে খাওয়ার মজা অন্যরকম। নিচে কিছু উপায় দেওয়া হলো কিভাবে পরিবারের সাথে ইফতারের সময়টি আরো উপভোগ্য করা যায়:
ইফতারের প্রস্তুতি সঠিকভাবে করলে ইফতারের সময়টি হয়ে উঠবে আরো সুন্দর এবং উপভোগ্য। তাই সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং পরিবারের সাথে ইফতার করার মাধ্যমে এই সময়টিকে আরো বিশেষ করে তুলুন।
ইফতারে খেজুর, ফল, শাকসবজি, ডাল ভাজা, পুষ্টিকর স্যুপ এবং পর্যাপ্ত পানি খাওয়া ভালো। এগুলো শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে।
ইফতারে খেজুর, পানি, ফলমূল, স্যালাড, স্যুপ, হালকা ভাজা খাবার ও শাকসবজি খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও মিষ্টি পরিহার করুন।
ইফতারের খাবার হলো রোজা ভাঙার সময় খাওয়া হয় এমন বিশেষ খাবার। সাধারণত খেজুর, ফল, শরবত, পকোড়া ইত্যাদি থাকে।
হ্যাঁ, ইফতারে পাস্তা খাওয়া যাবে। পাস্তা পুষ্টিকর ও শক্তিদায়ক খাবার। তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত। ইফতারের জন্য স্বাস্থ্যকর উপাদান দিয়ে পাস্তা রান্না করা ভালো।
ইফতারের খাবারের তালিকা আপনার ইফতারকে সুস্বাদু করতে সহায়ক হবে। সহজ উপকরণে বানানো যায়। স্বাস্থ্যকর ও তৃপ্তিদায়ক। পরিবারের সবাই উপভোগ করবে। প্রতিদিন নতুন কিছু ট্রাই করতে পারেন। উপবাসের পর এ খাবার মন ভালো করবে। সুস্থ থাকতে পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন। ইফতারের সময়টা উপভোগ্য হোক। শুভ ইফতার!