Our Location
1310 Keraniganj, Dhaka.
Dhaka, Bangladesh.
শীত এলার্জির সমস্যা অনেকের জন্যই ভোগান্তির কারণ। নাক বন্ধ, চোখের চুলকানি এবং ত্বকের সমস্যা শীতে বেড়ে যায়। কিন্তু চিন্তা করবেন না, ঘরোয়া উপায়েই আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। শীতে এলার্জির সমস্যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ঔষধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে, ঘরোয়া কিছু সহজ উপায় মেনে চললে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে, সহজ কিছু পদ্ধতি মেনে চললে শীতের এলার্জির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা এমন কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করবো যা শীত এলার্জি দূর করতে সাহায্য করবে। চলুন, শীতে এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়গুলি সম্পর্কে জানি।
শীতের সময়ে এলার্জি সমস্যা খুবই সাধারণ এবং কষ্টদায়ক হতে পারে। তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে শুষ্ক আবহাওয়া এবং বাড়ির ভিতরের ধুলা ও ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি এলার্জির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এলার্জির কারণে অনেকের নাক বন্ধ, চোখ চুলকানো এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
এলার্জির লক্ষণ গুলো সাধারণত নিম্নরূপ:
শীতকালে এলার্জির সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণ গুলো হলো:
শীতে এলার্জি সমস্যা এড়াতে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের পরবর্তী অংশে পড়ুন।
শীতে এলার্জি অনেকের জন্যই বিরক্তিকর হতে পারে। বিশেষ করে যাদের ত্বক সংবেদনশীল বা যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে। এই শীতে এলার্জি দূর করার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় ব্যবহার করা যেতে পারে, যা প্রাকৃতিক এবং সহজলভ্য।
প্রাকৃতিক উপাদানগুলি এলার্জি উপশমে বেশ কার্যকর। মধু, আদা, হলুদ ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। মধুতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ যা এলার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে। আদা চায়ের সাথে মিশিয়ে পান করলে শ্বাসকষ্ট কমায়। হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ এলার্জি কমাতে সহায়তা করে।
এলার্জি প্রতিরোধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ঘরে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। বিছানার চাদর, বালিশের কাভার, কম্বল ইত্যাদি নিয়মিত ধুয়ে ফেলা উচিত। এলার্জি প্রতিরোধে বায়ু পরিশোধক ব্যবহার করা যেতে পারে। শীতের সময় ধুলোবালি থেকে দূরে থাকা ভালো।
শীতকালে এলার্জি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অনেক কার্যকর। মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা এলার্জির উপশমে সাহায্য করে। মধুর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
মধুতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ শরীরকে শক্তিশালী করে।
এছাড়া, মধুতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা শরীরকে দ্রুত শক্তি যোগায়।
মধু গরম দুধ বা চায়ের সাথে মিশিয়ে খেলে শীতের ঠান্ডা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে মধু ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে।
মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ত্বকের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
শীতে এলার্জি সমস্যা প্রায়ই দেখা দেয়। এলার্জি দূর করতে লেবু অত্যন্ত কার্যকর। লেবুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
লেবুর রস শরীরের বিভিন্ন জীবাণু দূর করে। এতে এলার্জির সমস্যা অনেক কমে যায়। এছাড়া লেবুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
লেবুর রস ও আদা একসাথে খেলে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদায় থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
প্রথমে এক কাপ গরম পানিতে কিছু আদার টুকরা দিন। এরপর এতে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। এই মিশ্রণ দিনে দুইবার পান করুন। এলার্জি কমাতে এটি খুবই কার্যকর।
লেবুর রস ও মধু একসাথে খেলে এলার্জি দ্রুত সেরে যায়। মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের জীবাণু দূর করে।
এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি পান করুন। এটি এলার্জি থেকে মুক্তি দেবে এবং শরীরকে সতেজ রাখবে।
শীতে এলার্জি দূর করতে গরম পানির ব্যবহার বেশ কার্যকর। এটি নাকের ভেতর জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে এবং শ্বাস প্রশ্বাসে স্বস্তি আনে।
শীতকালে এলার্জি সমস্যা অনেকের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ সময়ে তুলসী পাতার ব্যবহার অনেক উপকারি হতে পারে। তুলসী পাতা প্রাকৃতিক উপাদান যা এলার্জি দূর করতে সহায়ক। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাগুণ শরীরকে সুরক্ষা দেয়। তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন নিচের অংশে।
তুলসী চা শীতের সময়ে এলার্জি দূর করতে কার্যকর। তুলসী পাতার চা সেবন করলে সর্দি, কাশি এবং গলা ব্যথা কমে। তুলসী চা তৈরি করতে এক কাপ গরম পানিতে কয়েকটি তুলসী পাতা দিন। ৫ মিনিট পর ছেঁকে নিন। প্রতিদিন সকালে তুলসী চা পান করুন। এটি শরীরকে চাঙ্গা রাখবে।
তুলসী ও মধুর মিশ্রণ এলার্জি দূর করতে সহায়ক। তুলসী পাতার রস ও মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে উপকার পাবেন। তুলসী ও মধু মিশ্রণ ফ্লুর সাথে লড়াই করে। এ মিশ্রণ ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। শীতের সময়ে নিয়মিত এই মিশ্রণ সেবন করুন। এটি প্রাকৃতিক এলার্জি প্রতিরোধক।
শীতকালে এলার্জি দূর করতে আদা খুবই কার্যকরী। আদার রয়েছে অনেক উপকারিতা, যা শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। শীতের সময়ে আদার ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে এলার্জির সমস্যা কমাতে আদা অত্যন্ত সহায়ক। এই বিভাগে আমরা আলোচনা করবো আদার উপকারিতা ও এর ব্যবহারিক পদ্ধতি।
আদা চা শীতকালে খুবই উপকারী। এটি শরীরকে গরম রাখে এবং এলার্জির সমস্যা কমায়। আদা চা তৈরির জন্য এক কাপ পানিতে কয়েক টুকরা আদা ফোটাতে হবে। তারপর চিনি বা মধু দিয়ে চা টি মিষ্টি করতে পারেন।
আদা ও লেবুর মিশ্রণ শীতকালে এলার্জি দূর করতে কার্যকর। আদা ও লেবু একসাথে শরীরকে শক্তিশালী করে এবং শীতের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আদা | ২ টুকরা |
লেবু | ১ টা |
মধু | ১ চা চামচ |
শীতকালে এলার্জির সমস্যা বৃদ্ধি পায়। কাঁচা হলুদে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা এলার্জি দূর করতে সহায়ক। কাঁচা হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত। এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিচে কাঁচা হলুদের কিছু উপকারিতা আলোচনা করা হলো।
হলুদ দুধ শীতকালে এলার্জি দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ কাঁচা হলুদের রস মেশান। প্রতিদিন রাতে এটি পান করুন। এটি শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং এলার্জি কমায়।
হলুদ ও মধুর মিশ্রণ শীতকালে অনেক উপকারী। এক চামচ কাঁচা হলুদের রসে এক চামচ মধু মেশান। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান। এটি শরীরের এলার্জি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
রসুনের উপকারিতা শীতে এলার্জি দূর করার ক্ষেত্রে অসাধারণ। রসুনে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ। এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এলার্জি থেকে রক্ষা করে। শীতে এলার্জির সমস্যা দূর করতে রসুন খুব কার্যকরী।
রোজ সকালে খালি পেটে একটি রসুনের কোয়া চিবিয়ে খাওয়া ভালো। এটি শরীরকে এলার্জি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং শরীরের শক্তি বাড়ায়।
রসুন খাওয়ার সময় পানি পান করতে পারেন। এটি রসুনের স্বাদ কমিয়ে দেয় এবং সহজে খাওয়া যায়।
রসুন ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শীতের এলার্জির সমস্যা দূর হয়।
মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ এবং রসুনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ একসঙ্গে কাজ করে। এটি শরীরকে এলার্জি থেকে রক্ষা করে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
রসুন | ১ কোয়া |
মধু | ১ চামচ |
এই সহজ উপায়গুলি অনুসরণ করলে শীতে এলার্জির সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। রসুন এবং মধু দুটোই প্রাকৃতিক উপাদান। এগুলি শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং সহজেই পাওয়া যায়।
