গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা | কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

সবার সাথে শেয়ার করুন

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা একটি সাধারণ সমস্যা। এটি অনেকের জীবনে দৈনন্দিন যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গ্যাস্ট্রিকের ফলে বুকে ব্যাথা হতে পারে যা অনেক সময় অস্বস্তির কারণ হয়। এই ধরনের ব্যাথা বেশিরভাগ সময় খাবার গ্রহণের পর দেখা যায়। দ্রুত জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপ এই সমস্যার মূল কারণ। গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার উপসর্গগুলি বিভিন্ন হতে পারে, যেমন বুক জ্বলা, অস্থিরতা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন। আজকের ব্লগে আমরা গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব, যা আপনাকে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।

Table of Contents

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা কী

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা কী? আমাদের প্রতিদিনের জীবনে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা খুবই সাধারণ। এটি বুকে ব্যথার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যারা অস্বাস্থ্যকর খাবার খায় বা অনিয়মিত সময় খাওয়ার অভ্যাস করে। তাহলে গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা কী এবং এর কারণ কী?

বুকে ব্যথা সৃষ্টি

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে। প্রথমত, অম্লতা বা এসিডিটি, যা সাধারণত খাবার পর বুকে জ্বালা সৃষ্টি করে। দ্বিতীয়ত, ফ্ল্যাটুলেন্স বা গ্যাস জমা হওয়া, যা পেটে ভারী অনুভূতি এবং বুকে চাপ সৃষ্টি করে। তৃতীয়ত, জিইআরডি বা গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ, এটি খাদ্যনালীতে এসিড ওঠার কারণে বুকে ব্যথা সৃষ্টি করে।

Buy Gas-Remedy for reduce gastric : https://shop.redonpharma.com/

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার কারণ

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা অনেকের জন্যই একটি পরিচিত সমস্যা। এর কারণ অনেক রকম হতে পারে। নীচে আমরা কিছু প্রধান কারণ নিয়ে আলোচনা করব:

খাদ্যাভ্যাস

আপনার খাদ্যাভ্যাস গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার একটি প্রধান কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত মশলাদার বা তৈলাক্ত খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে। এছাড়া, খাবার খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়া বা পর্যাপ্ত পানি না খাওয়াও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে।

মানসিক চাপ

মানসিক চাপও গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার একটি বড় কারণ। আপনি হয়তো জানেন না, কিন্তু অতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনার হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। দিনের শেষে নিজেকে একটু সময় দিন এবং কিছু রিলাক্সেশন টেকনিক চেষ্টা করুন।

আপনি কি জানতেন যে কিছু সাধারণ পরিবর্তন আপনার দৈনন্দিন জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে? খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপের উপর নিয়ন্ত্রণ আনলে গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা অনেকটাই কমানো সম্ভব। আপনার অভিজ্ঞতা কি বলে?

লক্ষণ ও উপসর্গ

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার লক্ষণ ও উপসর্গগুলি বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে সহজেই চিকিৎসা করা যায়। তবে গুরুতর উপসর্গগুলি অবহেলা করলে বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

প্রাথমিক লক্ষণ

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার প্রাথমিক লক্ষণগুলি সাধারণত সহজে চেনা যায়। আপনি হয়ত অনুভব করতে পারেন:

  • বুকের মাঝখানে বা নিচে হালকা ব্যাথা
  • খাবার খাওয়ার পরে পেটে চাপাচাপি অনুভূতি
  • অম্লভাব বা পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটি

এই লক্ষণগুলি সাধারণত খাবারের পরে বা রাতে বেশী দেখা যায়।

গুরুতর উপসর্গ

গুরুতর উপসর্গগুলি দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। এগুলি হলো:

  • ব্যাথা এতটাই তীব্র যে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়
  • বুকে জ্বালাপোড়া এবং বমি ভাব
  • বুকের ব্যাথা পিঠ বা গলায় ছড়িয়ে পড়া
  • খাওয়ার পরে গ্যাসের কারণে ফোলাভাব বা পেটের ওজন বৃদ্ধি

আপনার যদি এই ধরনের উপসর্গ থাকে, সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

Credit: www.kalbela.com

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা নির্ণয়

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা সাধারণত পেটের অম্লতা থেকে হয়। এই ব্যাথা সহজে নির্ণয় করা যায় এবং চিকিৎসাও সম্ভব। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিলে আরাম পাওয়া যায়।

খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা হ্রাস করতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের পদ্ধতি আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। নিচে এই দুটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস

আপনার খাদ্যাভ্যাস গ্যাস্ট্রিক সমস্যার প্রধান কারণ হতে পারে।

প্রথমেই, খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন। বেশি খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়তে পারে।

প্রতিদিন নিয়মিতভাবে তিনটি প্রধান খাবার এবং দুটো স্ন্যাকস খান।

ফাস্ট ফুড এবং মশলাদার খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়।

সবজি এবং ফলমূল বেশি করে খান। এগুলো পেটের জন্য ভালো এবং হজমে সাহায্য করে।

আপনার খাবারে লেবু, দই, এবং হালকা মশলা যোগ করুন। এগুলো গ্যাস্ট্রিক কমাতে সাহায্য করে।

জীবনযাপন পদ্ধতি

আপনার জীবনযাপনের পদ্ধতিও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম আপনার হজমশক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিক কমায়।

দ্রুত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ধীরে ধীরে এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খাবার খান।

খাবার খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়া থেকে বিরত থাকুন। এতে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বেড়ে যায়।

ধূমপান এবং মদ্যপান কমিয়ে দিন। এগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাকে বাড়ায়।

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পানি আপনার হজমশক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিক কমায়।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ করলে গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

গ্যাস্ট্রিক-বুকে-ব্যাথা
গ্যাস্ট্রিক-বুকে-ব্যাথা

প্রাকৃতিক প্রতিকার

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার খুঁজছেন? আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কারণে বুকে ব্যাথা হয়, যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলি এই সমস্যার সহজ এবং কার্যকর সমাধান দিতে পারে। আসুন দেখি গৃহস্থালির উপায় এবং হোমিওপ্যাথি কীভাবে সাহায্য করতে পারে।

গৃহস্থালির উপায়

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু সহজ গৃহস্থালির উপায় আছে।

  • আদা: একটি ছোট টুকরা আদা চিবান বা আদা চা পান করুন। এটি গ্যাসের সমস্যা হ্রাস করতে সাহায্য করবে।
  • তুলসি পাতা: তুলসি পাতার রস বুকে ব্যাথা কমাতে কার্যকর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান।
  • ফেনেল বীজ: ফেনেল বীজ চিবান বা ফেনেল চা পান করুন। এটি হজমে সহায়তা করে এবং গ্যাস কমায়।
  • অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেল পান করুন। এটি পাকস্থলীর অম্লতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

হোমিওপ্যাথি

হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে কিছু ওষুধ বুকে ব্যাথা কমাতে কার্যকর হতে পারে।

  • Nux Vomica: অতিরিক্ত খাওয়া বা অ্যালকোহল সেবনের ফলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় সাহায্য করে।
  • Carbo Veg: গ্যাসের কারণে বুকে ব্যাথা হলে এটি উপকারী।
  • Lycopodium: পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
  • Arsenicum Album: পেটের অম্লতা এবং বুকে জ্বলুনি কমাতে কার্যকর।

আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যার জন্য কোন প্রতিকারটি সবচেয়ে কার্যকর মনে হয়? আপনি কি এই উপায়গুলি চেষ্টা করেছেন? আপনার মতামত শেয়ার করুন এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সমাধানে আপনিও সাহায্য করুন।

গ্যাস্ট্রিক-বুকে-ব্যাথা
গ্যাস্ট্রিক-বুকে-ব্যাথা

ঔষধ ও চিকিৎসা

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার ঔষধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সমস্যা প্রতিদিনের জীবনে প্রচুর অস্বস্তি এবং ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, এই সমস্যার সঠিক ঔষধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি জানা উচিত।

প্রয়োজনীয় ঔষধ

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যথার জন্য বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ঔষধ আছে যা ডাক্তার সাধারণত প্রেসক্রাইব করেন।

