Our Location
1310 Keraniganj, Dhaka.
Dhaka, Bangladesh.
গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি সাধারণ সমস্যা। অনেকেই এই সমস্যার মুখোমুখি হন, কিন্তু এর সঠিক কারণ ও সমাধান সম্পর্কে কম জানেন। গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে পারলে এর মোকাবিলা করা সহজ হয়ে যায়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাগুলি প্রধানত পেটের ব্যথা, ফোলাভাব এবং অস্বস্তির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। খাবারের পর অস্বস্তি, বুকে জ্বালাপোড়া, এবং খাওয়ার পর অতিরিক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে। এই লক্ষণগুলো আমাদের প্রতিদিনের কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। সঠিক সময়ে এর সঠিক সমাধান না করলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই, গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা থাকা অত্যন্ত জরুরি। এই ব্লগে আমরা গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলো বিশ্লেষণ করব এবং সহজ কিছু প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব। পাঠকরা এখান থেকে উপকৃত হতে পারেন।
আপনি কি প্রায়ই পেটের সমস্যায় ভোগেন? গ্যাস্ট্রিকের সাধারণ লক্ষণ সম্পর্কে জানলে আপনি সমস্যার মূলে যেতে পারবেন। আসুন দেখি গ্যাস্ট্রিকের কিছু সাধারণ লক্ষণ।
পেট ফাঁপার অনুভূতি কি আপনার দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করছে? এটি গ্যাস্ট্রিকের একটি সাধারণ লক্ষণ। যখন আপনার পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমা হয়, তখন পেট ফুলে যেতে পারে এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
আমার এক বন্ধু, রোজা, প্রায়ই পেট ফাঁপা নিয়ে সমস্যায় ভুগতেন। তিনি লক্ষ্য করেছিলেন যে কিছু খাবার খাওয়ার পর তার পেটে গ্যাস জমা হয়। এটি বুঝতে পেরে তিনি ধীরে ধীরে তার খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করতে শুরু করেন।
গ্যাস্ট্রিকের আরেকটি সাধারণ লক্ষণ হল পেট/বুক ব্যাথা। আপনি কি খাবার খাওয়ার পর পেটে তীব্র ব্যাথা অনুভব করেন? এটি গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ হতে পারে।
আমার একদিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি, আমি একবার একটি ভারী এবং মশলাদার খাবার খেয়ে পেট ব্যাথা অনুভব করেছিলাম। এরপর আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার।
আপনি কিভাবে আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করবেন? আপনার কি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে? নাকি অন্য কোন সমাধান খুঁজবেন? আপনার মতামত কমেন্টে জানান।
গ্যাস্ট্রিকের গুরুতর লক্ষণ নিয়ে চিন্তিত? আপনি একা নন। অনেকেই বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন যা গ্যাস্ট্রিকের কারণে হতে পারে। তবে কিছু গুরুতর লক্ষণ আছে যা অবহেলা করা উচিত নয়। আসুন জানি, কীভাবে এই লক্ষণগুলো আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে।
আপনার কি প্রায়ই বমি হয়? এটি গ্যাস্ট্রিকের গুরুতর লক্ষণ হতে পারে। অতিরিক্ত বমি শরীরের পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে।
আমার এক বন্ধু একবার গ্যাস্ট্রিকের কারণে এক সপ্তাহ ধরে বমি করেছিল। তার অবস্থা এত খারাপ হয়েছিল যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।
আপনি যদি অতিরিক্ত বমি দেখেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না।
রক্তবমি গ্যাস্ট্রিকের একটি গুরুতর লক্ষণ। এটি পেটের ভেতরের ক্ষত বা আলসার থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
একবার আমি একজনকে দেখেছিলাম যার রক্তবমি হচ্ছিল। সে দ্রুত চিকিৎসা নেয়ার ফলে সুস্থ হয়ে উঠেছিল।
রক্তবমি হলে তা অবহেলা করবেন না। দ্রুত চিকিৎসা নিন, কারণ এটি জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
আপনার গ্যাস্ট্রিকের গুরুতর লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কোনো লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার স্বাস্থ্য আপনার হাতে, সুতরাং সচেতন থাকুন।
গ্যাস্ট্রিক একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেকের জীবনকে প্রভাবিত করে। কিন্তু আপনি জানেন কি, আপনার দৈনন্দিন অভ্যাস এবং মানসিক অবস্থা এর প্রধান কারণ হতে পারে? গ্যাস্ট্রিকের কারণগুলি বুঝতে পারলে আপনি এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
