Our Location
1310 Keraniganj, Dhaka.
Dhaka, Bangladesh.
গ্যাস্ট্রিক একটি সাধারণ সমস্যা যা প্রায় সবাইকে ভোগায়। এটা একধরনের পেটের সমস্যা যা গ্যাস জমার ফলে হয়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এটি মূলত পেটের মধ্যে অতিরিক্ত গ্যাস জমা হওয়ার ফলে হয়। গ্যাসের কারণে পেটে ব্যথা, অস্বস্তি এবং ফোলাভাব হতে পারে। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা গ্যাস্ট্রিকের মূল কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার, অনিয়মিত খাওয়া, মানসিক চাপ ইত্যাদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। আজকের ব্লগে আমরা গ্যাস্ট্রিকের কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। আসুন জেনে নিই কীভাবে সহজ উপায়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
গ্যাস্ট্রিক (gastric) সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যার পেছনে অনেক কারণ থাকে। কিছু কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত তেলমশলা।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গ্যাস্ট্রিক সমস্যার প্রধান কারণ। অনেকেই অনিয়মিত সময়ে খাবার খান। এ কারণে পাকস্থলীতে গ্যাস তৈরি হয়।
অনেকেই বেশি মশলা এবং ফাস্টফুড খেয়ে থাকেন। এই খাবারগুলো হজম হতে সময় নেয়। ফলে গ্যাসের সমস্যা হয়।
অতিরিক্ত তেলমশলা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়। বেশি তেলমশলা খাবার পাকস্থলীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
এতে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে গ্যাস জমে যায়। এ কারণে পেট ফোলাভাব ও অস্বস্তি হয়।
Credit: www.carehospitals.com
গ্যাস্ট্রিকের (gastric) লক্ষণগুলি খুবই অসুবিধাজনক হতে পারে। প্রতিদিনের জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে পারে এই সমস্যাগুলি। তাই গ্যাস্ট্রিকের সাধারণ লক্ষণগুলি চেনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পেটফাঁপার সমস্যায় ভুগছেন? এটি গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
পেট ফুলে থাকা এবং চাপ অনুভব করা খুবই বিরক্তিকর। বিশেষ করে খাবার পর এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
আমি নিজেও এই সমস্যার শিকার হয়েছি। একদিন দুপুরে ভারি খাবার খাওয়ার পর পেট ফুলে গিয়েছিল, যা বেশ কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল।
আপনিও কি এই সমস্যায় ভুগছেন? তবে খাবার পরের সময়টা একটু পর্যবেক্ষণ করুন।
খাবার পর বুকের মাঝখানে জ্বালা অনুভব করা খুবই অস্বস্তিকর। বিশেষ করে মশলাযুক্ত খাবার খাওয়ার পর এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
আমার এক বন্ধু প্রতিবার ঝাল মাংস খাওয়ার পর বুক জ্বালাপোড়ায় ভুগত। পরে বুঝতে পারল, ঝাল খাবার তার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আপনি কি বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা অনুভব করছেন? তবে খাবারের ধরণ পরিবর্তন করে দেখুন।
গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলি চেনা এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কি গ্যাস্ট্রিকের অন্যান্য লক্ষণ রয়েছে? তা হলে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পর্যাপ্ত পানি পান গ্যাস্ট্রিক সমস্যার প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের বিভিন্ন কাজ ঠিকমতো চলতে পানি প্রয়োজন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।
শরীরের প্রায় ৬০% অংশই পানি। পর্যাপ্ত পানি শরীরের বিভিন্ন কাজ সহায়ক। হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে পানি অপরিহার্য। পানি গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড কমায়। কিডনি থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। সব মিলিয়ে, পানি শরীরের জন্য অপরিহার্য।
প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। তবে, শরীরের ওজন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পানি পান করতে হবে। গরম আবহাওয়ায় বেশি পানি প্রয়োজন। ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের পর আরও বেশি পানি পান করতে হবে।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার (gastric problem solution) জন্য প্রাকৃতিক উপাদান খুবই কার্যকর। অনেক মানুষ গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগে থাকে। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমানো সম্ভব। আদা এবং জিরা এই সমস্যার জন্য খুবই উপকারী।
আদা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার জন্য একটি কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদান। আদা পেটে জমে থাকা গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন আদা চা পান করলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমে। আদায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান পেটের ব্যথা কমায়। আদা খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
জিরা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার (gastric problem) একটি উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান। জিরা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন জিরা জল পান করলে পেটে জমে থাকা গ্যাস কমে। জিরায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান পেটের সমস্যা কমায়। জিরা খেলে বদহজমের সমস্যা কমে।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা জরুরি। খাদ্যাভ্যাসের সঠিক নিয়ম না মানলে গ্যাস্ট্রিক বেড়ে যেতে পারে। তাই খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হল।
গ্যাস্ট্রিক (gastric) নিয়ন্ত্রণে রাখতে ছোট ছোট খাবার খাওয়া উচিত। বড় পরিমাণে খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয়। ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। প্রতি তিন থেকে চার ঘণ্টা অন্তর ছোট ছোট খাবার খান। এতে হজম সহজ হবে এবং গ্যাস্ট্রিক কমবে।
মশলাযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে ঝাল ও তেলযুক্ত খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমবে।
Credit: www.youtube.com
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা অনেকেরই জীবনযাপনের একটি সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দই একটি চমৎকার সমাধান হতে পারে। দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক যা হজমে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চলুন দেখি, দইয়ের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
দইয়ে প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
এগুলি অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আপনি কি জানেন, প্রতিদিন এক কাপ দই খেলে প্রায়ই গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমে যায়?
এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাসের সমস্যা কমায়।
আপনি যদি খাবারের পর দই খান, আপনার হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর হবে।
আপনার কি কখনও মনে হয়েছে, কেন দই হজমের জন্য এত উপকারী? কারণ, এটি অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।
গ্যাস্ট্রিক (gastric) সমস্যার সমাধান খুঁজছেন? বেশি আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করুন। আঁশ শরীরের পাচনতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল আপনার হজমপ্রণালী সঠিক রাখে না, বরং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দূর করে।
আপনার ডায়েটে বেশি করে সবজি যোগ করুন। শাকসবজি যেমন পালং শাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি ইত্যাদি প্রচুর আঁশ সরবরাহ করে।
একবার মনে করুন, আপনি যদি প্রতিদিন আপনার দুপুরের খাবারে একটু বেশি করে সবজি যোগ করেন, কেমন লাগবে? আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমবে।
ফলও আঁশের চমৎকার উৎস। যেমন আপেল, নাশপাতি, কলা ইত্যাদি প্রতিদিন খেলে আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমবে।
আপনি কি জানতেন? প্রতিদিন একটি আপেল খেলে আপনার হজমপ্রণালী সঠিক থাকে এবং গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি কমে যায়।
আপনার ডায়েটে এই ফলগুলি যোগ করে দেখুন। আপনি একটি বড় পরিবর্তন অনুভব করবেন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ব্যায়াম অপরিহার্য। এটি শুধুমাত্র শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করে না, বরং হজম প্রক্রিয়াকেও উন্নত করে। নিয়মিত ব্যায়াম গ্যাস ও অম্বল কমাতে সাহায্য করে। এতে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে এবং পেটের পেশি শক্তিশালী হয়।
যোগব্যায়াম গ্যাস্ট্রিক (gastric) সমস্যা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। প্রাচীন এই ব্যায়াম পদ্ধতি শরীর ও মনের জন্য উপকারী। যোগব্যায়াম পেটের পেশি শক্তিশালী করে, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। বিশেষভাবে, যোগার বিভিন্ন আসন পেটের চাপ কমায়। এতে গ্যাস ও অম্বল কমে যায়।
প্রাণায়াম হলো নিয়ন্ত্রিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করে। নিয়মিত প্রাণায়াম অভ্যাস শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে পেটের অস্বস্তি কমে। এছাড়াও, এই ব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ হলো চিনি ও মিষ্টি। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়। মিষ্টি খাদ্য গ্রহণের ফলে পেটে গ্যাস জমা হতে পারে। এ কারণে মিষ্টি খাবার সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মিষ্টি খাবার এড়ানো উচিত। মিষ্টি খাবার পেটে গ্যাস তৈরি করে। বিশেষ করে কেক, চকলেট, ক্যান্ডি এসব খাবার বেশি ক্ষতিকর। পেটের সমস্যা না বাড়াতে চাইলে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
প্রাকৃতিক মিষ্টি খাবার গ্রহণ করতে পারেন। যেমন- ফলমূল। ফলমূলে প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা পেটে সমস্যা তৈরি করে না। কলা, আপেল, আঙ্গুর এসব ফলমূলে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে। এগুলো পেটে গ্যাস তৈরি করে না।
প্রাকৃতিক মিষ্টি খাবার পেটের জন্য নিরাপদ। এছাড়া শরীরের জন্যও উপকারী। প্রাকৃতিক মিষ্টি খাবার গ্রহণ করে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে পারেন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন? আলু ও ভাতের প্রভাব সম্পর্কে জানুন। অধিকাংশ মানুষই আলু ও ভাত খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এগুলো বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়তে পারে।
আলুতে স্টার্চ ও কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। বেশি আলু খেলে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়। এজন্য প্রতিদিন কম পরিমাণে আলু খাওয়া উচিত। আলুর পরিবর্তে সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন।
ভাতে কার্বোহাইড্রেট থাকে যা গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে। প্রতিদিন কম পরিমাণে ভাত খাওয়া ভালো। ভাতের বিকল্প হিসেবে ব্রাউন রাইস বা গম খেতে পারেন। এটি গ্যাস্ট্রিক কমাতে সাহায্য করে।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ক্ষেত্রে চা ও কফি অনেকের জন্য প্রধান কারণ হতে পারে। এই পানীয়গুলোতে থাকা ক্যাফেইন গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয়। ফলে পেটে অস্বস্তি ও ব্যথা দেখা দেয়। চা ও কফি পানের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
চা ও কফিতে উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন থাকে। ক্যাফেইন গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড উৎপাদন বাড়ায়। তাই দিনে চা ও কফি কম পান করা উচিত। ক্যাফেইনমুক্ত চা ও কফি বিকল্প হতে পারে।