  • অ্যান্টাসিড: এই ঔষধগুলি বুকের অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।
  • এইচ২ রিসেপ্টর ব্লকার: এটি অ্যাসিড প্রোডাকশন কমায় এবং ব্যথা উপশম করে।
  • প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর: এটি অ্যাসিড প্রোডাকশন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়, ফলে দীর্ঘমেয়াদী উপশম মেলে।

চিকিৎসা পদ্ধতি

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যথার চিকিৎসা পদ্ধতি বিভিন্ন হতে পারে।

  1. প্রথমত, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে দেখতে পারেন। অতিরিক্ত তেল, মশলা, এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  2. দ্বিতীয়ত, নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এটি পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
  3. তৃতীয়ত, মানসিক চাপ কমানোর জন্য যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করতে পারেন।

আমি নিজে যখন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছিলাম, তখন ডাক্তার আমাকে প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর প্রেসক্রাইব করেছিলেন। এটি নিয়মিত গ্রহণের ফলে আমি দীর্ঘমেয়াদী উপশম পেয়েছি। আপনি যদি একই সমস্যায় ভুগে থাকেন, তবে ডাক্তার দেখিয়ে সঠিক ঔষধ ও চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

আপনি কি কখনো গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যথার সমস্যায় ভুগেছেন? আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করুন।

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

Credit: www.jagonews24.com

মানসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার অন্যতম কারণ মানসিক স্বাস্থ্য। মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং উদ্বিগ্নতা গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকে আরও তীব্র করে তোলে। মানুষের মানসিক অবস্থার প্রভাব শরীরে সুস্পষ্টভাবে দেখা যায়।

মানসিক চাপ

মানসিক চাপ গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার অন্যতম কারণ। চাপের ফলে পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই অতিরিক্ত অ্যাসিড গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা সৃষ্টি করে। চাপ কমাতে নিয়মিত বিশ্রাম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস প্রয়োজন।

মেডিটেশন

মেডিটেশন মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক। প্রতিদিন মেডিটেশন করলে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। এটি গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা কমাতে পারে। মেডিটেশন মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।

গ্যাস্ট্রিক ব্যাথা প্রতিরোধ

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা একটি সাধারণ সমস্যা। এটি অনেকের জন্য উদ্বেগের কারণ। কিন্তু কিছু প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ

গ্যাস্ট্রিক ব্যাথা প্রতিরোধ করতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। প্রথমত, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। খাদ্যে আঁশযুক্ত উপাদান রাখতে হবে। পেট ভরার পরপরই শুয়ে পড়া যাবে না। খাবার খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর শুতে যাবেন।

দ্বিতীয়ত, পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। পানি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন। চা, কফি ও সফট ড্রিংকস কম পান করবেন।

তৃতীয়ত, ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলো গ্যাস্ট্রিক ব্যাথা বাড়ায়। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম শরীরের হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।

নিয়মিত চেকআপ

গ্যাস্ট্রিক ব্যাথা প্রতিরোধে নিয়মিত চেকআপ প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। ওষুধ সঠিকভাবে গ্রহণ করুন। কোন সমস্যা অনুভব করলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

নিয়মিত চেকআপ করলে সমস্যার আগেই প্রতিকার সম্ভব। চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। চিকিৎসকের দেয়া ডায়েট চার্ট মেনে চলুন। নিয়মিত চেকআপ গ্যাস্ট্রিক ব্যাথা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

গ্যাস্ট্রিক-বুকে-ব্যাথা
গ্যাস্ট্রিক-বুকে-ব্যাথা

জরুরি পরিস্থিতি

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা যখন তীব্র হয়, তখন জরুরি পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এই অবস্থায় দ্রুত এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অংশে আমরা আলোচনা করবো কখন ডাক্তার দেখানো উচিত এবং জরুরি চিকিৎসা সম্পর্কে।

কখন ডাক্তার দেখাবেন

আপনার যদি গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা শুরু হয় এবং তা ক্রমাগত বেড়ে যায়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

যদি ব্যাথা এত তীব্র হয় যে আপনি স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারেন না, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।

এছাড়া, যদি ব্যাথার সাথে বমি, মাথা ঘোরা, বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তা জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন নির্দেশ করতে পারে।

জরুরি চিকিৎসা

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা তীব্র হলে, জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে যাওয়া এবং মেডিক্যাল টেস্ট করানো উচিত।

আপনার চিকিৎসক দ্রুত ব্যাথার কারণ নির্ধারণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করবেন।

কখনও কখনও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হৃদরোগের উপসর্গ হতে পারে, তাই কোনো ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়।

আপনার অভিজ্ঞতা কেমন? আপনি কি কখনও গ্যাস্ট্রিক ব্যাথার জন্য জরুরি চিকিৎসা নিয়েছেন? আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।

গ্যাস্ট্রিক ব্যাথার মিথ ও বাস্তবতা

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা একটি সাধারণ সমস্যা। এ সমস্যার মিথ ও বাস্তবতা নিয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই এসব মিথের কারণে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেন না।

প্রচলিত মিথ

অনেকেই মনে করেন, গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা শুধু অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে হয়। এছাড়া, চর্বি ও তেলযুক্ত খাবারই এর একমাত্র কারণ। অনেকে বিশ্বাস করেন, গ্যাস্ট্রিক ব্যাথা বয়স্কদের সমস্যা। তাদের ধারণা, তরুণদের গ্যাস্ট্রিক ব্যাথা হয় না।

বাস্তব তথ্য

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার অনেক কারণ আছে। শুধু অতিরিক্ত খাওয়া নয়, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও গ্যাস্ট্রিক ব্যাথার কারণ। ব্যাথা যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে। তরুণরাও গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথার শিকার হতে পারে। মানসিক চাপ ও অনিয়মিত জীবনযাপন গ্যাস্ট্রিক ব্যাথা বাড়ায়। সঠিক চিকিৎসা ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে এই সমস্যা কমানো সম্ভব।

গ্যাস্ট্রিক-আলসারের-লক্ষণ-ও-চিকিৎসা
গ্যাস্ট্রিক-আলসারের-লক্ষণ-ও-চিকিৎসা

Frequently Asked Questions

গ্যাসের কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে কি?

হ্যাঁ, গ্যাসের কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে। অতিরিক্ত গ্যাস পেটে চাপ সৃষ্টি করে বুকে ব্যথার কারণ হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়?

গ্যাস্ট্রিক হলে পেটের ওপরের অংশে, বুকের মাঝখানে এবং পিঠের মাঝে ব্যথা হতে পারে। এছাড়া, বুকে জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক হলে কি বুকে ব্যথা হয়?

হ্যাঁ, গ্যাস্ট্রিক হলে বুকে ব্যথা হতে পারে। গ্যাস বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে এই ব্যথা হয়।

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কি বুকের বাম পাশে হয়?

হ্যাঁ, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বুকের বাম পাশে হতে পারে। এটি সাধারণত বুক জ্বালা বা অম্বলের সাথে সম্পর্কিত। ব্যথা তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Conclusion

গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে উপশম সম্ভব। জীবনযাত্রা পরিবর্তন ও খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনলে আরাম পাওয়া যায়। ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আয়ুর্বেদিক ও ঘরোয়া পদ্ধতিও কাজে আসতে পারে। সবসময় সতর্ক থাকুন। স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হোন। যন্ত্রণা কমাতে ধীরে ধীরে অভ্যাস পরিবর্তন করুন। স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন। অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না। ভালো থাকুন।

সবার সাথে শেয়ার করুন

DR. SOHEL RANA
DR. SOHEL RANA

হার্বাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ সোহেল রানা B.A.M.S (DU) সরকারী ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিরপুর-১৩ ঢাকা।

ডিএমইউ (আলট্রাসনোগ্রাফি) ঢাকা রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট আয়ুর্বেদিক ফিজিসিয়ান।

উৎপাদন এবং গভেষনা কর্মকর্তা (এলিয়েন ফার্মা লিমিটেড)

চর্ম ও যৌন, রুপ ও ত্বক, বাত ব্যাথা, গ্যাস্ট্রিক লাইফ স্টাইল আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ও হারবাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।

Articles: 236

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *