Our Location
1310 Keraniganj, Dhaka.
Dhaka, Bangladesh.
গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে কী খাবেন না সেটা জানা জরুরি। কিছু খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেকের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি প্রায়ই খাবারের কারণে হয়ে থাকে। বিভিন্ন খাবার আমাদের পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়তে থাকে। বিশেষ করে মশলাদার খাবার, তেল-চর্বি যুক্ত খাবার এগুলো গ্যাস্ট্রিক বাড়ায়। এগুলো খেলে আপনি অস্বস্তিতে ভুগতে পারেন। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব কোন কোন খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়। সচেতন হলে গ্যাস্ট্রিক এড়ানো সম্ভব। আপনার খাবারে কিছু পরিবর্তন আনলেই সমস্যা কমে যাবে। তাই সঠিক তথ্য জেনে নিন এবং থাকুন সুস্থ।
Credit: www.dhakatimes24.com
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার, এবং মানসিক চাপ প্রভৃতি এর মধ্যে প্রধান। আসুন, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণগুলো ভালোভাবে জানি।
আপনার পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপাদন হলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। এই অতিরিক্ত অ্যাসিড আপনার পেটের দেওয়ালে আঘাত করে এবং ব্যথার সৃষ্টি করে।
আপনি কি জানেন, অতিরিক্ত চা-কফি পান করাও অ্যাসিড উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়? যদি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে, চা-কফি থেকে দূরে থাকুন।
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার একটি বড় কারণ। যদি আপনি সঠিক সময়ে খাবার না খান, তাহলে আপনার পেটে অ্যাসিড জমা হতে পারে।
সঠিক সময়ে খাবার খান, এবং একবারে অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে ছোট ছোট ভাগে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
আপনার খাদ্য তালিকায় মশলাযুক্ত খাবার কম রাখুন। মশলাযুক্ত খাবার অ্যাসিড উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে কতটা প্রভাব ফেলছে? খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ সম্পর্কে জানলে গ্যাস্ট্রিক থেকে রেহাই পাওয়া সহজ হবে। গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন লক্ষণ আছে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিরক্তির কারণ হতে পারে। কিছু লক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে লক্ষ্য করলে আপনি সহজেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম লক্ষণ হল পেট ব্যথা। এই ব্যথা সাধারণত পেটের ওপরের অংশে বেশি অনুভূত হয়। আপনি যদি নিয়মিত পেট ব্যথায় ভোগেন, তবে এটি গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ হতে পারে।
একবার আমার এক বন্ধু বলেছিল, সে প্রতিদিন দুপুরের পর পেট ব্যথায় ভুগত। সে তার খাবার তালিকা পরিবর্তন করে এবং কিছু খাবার বাদ দিয়েছিল, এর পরেই তার পেট ব্যথা কমে যায়।
অম্বলের অনুভূতি গ্যাস্ট্রিকের আরেকটি সাধারণ লক্ষণ। এটি সাধারণত খাবার খাওয়ার পর বা রাতে বাড়ে।
আপনার কি কখনও এমন হয়েছে, আপনি খাবারের পর অম্বল অনুভব করছেন? এই অস্বস্তিকর অনুভূতি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত।
অম্বল কমানোর জন্য আপনি কিছু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে পারেন। যেমন, তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা।
আপনি কি প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে কোন পরিবর্তন এনেছেন যা অম্বল কমাতে সহায়ক হয়েছে? আপনার মতামত শেয়ার করুন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকের জন্যই খুবই অস্বস্তিকর হতে পারে। বিশেষ করে যদি সঠিক খাদ্যাভ্যাস না মানা হয়। কিছু খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। এমন খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
মশলাযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। মশলা পেটে এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ফলে পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে। অতিরিক্ত ঝাল বা মশলাযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন। এগুলো হজমে সমস্যা করতে পারে।
তেলযুক্ত খাবারও গ্যাস্ট্রিকের জন্য ক্ষতিকর। এই ধরনের খাবার হজম হতে সময় নেয়। ফলে পেট ফাঁপা বা অস্বস্তি হতে পারে। অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়। তাই এসব খাবার থেকে দূরে থাকুন।