আপনার খাবার খাওয়ার অভ্যাস আপনার গ্যাস্ট্রিকের প্রধান কারণ হতে পারে। আপনি কি খুব দ্রুত খাচ্ছেন? তাড়াহুড়ো করে খাওয়া প্রায়ই গ্যাস্ট্রিকের কারণ হয়।
এছাড়াও, বেশি তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে। প্রতিদিনের খাবারে যদি আপনি সবজি এবং ফল বেশি যোগ করেন, তবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যাবে।
আপনি কি খাবারের পরপরই ঘুমাতে যান? এটি একটি বড় ভুল। খাবারের পর অন্তত ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে।
মানসিক চাপও গ্যাস্ট্রিকের বড় কারণ হতে পারে। আপনি কি জানেন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনার শরীরের হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে?
আপনার প্রতিদিনের জীবনে চাপ কমানোর জন্য কিছু কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। যেমন, প্রতিদিন কিছু সময় মেডিটেশন বা যোগ ব্যায়াম করুন।
আপনার কাজের চাপ বেশি হলে, তা কিভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে ভাবুন। হয়তো কাজের সময়সূচী পুনর্বিন্যাস করা যেতে পারে।
আপনার কি মনে হয়, মানসিক চাপ কমাতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া দরকার? আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।
আপনার অভ্যাস পরিবর্তন করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাগুলি কমিয়ে আনুন। আপনার স্বাস্থ্য আপনার হাতে।
Credit: organicnutrition.com.bd
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা অপরিহার্য। স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ এবং ফাস্ট ফুড পরিহার করলে গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ কমতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে। খাদ্যতালিকায় তাজা শাকসবজি, ফল, এবং হোল গ্রেইন রাখুন। চর্বি কম এবং প্রোটিন বেশি থাকা খাবার বেছে নিন।
পানি বেশি পান করুন। চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
ফাস্ট ফুড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়। অতিরিক্ত তেল, চর্বি, এবং প্রক্রিয়াজাত উপাদান থাকে।
ফাস্ট ফুড পরিহার করে স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন। বাড়িতে তৈরি খাবার বেশি খান।
গ্যাস্ট্রিক এর কারনে আলসার ও হতে পারে তাই সতর্ক হতে ভুলবেন না
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে জীবনযাত্রার পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু সহজ পরিবর্তন এনে আমরা গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলো কমাতে পারি। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
নিয়মিত ব্যায়াম গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। ব্যায়াম করলে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। এটি হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা হালকা ব্যায়াম করুন। যোগব্যায়ামও উপকারী হতে পারে। এতে শরীরের পেশি শিথিল হয়। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমে আসে।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়তে পারে। ঘুমের অভাবে শরীরে স্ট্রেস হরমোন বৃদ্ধি পায়। এটি হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। ঘুমানোর আগে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত ঘুমের সময় মেনে চলুন। ঘুমের পরিমাণ ঠিক থাকলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমে আসবে।
গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ বৈচিত্র্যময়। এই রোগের চিকিৎসা প্রধানত নির্ভর করে রোগীর লক্ষণ এবং অবস্থা অনুযায়ী। গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যা রোগীকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে সাহায্য করে।
গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় সাধারণত অ্যান্টাসিড ব্যবহার করা হয়। এই ঔষধগুলো পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড কমিয়ে দেয়। এছাড়া প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর ব্যবহার করা হয়। এটি পেটের অ্যাসিড উৎপাদন কমিয়ে দেয়। H2 রিসেপ্টর ব্লকারসও কার্যকরী। এটি পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
গ্যাস্ট্রিকের গুরুতর অবস্থায় গ্যাস্ট্রোস্কপি করা হয়। এটি একটি বিশেষ পদ্ধতি, যা রোগীর পেটের ভেতর দেখতে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রোস্কপি মাধ্যমে পেটের ভিতরে ক্ষত বা অস্বাভাবিকতা শনাক্ত করা হয়। এই পদ্ধতিতে একটি ছোট ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। এটি রোগীর পেটের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। গ্যাস্ট্রোস্কপি মাধ্যমে চিকিৎসক রোগীর অবস্থা বিশ্লেষণ করেন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য অনেকেই প্রাকৃতিক চিকিৎসার সন্ধান করেন। প্রাকৃতিক উপাদানগুলো সহজেই পাওয়া যায় এবং বেশ কার্যকরী। প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিকের উপশম সম্ভব।
গ্যাস্ট্রিকের উপশমে আদা খুবই কার্যকর। আদা হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলো কমায়। আদার রস বা আদা চা পান করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যায়।
আদা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি পেটের ফোলাভাব এবং ব্যথা কমায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আদা চা পান করলে গ্যাস্ট্রিকের উপশম হয়।
পুদিনা পাতা গ্যাস্ট্রিকের জন্য খুবই উপকারী। পুদিনা পাতার রস হজম শক্তি বাড়ায়। এটি গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলো কমাতে সাহায্য করে।
পুদিনা পাতার রস পান করলে পেটের গ্যাস কমে। এটি পেটের অস্বস্তি দূর করে। পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।
Credit: www.royalaidhospital.com.bd
গ্যাস্ট্রিক একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন কারণে ঘটে থাকে। গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় যখন আপনি কিছু বিশেষ অভ্যাসে লিপ্ত হন।
আপনি কি খুব বেশি মদ্যপান করেন? অতিরিক্ত মদ্যপান গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। মদ্যপান পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করতে পারে। আমার এক বন্ধু প্রতিদিনই পার্টিতে মদ পান করত। একদিন সে তীব্র পেটে ব্যথা অনুভব করল এবং পরবর্তীতে জানলো তার গ্যাস্ট্রিক হয়েছে।
ধূমপান কি আপনার অভ্যাস? ধূমপানও গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি বাড়ায়। নিকোটিন পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে।
ফলস্বরূপ, এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন, ধূমপানের কারণে আপনার পেটের সুস্থতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে? ধূমপান বন্ধ করে দেখুন আপনার স্বাস্থ্যে কতটা পরিবর্তন আসে।
আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি কমাতে চান, তবে এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করার কথা ভাবুন। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এই পরিবর্তনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাস্ট্রিকের কারণে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ করলেই গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ করা সম্ভব। এখানে কিছু সহজ উপায় রয়েছে যা গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে খাবার সময়মত খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবার অনিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান। সকালে, দুপুরে এবং রাতে খাবার সময় নির্ধারণ করুন। খাবার মাঝে দীর্ঘ বিরতি না রাখুন। ছোট ছোট খাবার খান। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যাবে। গ্যাস্ট্রিক দুর করতে ভাল খাবার খান।
মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকলে গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ করা সহজ হয়। মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। যোগব্যায়াম করতে পারেন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। মানসিক চাপ কমালে পেটের সমস্যা কম হয়। পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটান।
গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলো মধ্যে পেটে ব্যথা, অম্বল, বমি ভাব, ও ঢেকুর তোলার সমস্যা অন্তর্ভুক্ত। অস্বস্তি ও খাদ্য গ্রহণের পর সমস্যাগুলি বৃদ্ধি পেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) একটি দীর্ঘমেয়াদী গ্যাস্ট্রিক সমস্যা। এটি সাধারণত তখন ঘটে যখন পাকস্থলীর অম্ল এবং খাদ্য উপরের দিকে উঠে এসে খাদ্যনালীতে পৌঁছায়। GERD এর কারণে বেশিরভাগ সময় বুক জ্বালা এবং খাওয়ার পর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়।
GERD এর লক্ষণগুলি মধ্যে বুকের পীড়া, খাওয়ার পর গ্যাসের সমস্যা, এবং মৃদু থেকে তীব্রভাবে বুকে জ্বালা অন্যতম। আপনি যদি প্রায়ই এই লক্ষণগুলি অনুভব করেন, তবে এটি উপেক্ষা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।
আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এনে আপনি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারেন। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যাগুলি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
আপনার কি কখনও এমন কোনো অভিজ্ঞতা হয়েছে যেখানে আপনি গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন? আপনার মতামত এবং অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকের জীবনে একটি সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলি চিনতে পারলে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে এই সমস্যাকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
পরিবারের সদস্যরা গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলি নজরে রাখতে পারেন। পরিবারের মধ্যে সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং খাদ্যের সময়সূচি মেনে চলা প্রয়োজন।
পরিবারের সদস্যদের উত্সাহিত করতে হবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে। পর্যাপ্ত পানি পান করা, স্ট্রেস কমানো এবং যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সবাইকে খাবারের সময় একসঙ্গে বসে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলাও সহায়ক।
স্কুলের শিক্ষার্থীদের গ্যাস্ট্রিকের সচেতনতা সম্পর্কে শিক্ষাদান করা জরুরি। শিক্ষকদের উচিত গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানানো। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং বিশ্রামের গুরুত্ব বোঝানো।
স্কুলে স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্লাসে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। স্কুলে স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন করা উচিত।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা অনেকের দৈনন্দিন জীবনের একটি সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যাটি কমাতে কিছু সহজ টিপস মেনে চললে উপকার পাওয়া যায়। নিচে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে কিছু কার্যকর টিপস দেওয়া হলো।
খাওয়ার পর একটু হাঁটা অত্যন্ত উপকারী। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাবার পর অন্তত ১০-১৫ মিনিট হাঁটুন। এটি আপনার পাচনতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করবে।
শরীরের হাইড্রেশন সঠিক রাখতে প্রচুর পানি পান করুন। পানি হজম শক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন। এটি আপনার শরীরকে সতেজ এবং স্বাস্থ্যকর রাখবে।
পেটে গ্যাস হলে পেটে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, ঢেকুর ওঠা, পেট ফাঁপা, অস্বস্তি এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
গ্যাস্ট্রাইটিস থেকে মুক্তির জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন, ওষুধ সেবন করুন এবং স্ট্রেস কমান। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গ্যাস্ট্রিক হলে তেল-চর্বি জাতীয় খাবার, মশলাদার খাবার, কফি, চা, চকলেট, ক্যাবেজ, পেঁয়াজ, টমেটো, অ্যালকোহল, কার্বনেটেড ড্রিঙ্কস এড়িয়ে চলুন।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার পরীক্ষার নাম হলো এন্ডোস্কোপি। এছাড়া আল্ট্রাসাউন্ড, এক্স-রে ও ব্লাড টেস্ট করা যেতে পারে। গ্যাস্ট্রিক সমস্যা নির্ণয়ে এই পরীক্ষাগুলো কার্যকরী। চিকিৎসকের পরামর্শে নির্দিষ্ট পরীক্ষা নির্বাচন করুন।
গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলো দ্রুত শনাক্ত করা জরুরি। এতে স্বাস্থ্যের উন্নতি সম্ভব। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন। পানির পরিমাণ বাড়ান। ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। মানসিক চাপ কমান। সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকে অবহেলা করবেন না। জীবনধারায় পরিবর্তন আনুন। সুস্থ জীবন যাপন করুন।