চা ও কফি পানের সময় নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের পরপরই চা ও কফি না পান করাই ভালো। খাবার হজমের জন্য অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষা করা উচিত। এই সময় চা ও কফি পেটে অ্যাসিড উৎপাদন কমায়।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা অনেকেরই ভোগান্তির কারণ। এর পেছনে বিভিন্ন খাদ্য এবং পানীয় দায়ী হতে পারে। চুইংগাম ও কার্বনেটেড পানীয় গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম কারণ। চুইংগাম চিবানোর সময় অনেক বায়ু পেটে প্রবেশ করে। কার্বনেটেড পানীয়ের মধ্যে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস তৈরি করে। এই দুটি অভ্যাস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়।
চুইংগাম চিবানোর সময় বাতাসের সাথে প্রচুর গ্যাস পেটে প্রবেশ করে। এর ফলে পেটে গ্যাস জমে এবং অস্বস্তি হয়। কার্বনেটেড পানীয়েও প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে। এই গ্যাস পেটে জমে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় গ্রহণ করুন। জল, লেবু পানি, আদা চা ভালো বিকল্প। এই পানীয়গুলো গ্যাস উৎপাদন কমায়। এতে পেটে চাপও কম পড়ে।
গ্যাস্ট্রিক (gastric) সমস্যার সমাধানে সঠিক ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি পর্যাপ্ত ঘুম না নেন, তাহলে আপনার শরীরের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াগুলো বিঘ্নিত হয়। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে সুস্থ রাখে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপনি কি জানেন, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয় না? তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
নিয়মিত সময়ে ঘুমানো এবং জাগ্রত হওয়া জরুরি। আপনার শরীর একটি নির্দিষ্ট সময়সূচির সঙ্গে অভ্যস্ত হলে, হজম প্রক্রিয়াও সঠিকভাবে কাজ করে। আপনি কি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান? যদি না যান, তাহলে এখনই শুরু করুন।
আপনি যদি রাতে ঘুমের সময়সূচি ঠিক রাখেন, তাহলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমে যাবে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, নিয়মিত সময়ে ঘুমানোর পর আমার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা অনেকটা কমে গেছে। আপনিও চেষ্টা করে দেখুন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকের জীবনে একটি বড় অসুবিধা। বিভিন্ন কারণ এর পিছনে থাকতে পারে। এর মধ্যে ধূমপান ও মদ্যপান অন্যতম। এই দুটি অভ্যাস গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়ায়। আসুন ধূমপান ও মদ্যপান সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
ধূমপান গ্যাস্ট্রিকের প্রধান কারণ। তামাকের ধোঁয়া পাকস্থলীর প্রদাহ বাড়ায়। এতে অ্যাসিড উৎপাদন বেড়ে যায়। ধূমপান এড়িয়ে চলুন। এটি পাকস্থলীর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ধূমপান ছাড়লে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে।
মদ্যপানও গ্যাস্ট্রিকের একটি বড় কারণ। অ্যালকোহল পাকস্থলীর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। নিয়মিত মদ্যপান গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়। মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ করুন। এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সাথে স্ট্রেসের গভীর সম্পর্ক আছে। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার উপশম সম্ভব। কয়েকটি সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করে স্ট্রেস কমানো যায়।
মেডিটেশন স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের একটি কার্যকর পদ্ধতি। প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন করুন। মনকে শান্ত করুন। গভীর শ্বাস নিন। মনকে একাগ্র করুন। নিয়মিত মেডিটেশন স্ট্রেস কমায়। গ্যাস্ট্রিক সমস্যার উপশম হয়।
রিল্যাক্সেশন স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিছু সময় নিজের জন্য রাখুন। প্রিয় গান শুনুন। বই পড়ুন। প্রকৃতির সাথে সময় কাটান। আপনার প্রিয় কাজগুলো করুন। শরীর ও মনকে রিল্যাক্স করুন। স্ট্রেস কমে যাবে। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমবে।
গ্যাস কমাতে আদা, পুদিনা পাতা, দই, কলা এবং শসা খেতে পারেন। প্রোবায়োটিক ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারও উপকারী।
গ্যাস্ট্রিকের (gastric) প্রধান কারণ হলো খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার, ধূমপান, এবং অতিরিক্ত চা-কফি সেবন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে পেটে ব্যথা, গ্যাস, বমি বমি ভাব, অম্বল এবং হজমে সমস্যা হতে পারে। খাবারের পর অস্বস্তি হয়।
গ্যাস্ট্রিক দূর করতে খাদ্যতালিকায় ফাইবারযুক্ত খাবার, প্রচুর পানি পান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ভাজাপোড়া ও মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
গ্যাস্ট্রিকের প্রধান কারণ হলো খাবার খাওয়ার অনিয়ম, ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত মশলা।
গ্যাস্ট্রিক (gastric) সমস্যার সমাধান সহজ নয়, তবে সম্ভব। সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। মানসিক চাপ কমান। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বজায় রাখুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে। সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন।