Our Location
1310 Keraniganj, Dhaka.
Dhaka, Bangladesh.
হজম শক্তি বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায় খুঁজছেন? আপনার জন্য কিছু সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি আছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যার সমাধান পেতে প্রাকৃতিক উপায়গুলো খুবই কার্যকর হতে পারে। প্রাকৃতিক উপায়গুলি সহজে পালন করা যায় এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই উপায়গুলির মধ্যে রয়েছে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং কিছু ঘরোয়া টোটকা। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব কিভাবে সহজ কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার হজম শক্তি বাড়ানো যায়। আসুন, হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক উপায়গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
হজমের গুরুত্ব নিয়ে কথা বললে, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। একটি সঠিক হজম ব্যবস্থা শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য অপরিহার্য। এটি আমাদের খাদ্য থেকে পুষ্টি গ্রহণে সাহায্য করে। এছাড়া, হজম সঠিকভাবে না হলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হজম শক্তি আমাদের শরীরের কার্যক্ষমতার মূল ভিত্তি। সঠিক হজমের মাধ্যমে আমরা আমাদের খাদ্য থেকে শক্তি পাই। এটি আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো সম্পাদনে সাহায্য করে। শক্তি ছাড়া আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজ করতে পারব না।
হজম শক্তি আমাদের সম্পূর্ণ পুষ্টি গ্রহণে সাহায্য করে। একটি ভাল হজম ব্যবস্থা খাদ্যের পুষ্টি উপাদান গুলোকে শরীরে প্রবেশ করায়। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। পুষ্টির অভাবে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
Credit: organicnutrition.com.bd
হজম শক্তি ভালো থাকা আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভালো হজমের লক্ষণগুলি জানা থাকলে আমরা বুঝতে পারি আমাদের শরীর কেমন কাজ করছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চলুন আলোচনা করি।
পেট ভালো থাকলে আমরা আরামদায়ক অনুভব করি। পেট ফাঁপা, গ্যাস, বা অস্বস্তি না থাকাই সুস্থ পেটের লক্ষণ। খাবার খাওয়ার পর পেটের স্বাভাবিক অনুভূতি থাকা উচিত।
নিয়মিত মলত্যাগ হজম শক্তি ভালো থাকার অন্যতম লক্ষণ। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে মলত্যাগ হওয়া উচিত। মলত্যাগের সময় অস্বস্তি না হওয়াই স্বাভাবিক।
পানি আমাদের শরীরের জন্য এক অমূল্য সম্পদ। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য উপায়। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আসুন, জেনে নিই পানির উপকারিতার কিছু দিক।
পানি হজম প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি খাবারকে ভেঙে সহজে হজম করতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পানি পানে পেটের এসিডের ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে হজমজনিত সমস্যা কম হয়। এছাড়া, পানি খাদ্যনালী ও অন্ত্রের মধ্যে খাবার সরবরাহে সহায়ক।
শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে পানির ভূমিকা অপরিসীম। পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এটি কিডনি ও লিভারকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। পর্যাপ্ত পানি পান করলে মূত্র উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ফলে টক্সিনগুলি সহজেই শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
প্রাকৃতিক চা হজম শক্তি বৃদ্ধির একটি সহজ উপায়। আদা, পুদিনা, এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি চা হজমে সাহায্য করে। এই চা গুলি পরিপাক ক্রিয়া উন্নত করে এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে।
আদা চা হজমের জন্য উপকারী। এটি পেটের ব্যথা ও অস্বস্তি দূর করে। আদায় উপস্থিত জিঞ্জারল উপাদান হজমে সহায়তা করে।
পুদিনা চা হজমের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী। এতে থাকা মেন্থল হজমে সাহায্য করে। পেটের গ্যাস ও ফোলাভাব কমায়।
চা | উপকারিতা |
---|---|
আদা চা | পেটের ব্যথা দূর করে, হজম উন্নত করে |
পুদিনা চা | গ্যাস ও ফোলাভাব কমায়, হজমে সাহায্য করে |
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফাইবার শরীরের হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং পেট ফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ফাইবার যুক্ত করা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ফলমূল ফাইবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। আপেল, কমলা, কলা, পেয়ারা ইত্যাদি ফল ফাইবার সমৃদ্ধ। আপেলে পেকটিন নামক ফাইবার থাকে যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। কমলা এবং অন্য সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। এগুলো খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
কলায় রয়েছে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার যা হজমের জন্য উপকারী। পেয়ারায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ফলে এটি সহজে হজম হয় এবং পেটের সমস্যা কমায়।
শাকসবজি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পালং শাক, ব্রকোলি, মিষ্টি আলু, গাজর ইত্যাদি শাকসবজিতে ফাইবার থাকে। পালং শাকে প্রচুর ফাইবার ও আয়রন রয়েছে যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে।
ব্রকোলিতে উচ্চমাত্রার ফাইবার ও ভিটামিন সি থাকে। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। মিষ্টি আলুতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। গাজরে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
শাকসবজি নিয়মিত খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। এগুলো হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেট ফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
প্রোবায়োটিকস হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের অন্ত্রের জন্য ভালো। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়। নিচে দই এবং কেফির এর উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো।
দই প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ একটি খাবার। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি করে। দই নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া দই ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের উৎস। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দই যোগ করলে হজমের সমস্যা দূর হয়।
কেফির আরেকটি প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ পানীয়। এটি দুধের সাথে বিশেষ ব্যাকটেরিয়া ও খামির মিশিয়ে তৈরি করা হয়। কেফির অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এটি হজম প্রক্রিয়া সহজতর করে। কেফিরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোবায়োটিকস। প্রতিদিন কেফির পান করলে হজমের সমস্যা কমে যায়।
অলিভ অয়েল, যা প্রাকৃতিকভাবে হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এই তেল প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর। এটি প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়। অলিভ অয়েল শুধুমাত্র স্বাদ বাড়ায় না, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
অলিভ অয়েল হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। এতে উপস্থিত মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। এটি পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়। অলিভ অয়েল নিয়মিত ব্যবহারে হজম সহজ হয়। এতে খাবার দ্রুত হজম হয়।
অলিভ অয়েল প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ। এটি শরীরের প্রদাহ কমায়। অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি করে।
অলিভ অয়েলে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান পাকস্থলীর প্রদাহ কমায়। এটি হজম সহজ করে।
মশলাদার খাবার শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয়, হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়ক। বিভিন্ন মশলা যেমন জিরা, হলুদ, ইত্যাদি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। নিচে মশলাদার খাবারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হলো।
জিরা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। জিরা পেটের বিভিন্ন সমস্যা যেমন অম্বল ও অস্বস্তি কমাতে কার্যকর।
একটি টেবিল চামচ জিরা গুঁড়া এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করুন। এটি প্রতিদিন সকালে খাওয়া উচিত।
হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে পরিচিত। এটি হজম শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এক চিমটি হলুদ প্রতিদিনের খাবারে যোগ করুন। এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করবে।
উপাদান | উপকারিতা |
---|---|
জিরা | গ্যাস দূর করে, অম্বল কমায় |
হলুদ | প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক, হজম শক্তি বাড়ায় |
হজম শক্তি বাড়াতে ছোট ছোট খাবার খাওয়া অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি। প্রতিবার বেশি পরিমাণ খাবার খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই, ছোট ছোট খাবার খেলে তা সহজে হজম হয় এবং শরীরের সঠিক পুষ্টি বজায় থাকে।
ছোট ছোট খাবার খাওয়ার অন্যতম উপকারিতা হলো বারবার খাওয়ার সুযোগ পাওয়া। একবারে অনেক খাবার না খেয়ে, ছোট ছোট খাবার খান বারবার। এতে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং পেট ভারি লাগে না।
বারবার খাওয়ার সুবিধা |
---|
হজমে সুবিধা হয় |
শক্তি বজায় থাকে |
অনাহার এড়ানো যায় |
ছোট ছোট খাবার খেলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়। কারণ, পেটে কম পরিমাণ খাবার থাকায় হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইমগুলো সহজে কাজ করতে পারে।
ছোট ছোট খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনি হজম শক্তি বাড়াতে পারেন। প্রতিদিনের খাবারে এ পদ্ধতি মেনে চলুন এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করুন।
হালকা ব্যায়াম হজম শক্তি বৃদ্ধির একটি প্রাকৃতিক উপায়। প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি শুধু হজম শক্তি বৃদ্ধি করে না, মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে।
ইয়োগা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। নিয়মিত ইয়োগা প্রাকটিস করলে হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি হয়। কিছু নির্দিষ্ট আসন, যেমন ভুজঙ্গাসন এবং ত্রিকোনাসন হজমের জন্য উপকারী।
ইয়োগা কেবল হজমের জন্য নয়, সম্পূর্ণ শরীরের জন্য উপকারী। এটি মানসিক শান্তি প্রদান করে।
হাঁটা হজম শক্তি বৃদ্ধির আরেকটি সহজ উপায়। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটলে হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে। হাঁটা শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
হাঁটার পর হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি হয়। এটি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও সহায়ক।
স্ট্রেস কমানো হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রেস আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলে, যার মধ্যে হজম প্রক্রিয়া অন্যতম। স্ট্রেস কমিয়ে শরীরকে শিথিল করা গেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়। নিচে স্ট্রেস কমানোর কিছু প্রাকৃতিক উপায় নিয়ে আলোচনা করা হল।
মেডিটেশন স্ট্রেস কমানোর একটি কার্যকর পদ্ধতি। প্রতিদিন মাত্র ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন করলে মানসিক চাপ কমে এবং মন শান্ত হয়।
মেডিটেশন করার জন্য আরামদায়ক একটি স্থানে বসুন। চোখ বন্ধ করুন এবং ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। মনকে শান্ত করুন এবং একাগ্রতা বাড়ান।
শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ স্ট্রেস কমানোর আরেকটি সহজ পদ্ধতি। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। এটি শরীর ও মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
প্রথমে একটি স্থির জায়গায় বসুন। চেয়ারে বা মাটিতে আরামদায়কভাবে বসুন।
আদা ও লেবু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই পরিচিত দুটি উপাদান। এই দুটি উপাদান শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না, এটি হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদা ও লেবুর সংমিশ্রণ পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন হজম সমস্যার সমাধান করতে পারে।
আদা ও লেবু একসাথে খেলে পাচনশক্তি বৃদ্ধি পায়। আদা পাচনতন্ত্রের এনজাইমগুলির কার্যকারিতা বাড়ায় যা খাবার হজম করতে সহায়তা করে। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড পাচনতন্ত্রে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আদা ও লেবু বমি বমি ভাব কমাতে কার্যকর। আদাতে থাকা জিঞ্জারল এবং শোগাওল উপাদান বমি বমি ভাব কমাতে সহায়তা করে। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
আদা ও লেবু নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং বমি বমি ভাব কমে। এই প্রাকৃতিক উপায়গুলি সহজেই আপনার দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
অতিরিক্ত চিনি এড়ানো হজম শক্তি বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি হজম প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এবং পেটের গ্যাস, অম্বল ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই হজম শক্তি বাড়াতে চিনি কম খাওয়া উচিত।
মিষ্টি পানীয় শরীরে অতিরিক্ত চিনি সরবরাহ করে। এতে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। কোলা, ফ্রুট জুস, এনার্জি ড্রিঙ্কস এসব এড়ানো উচিত। এসব পানীয়ের পরিবর্তে জল, নারকেলের জল, লেবুর জল খাওয়া ভালো। এগুলো হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রক্রিয়াজাত খাবারেও অতিরিক্ত চিনি থাকে। এর ফলে হজম প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। চিপস, কেক, বিস্কুট এসব খাবার এড়ানো ভালো। প্রাকৃতিক ও তাজা খাবার খাওয়া উচিত। ফল, সবজি, সম্পূর্ণ শস্য এসব হজমে সহায়ক।
তাজা ফলের রস হজম শক্তি বৃদ্ধির একটি প্রাকৃতিক উপায়। এই রসগুলি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রাকৃতিকভাবে হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। তাজা ফলের রসে প্রচুর পুষ্টি এবং এনজাইম থাকে। এগুলি হজম সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে এবং সহজে হজম করতে সাহায্য করে। নিম্নলিখিত ফলের রসগুলি হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য বেশ কার্যকর।
কমলালেবুর রস ভিটামিন সি এর একটি চমৎকার উৎস। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কমলালেবুর রসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কমলালেবুর রস পান করুন। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীরের পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষা করে।
পেঁপের রসে প্যাপেইন এনজাইম থাকে। এটি হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। পেঁপের রস পাচনতন্ত্রকে শিথিল করে। এটি হজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পেঁপের রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি থাকে। এগুলি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক। প্রতিদিন এক গ্লাস পেঁপের রস পান করুন। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।
পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে। এটি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। ঘুমের সময় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায়। ফলে তারা ভালোভাবে কাজ করতে পারে। আসুন জেনে নেই কীভাবে পর্যাপ্ত ঘুম হজমের জন্য উপকারী।
পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের মেরামত প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ঘুমের সময় শরীরের কোষ মেরামত হয়। এটি হজম প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
যথেষ্ট ঘুম হজম প্রক্রিয়ার সঠিক পরিচালনা করে। ঘুমের সময় পেটের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো বিশ্রাম পায়। এটি খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত ঘুমের সুবিধাসমূহ:
একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে ঘুম অপরিহার্য। ঘুমের সময় শরীর নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করে। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
Credit: renixcare.com
হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত খাবার এড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের হজম প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। এটি পেট ফাঁপা, অস্বস্তি এবং অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আসুন জেনে নিই, অতিরিক্ত খাবার এড়ানোর কিছু প্রাকৃতিক উপায়।
অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা অনুভূত হতে পারে। এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যা পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে:
অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে। এই অস্বস্তি কমানোর কিছু উপায় নিচে দেওয়া হল:
খাবার | হজম সহায়ক উপাদান |
---|---|
আদা | হজমে সহায়ক |
পুদিনা | পেট ফাঁপা কমায় |
হলুদ | অ্যাসিডিটি কমায় |
হজম শক্তি বাড়াতে ফল, সবজি, দই, আদা এবং মধু খুব উপকারী।
প্রাকৃতিক উপায়ে হজম শক্তি বাড়াতে পেঁপে, আদা, পানির পরিমাণ বৃদ্ধি এবং যোগব্যায়াম সহায়ক।
হজম শক্তি বাড়াতে প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
হ্যাঁ, কিছু যোগব্যায়াম যেমন ত্রিকোণাসন ও বজ্রাসন হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
আদা, জিরা, ধনে ও কালো মরিচ হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে জানার পর, এটি সহজেই বুঝতে পারবেন। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ভেজালমুক্ত খাবার খান। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এগুলো আপনার হজম শক্তি বাড়াবে। সুস্থ থাকতে প্রাকৃতিক উপায় বেছে নিন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন। শরীর ও মন ভালো থাকবে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা অনুসরণ করুন। এর ফলে আপনার হজম শক্তি উন্নত হবে। সবশেষে, নিজেকে ভালো রাখুন। সুস্থ থাকুন।