শীতকালে এলার্জি অনেকের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই সময়ে পুদিনা পাতা খুবই উপকারী হতে পারে। পুদিনা পাতার মধ্যে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-হিস্টামিন উপাদান রয়েছে। যা এলার্জি কমাতে সাহায্য করে।
পুদিনা চা শীতে এলার্জি দূর করতে কার্যকর। এটি সহজে তৈরি করা যায়। এক কাপ গরম পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিন। ৫-১০ মিনিট রেখে দিন। এরপর চা ছেঁকে নিন এবং ধীরে ধীরে পান করুন। এই চা শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
পুদিনা পাতার ভাপ নিলে নাক বন্ধের সমস্যা কমে। একটি বড় পাত্রে পানি গরম করুন। গরম পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিন। পাত্রটি ঢেকে রাখুন। এরপর মাথার ওপর একটি তোয়ালে দিয়ে পাত্রের ওপরে মুখ রাখুন। ধীরে ধীরে ভাপ নিন। এটি শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করবে।
শীতে এলার্জি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায়গুলির মধ্যে কালোজিরা একটি অত্যন্ত কার্যকর উপাদান। কালোজিরার অনেক উপকারিতা আছে যা আপনার শীতের এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে। কালোজিরা বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যায়, যেমন কালোজিরা তেল এবং কালোজিরা ভর্তা।
শীতকালে এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরা তেল খুবই কার্যকর। কালোজিরা তেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে যা এলার্জি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
কালোজিরা ভর্তা একটি সহজ এবং সুস্বাদু উপায় শীতের এলার্জি দূর করার জন্য।
এই ভর্তা প্রতিদিন খেলে শীতের এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শীতে এলার্জি দূর করার জন্য নীম পাতা অত্যন্ত কার্যকরী। এই পাতায় আছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ। এটি প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে পরিষ্কার রাখে। নীম পাতা রক্ত পরিষ্কার করে এবং এলার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
নীম পাতা সেবন করলে শরীরের ভেতর থেকে এলার্জি প্রতিরোধ করা যায়। নীম পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। নীম পাতার রস তৈরি করতে কয়েকটি পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিন। এই রস খেলে শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।
নীম পাতা দিয়ে ভাপ নেওয়া শ্বাসকষ্ট ও সর্দিজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। একটি বড় পাত্রে পানি গরম করুন। তাতে কিছু নীম পাতা যোগ করুন। পাত্রের ওপরে মাথা রেখে তোয়ালে দিয়ে ঢেকে নিন। এরপর গভীরভাবে শ্বাস নিন। এটি নাক ও গলার কফ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
শীতকালে এলার্জি সমস্যা বড় হয়। দারুচিনি এই সমস্যায় কার্যকরী। এটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা সহজে পাওয়া যায়।
দারুচিনি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এটি এলার্জির কারণে হওয়া প্রদাহ কমায়।
দারুচিনির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
দারুচিনি চা তৈরি সহজ। এটি এলার্জির জন্য উপকারী।
এই চা দিনে দুবার পান করুন। এটি এলার্জির সমস্যা কমাবে।
দারুচিনি ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এলার্জির সমস্যা কমায়।
দারুচিনি ও মধু প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
শীতে এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক সমাধান। অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি ত্বকের জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, অ্যালোভেরা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
অ্যালোভেরা জুস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অ্যালোভেরা জুস পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরা পাতা সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যায়। এটি ত্বকের জ্বালা কমাতে এবং ঠান্ডা অনুভূতি দিতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা পাতার গুণাগুণ:
গুণাগুণ | উপকারিতা |
---|---|
ত্বকের জ্বালা কমানো | ত্বকের লালচে ভাব কমায়। |
ঠান্ডা অনুভূতি | ত্বকে ঠান্ডা অনুভূতি দেয়। |
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার | ত্বককে আর্দ্র রাখে। |
শীতে এলার্জি দূর করার জন্য প্রচুর পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে আমাদের শরীর সহজে পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই, শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন। এতে এলার্জির সমস্যাও কমে যায়।
শীতকালে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়। এতে এলার্জি বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত পানি পান শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাছাড়া, শরীর থেকে টক্সিন দূর করে।
প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। এটি শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। শীতকালে পানি পানের অভ্যাস স্বাস্থ্যকর।
লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে পান করলে উপকার বেশি। লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া, লেবু শরীরের টক্সিন দূর করে।
প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস লেবু পানি পান করুন। এটি এলার্জি প্রতিরোধে সহায়ক। তাছাড়া, শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
শীতকালে এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং এলার্জির উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। রাতে ভালোভাবে ঘুমালে শরীর এলার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয়।
ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের কোষগুলোকে পুনরুদ্ধার করে। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এলার্জির উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।
ঘুমের অভাব শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এলার্জির উপসর্গ আরও বাড়িয়ে তোলে।
পর্যাপ্ত ঘুম পেতে একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুসরণ করা উচিত। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা উচিত।
সপ্তাহান্তেও একই সময়সূচি মেনে চলা উচিত। শরীরের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।
শোবার আগে কম আলোতে থাকা, মোবাইল এবং টিভি এড়িয়ে চলা উচিত। এটি দ্রুত ঘুমাতে সাহায্য করে।
শীতকালে এলার্জির সমস্যা অনেকেই ভোগেন। এলার্জির কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় স্ট্রেসও বাড়ে। স্ট্রেস কমাতে কিছু ঘরোয়া উপায় কাজে লাগানো যায়। যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন স্ট্রেস কমানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
যোগব্যায়াম স্ট্রেস কমাতে খুবই উপকারী। প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট যোগব্যায়াম করুন। যোগব্যায়াম শরীর ও মনকে শান্ত রাখে। নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে স্ট্রেস কমে যায়।
শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রণায়াম খুবই উপকারী। প্রণায়াম স্ট্রেস হরমোন কমাতে সহায়তা করে। যোগব্যায়াম স্ট্রেস কমানোর পাশাপাশি শরীরকে ফিট রাখে।
মেডিটেশন মানসিক শান্তি প্রদান করে। প্রতিদিন ২০ মিনিট মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন মনকে স্থির রাখে। স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন অত্যন্ত কার্যকর।
শীতকালে মেডিটেশন করলে মন শান্ত থাকে। শরীর ও মন সতেজ হয়। মেডিটেশন স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত মেডিটেশন মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
শীতে এলার্জি কমাতে ঘর গরম রাখতে হবে। ধুলোবালি পরিষ্কার রাখতে হবে।
মধু, আদা, হলুদ দুধ এলার্জি কমাতে সাহায্য করে।
বাষ্প নেওয়া, আদা চা, এবং ন্যাসাল স্প্রে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
হাঁচি, কাশি, চোখে পানি আসা, শ্বাসকষ্ট।
ঘর পরিষ্কার রাখা, ধুলা-ময়লা এড়িয়ে চলা, এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।
শীতে এলার্জি দূর করা সহজ হতে পারে। ঘরোয়া উপায়গুলো মেনে চলুন। নিয়মিত গরম পানি পান করুন। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। ধুলোবালি এড়িয়ে চলুন। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন। ত্বকের যত্ন নিন। শীতে সুস্থ থাকুন। এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে সচেতন থাকুন। ঘরোয়া উপায়গুলো কার্যকর হবে। ফলে, শীতকাল আনন্দময় হবে।