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় | কার্যকরী ঘরোয়া পদ্ধতি
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো অ্যাসিডিক খাবার এড়িয়ে চলা। অ্যাসিডিক খাবার আপনার পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকে আরও গুরুতর করে তুলতে পারে। তাই, কিছু খাবার থেকে দূরে থাকা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
আপনি কি জানেন লেবুর রস খেলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়তে পারে? যদিও লেবু অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর, কিন্তু এর উচ্চ অ্যাসিডিক প্রভাব আপনার পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে খালি পেটে লেবুর রস পান করা আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকে জটিল করে তুলতে পারে।
একবার আমি সকালে লেবুর রস পান করেছিলাম এবং সারা দিন পেটের ব্যথায় ভুগেছিলাম। তারপর থেকে আমি বুঝেছি, লেবুর রস এড়িয়ে চলা কতটা জরুরি। আপনি কি লেবুর রস পছন্দ করেন? তাহলে বিকল্প হিসেবে কম অ্যাসিডিক ফলের রস বেছে নিন।
টমেটো, যদিও এটি সালাদে দারুণ স্বাদ যোগ করে, কিন্তু এটি আপনার গ্যাস্ট্রিকের জন্য ভালো নয়। টমেটোর উচ্চ অ্যাসিডিক প্রভাব আপনার পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আপনি কি টমেটো ছাড়া খাবারের স্বাদ কল্পনা করতে পারেন?
আমি একবার টমেটো সস দিয়ে পাস্তা খেয়েছিলাম এবং তারপর পুরো রাত পেটের ব্যথায় জেগে ছিলাম। সেই দিন থেকে আমি টমেটো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। আপনি যদি গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে টমেটো ছাড়া খাবারের বিকল্প খুঁজুন।
আপনি কি জানেন আর কোন কোন খাবার আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়াতে পারে? আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন এবং অন্যদের সাহায্য করুন। সচেতনভাবে খাবার নির্বাচন করুন এবং আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়ানো আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরি। ক্যাফেইন পেটের অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়ায়, যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনি কি জানেন কফি এবং চা, এই দুই জনপ্রিয় পানীয়ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়াতে পারে? এই পানীয়গুলো কেন এড়ানো উচিত তা আমরা আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
আপনি কি সকালে এক কাপ কফি ছাড়া দিন শুরু করতে পারেন না? অনেকেই কফি ছাড়া দিনটা শুরু করতে পারেন না, কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে কফি এড়ানো ভালো। কফিতে থাকা ক্যাফেইন পেটের অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়াতে পারে, যা আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
আপনি কি জানেন যে কফির পরিবর্তে হার্বাল চা বা ডিক্যাফিনেটেড কফি পান করা যেতে পারে? এই বিকল্পগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। আপনি কি আপনার সকালকে কফি ছাড়া আরও ভালো করে তুলতে পারেন? নিজের জন্য কিছু নতুন অভ্যাস তৈরি করুন।
চা কি আপনার প্রিয় পানীয়? চায়ের ক্যাফেইনও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাকে বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে, কালো চায়ের ক্যাফেইন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
আপনি কি কখনও গ্রীন টি বা হার্বাল টি ট্রাই করেছেন? এই চা গুলো ক্যাফেইনমুক্ত এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এড়াতে সাহায্য করতে পারে। আপনি কি আপনার চায়ের অভ্যাস পরিবর্তন করতে প্রস্তুত? আপনার স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন এবং আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমানোর চেষ্টা করুন।
আপনার অভ্যাসে ছোট পরিবর্তন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। আপনার পছন্দের পানীয় পরিবর্তন করার মাধ্যমে আপনি কি আপনার স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারবেন? নিজের জন্য কিছু নতুন অভ্যাস তৈরি করুন।
Credit: www.kalerkantho.com
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। এর প্রধান কারণ হলো ভুল খাদ্যাভ্যাস। কার্বনেটেড পানীয় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এই পানীয়গুলোতে থাকে কার্বন ডাইঅক্সাইড, যা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি করে। এই গ্যাস পেটে অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই পানীয়গুলো এড়ানো উচিত।
সোডা হলো জনপ্রিয় কার্বনেটেড পানীয়। এর মধ্যে থাকে অতিরিক্ত সুগার এবং কৃত্রিম স্বাদ। এগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। সোডায় থাকা ফিজ পেটে চাপ সৃষ্টি করে। পেট ফুলে যায়। এই কারণে সোডা পান করা এড়িয়ে চলা উচিত।
কোলা আরেকটি প্রচলিত কার্বনেটেড পানীয়। এতে থাকে ক্যাফেইন, যা গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়ায়। কোলায় থাকা অতিরিক্ত সুগারও পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে। কোলার ফিজ পেটে গ্যাস তৈরি করে। এই পানীয় এড়ানো ভালো। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে কোলা এড়িয়ে চলুন।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে খাবার চিবিয়ে খেলে গ্যাস্ট্রিক কম হয়। দ্রুত খাওয়া গ্যাস্ট্রিকের প্রধান কারণ। খাবার ধীরে ধীরে এবং সচেতনভাবে খাওয়া উচিত। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যাবে।
খাবার আলতো করে চিবানো উচিত। প্রতিটি খাবার ভালোভাবে চিবানো প্রয়োজন। চিবানোর মাধ্যমে খাবার সহজে হজম হয়। দ্রুত চিবানো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়। আলতো করে চিবানো খাবার হজমে সাহায্য করে।
খাবার ছোট ছোট অংশে ভাগ করে খাওয়া উচিত। বড় অংশে খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়। ছোট অংশে খাবার সহজে হজম হয়। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যায়। খাবার ছোট ছোট অংশে ভাগ করে খাওয়া স্বাস্থ্যকর।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হলে খাদ্য গ্রহণের সময়সূচি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে খাবার না খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই খাবারের সময়সূচি ঠিক রাখা জরুরি। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
খাবার গ্রহণের মাঝে নিয়মিত বিরতি রাখা উচিত। ছোট ছোট খাবার বারবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড বেশি উৎপন্ন হয়। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট বিরতিতে খাবার গ্রহণ করা উচিত।
রাতের খাবার আগে কিছুক্ষণ বিরতি রাখা উচিত। রাতে বেশি ভারী খাবার খাওয়া উচিত নয়। হালকা খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম হয়। রাতের খাবার শেষে ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ হাঁটা ভালো। এতে খাবার হজমে সাহায্য করে।
গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে তেল-মশলাযুক্ত খাবার, গ্যাস উৎপাদনকারী সবজি এবং ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত তেল ও মশলা গ্যাস্ট্রিক বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভাজাপোড়া, মশলাদার খাবার এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। এগুলো পাকস্থলীর অম্লতা বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে সেদ্ধ খাবার, তাজা ফল এবং সবজি খেতে পারেন।
শাকসবজি আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পালং শাক, লাউ, পেঁপে ইত্যাদি শাকসবজি আপনার পেটের জন্য হালকা এবং সহজপাচ্য। এগুলি সহজেই হজম হয় এবং পেটের গ্যাসের সমস্যা কমাতে সহায়ক।
একবার আমি পেটের সমস্যা নিয়ে বেশ ভুগছিলাম, তখন আমার মা পালং শাকের স্যুপ বানিয়ে দিয়েছিলেন। সত্যিই, অল্প সময়ের মধ্যে পেটের ব্যথা কমে গিয়েছিল। আপনি কি একই রকম কোনও অভিজ্ঞতা পেয়েছেন?
ফলমূলও আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হতে পারে। কলা, পেঁপে, এবং তরমুজের মতো ফল আপনার পেটের জন্য হালকা এবং সহজপাচ্য।
পেঁপে বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের জন্য খুব ভালো। একবার আমি পেঁপের সালাদ খেয়ে দেখেছিলাম, যা আমার পেটের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করেছিল।
আপনি যদি ফলমূল খেতে পছন্দ করেন তবে এই ধরনের স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলো আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। আপনি কি জানেন আর কোন ফল আপনার গ্যাস্ট্রিকের জন্য ভালো হতে পারে?
এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলো আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যোগ করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। তাহলে আপনি কীভাবে আপনার খাদ্য তালিকায় এই স্বাস্থ্যকর বিকল্পগুলো যোগ করবেন? চেষ্টা করে দেখুন, ফলাফল দেখতে পেয়ে আপনি নিজেই অবাক হবেন!
গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ | কীভাবে চিনবেন এবং প্রতিরোধ করবেন
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গ্যাস্ট্রিকের সময় কিছু বিশেষ খাবার পরিহার করতে হয়। সেই সাথে প্রাকৃতিক উপাদানগুলির ব্যবহার করা যায়। এগুলি সহজলভ্য এবং দারুণ কার্যকরী। চলুন, গ্যাস্ট্রিকের সময় কি কি খাওয়া যাবে না এবং কি কি উপাদান ব্যবহার করা উচিত তা জানি।
আদা গ্যাস্ট্রিকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। আদার মধ্যে থাকা জিঞ্জারোল গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে। আদার রস বা চা খেতে পারেন। এটি গ্যাস্ট্রিকের অস্বস্তি কমায়। খাবারের সাথে আদা ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
পুদিনা পাতাও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিরাময়ে সহায়ক। এটি হজম শক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড কমায়। পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। পুদিনা চা বা পানীয়ও উপকারী। গ্যাস্ট্রিকের সময় পুদিনা ব্যবহারে দ্রুত স্বস্তি পাওয়া যায়।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হলে জীবনযাত্রা এবং ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক জীবনযাত্রা এবং ব্যায়াম গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
নিয়মিত ব্যায়াম পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ব্যায়াম করলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়। এটি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে পারে। হাঁটা, সাইকেল চালানো এবং যোগ ব্যায়াম উপকারী। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত।
স্ট্রেস গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বাড়ায়। স্ট্রেস কমানোর জন্য মেডিটেশন করা উচিত। মেডিটেশন মানসিক চাপ কমায়। এতে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমে। পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রামও স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগলে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা এই ক্ষেত্রে অপরিহার্য। তারা আপনাকে সঠিক খাদ্য তালিকা দিতে পারেন যা আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে। তবে, অনেকেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ছাড়া নিজে থেকেই কিছু খাবার এড়িয়ে চলেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের প্রথম ধাপ হল প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো। অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অন্য কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে।
এই পরীক্ষাগুলি করলে আপনি জানতে পারবেন আপনার সমস্যার মূল কারণ।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে, চিকিৎসক আপনার জন্য সঠিক ঔষধ এবং চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন।
অনেকেই ঔষধ সঠিকভাবে গ্রহণ না করে সমস্যার সমাধান আশা করেন। কিন্তু, ঔষধ সঠিকভাবে গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সহজেই কমে আসে।
আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন কেন কিছু খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়? চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার নির্বাচন করলে আপনি আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা অনেকটাই কমাতে পারবেন।
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করবেন। এইভাবে আপনি দ্রুত সুস্থতা লাভ করতে পারবেন।
পেটে গ্যাস হলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যেমন সবুজ শাকসবজি, ফল, ওটস খাওয়া উচিত। এছাড়া দই এবং পানীয় জলও সহায়ক।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় কলা, পেঁপে এবং তরমুজ খেতে পারেন। এই ফলগুলো হজমে সহায়ক এবং অ্যাসিডিটি কমায়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীর সুস্থ রাখে। এগুলো পেটের জন্য সুরক্ষিত এবং সহজে হজমযোগ্য। নিয়মিত এই ফল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
পেটের গ্যাস কমানোর জন্য কিছু কার্যকর ব্যায়াম হলো পবনমুক্তাসন, সেতুবন্ধাসন এবং কপালভাতি প্রণায়াম। নিয়মিত এই ব্যায়ামগুলি করলে গ্যাসের সমস্যা কমে। ব্যায়াম করার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর মনোযোগ দিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করা সবচেয়ে উপকারী।
সকালের নাস্তায় ওটমিল, দই, কলা, পেঁপে বা সেদ্ধ ডিম খেলে গ্যাস হবে না। এসব খাবার সহজপাচ্য এবং পুষ্টিকর।
গ্যাস্ট্রিক হলে খাদ্য নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাজা এবং তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন। জাঙ্ক ফুড, কোমল পানীয়, ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। তাজা ফলমূল ও শাকসবজি খান। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস গ্যাস্ট্রিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীরের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন।