পাইলস একটি যন্ত্রণাদায়ক এবং বিরক্তিকর সমস্যা। এটি মলদ্বারের চারপাশে ফোলাভাব এবং ব্যথা সৃষ্টি করে। পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরি। পাইলসের সমস্যা হলে অনেকেই ডাক্তার দেখাতে লজ্জা পান বা সময় পান না। এই সমস্যার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় আছে, যা সহজ এবং কার্যকর। ঘরোয়া চিকিৎসা প্রায়শই নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে করা যায়। কিছু সাধারণ উপায়ের মধ্যে রয়েছে খাবারের পরিবর্তন, পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম। এই উপায়গুলো সহজে অনুসরণ করা যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। আসুন, পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসার কিছু কার্যকর পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান: শাকসবজি, ফলমূল, ওটস, গোটা শস্য ইত্যাদি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার পাইলসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। ফাইবার মল নরম করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন: দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। এটি মল নরম রাখতে সাহায্য করে এবং পাইলসের ব্যথা কমায়।
উষ্ণ পানিতে সিটজ বাথ: দিনে ২-৩ বার উষ্ণ পানিতে ১৫-২০ মিনিট সিটজ বাথ নিন। এটি পাইলসের ব্যথা ও ফোলা কমাতে সাহায্য করে।
নারকেল তেল: নারকেল তেলের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহনাশক গুণ পাইলসের চিকিৎসায় কার্যকর। আক্রান্ত স্থানে নারকেল তেল প্রয়োগ করুন।
লবণ পানির দ্রবণ: উষ্ণ পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে ফেলুন। এটি সংক্রমণ রোধ করে এবং ব্যথা কমায়।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন: পাইলসের স্থান পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখুন। এটি সংক্রমণ রোধ করে।
পাইলস কি?
পাইলস কি?
পাইলস বা হেমোরয়েডস হল মলদ্বার ও মলদ্বারের চারপাশের শিরার স্ফীতি। এটি বেশ কষ্টদায়ক হতে পারে এবং মলত্যাগের সময় রক্তপাতের কারণ হতে পারে। আপনি কি জানেন, প্রতি তিনজন প্রাপ্তবয়স্কর মধ্যে একজনের জীবনে কোন না কোন সময়ে পাইলস হয়?
লক্ষণ
পাইলসের লক্ষণগুলি খুবই ব্যথাদায়ক এবং অস্বস্তিকর হতে পারে।
- মলত্যাগের সময় রক্তপাত
- মলদ্বারের চারপাশে চুলকানি বা জ্বালা
- মলদ্বারের চারপাশে ফোলা বা ব্যথা
- মলদ্বারের কাছাকাছি স্ফীত শিরা অনুভব করা
এই লক্ষণগুলি যদি আপনি অনুভব করেন, তবে এটি হতে পারে পাইলসের ইঙ্গিত।
কারণ
পাইলস কেন হয়? এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে।
- অতিরিক্ত চাপ দিয়ে মলত্যাগ করা
- কব্জির সমস্যা (কোষ্ঠকাঠিন্য)
- দীর্ঘক্ষণ ধরে বসে থাকা
- গর্ভাবস্থা
- অতিরিক্ত ওজন
আপনি যদি এই কারণগুলো থেকে দূরে থাকতে পারেন, তাহলে পাইলসের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন।
আপনার কি কখনও পাইলস হয়েছে? আপনি যদি আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, অন্যরা উপকৃত হতে পারে।

Credit: rtvonline.com
পাইলসের প্রকারভেদ
পাইলস বা হেমোরয়েডস হলো অস্বস্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা। এটি মূলত রক্তনালী গুলির স্ফীতি এবং ফোলাভাবের কারণে ঘটে। পাইলসের প্রধানত দুটি প্রকারভেদ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ পাইলস এবং বহিঃস্থ পাইলস।
অভ্যন্তরীণ পাইলস
অভ্যন্তরীণ পাইলস মূলত রেকটামের অভ্যন্তরে ঘটে। এটি সাধারণত কম যন্ত্রণাদায়ক হয়। কারণ, রেকটামের অভ্যন্তরের নার্ভ শেষ হয় না। রক্তপাত এবং মলদ্বারের চাপ হলো প্রধান লক্ষণ। রেকটামের ভিতরে ফোলা রক্তনালী গুলি থাকে। কখনও কখনও এগুলি মলদ্বারের বাইরে আসতে পারে।
বহিঃস্থ পাইলস
বহিঃস্থ পাইলস মলদ্বারের বাইরের অংশে ঘটে। এটি সাধারণত বেশি ব্যথা দেয়। কারণ, বাইরের অংশে নার্ভ শেষ হয়। বহিঃস্থ পাইলসের ক্ষেত্রে ফোলা রক্তনালীগুলি মলদ্বারের চারপাশে অবস্থান করে। এগুলি শিরশিরানি এবং রক্তপাত ঘটাতে পারে।
ঘরোয়া চিকিৎসার গুরুত্ব
পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে স্বস্তি পাওয়া যায়। পাইলসের সমস্যা কমাতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়।
প্রাকৃতিক উপাদান
প্রাকৃতিক উপাদান যেমন অ্যালোভেরা, তুলসি, এবং মধু পাইলসের চিকিৎসায় সাহায্য করে। অ্যালোভেরা পাইলসের ব্যথা কমায়। তুলসি পাইলসের সংক্রমণ রোধ করে। মধু পাইলসের ফোলা কমায়।
খরচ সাশ্রয়
ঘরোয়া চিকিৎসা খরচ সাশ্রয়ী। প্রাকৃতিক উপাদান সহজলভ্য। ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে চিকিৎসা খরচ কম হয়।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন
পাইলসের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এটি একটি অস্বস্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা হতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সঠিক খাদ্যাভ্যাস পাইলসের কষ্ট কমাতে সাহায্য করে।
ফাইবারযুক্ত খাবার
ফাইবার আপনার পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এটি অন্ত্রের চলাচল সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
আপনার খাদ্যতালিকায় শাকসবজি, ফলমূল, গোটা শস্য এবং ডাল জাতীয় খাবার যোগ করুন।
ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে মল নরম থাকে এবং পাইলসের ব্যথা কমে।
জল পান
জল আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
যথেষ্ট জল পান করলে আপনার মল নরম থাকে এবং সহজে বের হয়।
আপনি কি প্রতিদিন যথেষ্ট জল পান করছেন? যদি না করেন, তাহলে আজ থেকেই শুরু করুন।
এই ছোট পরিবর্তনগুলি আপনার জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
তেল ও মলম প্রয়োগ
পাইলস একটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। অনেক সময় ঘরোয়া চিকিৎসা এই সমস্যার উপশম করতে পারে। তেল ও মলম প্রয়োগ এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী হতে পারে। আপনার হাতের কাছে থাকা কিছু উপাদান দিয়ে আপনি সহজেই এই চিকিৎসা শুরু করতে পারেন।
নারিকেল তেল
নারিকেল তেল পাইলসের যন্ত্রণা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রভাব আছে। প্রতিদিন সকালে ও রাতে পাইলসের স্থানে নারিকেল তেল লাগালে আরাম পাবেন।
আপনার শৈশবের কথা মনে করুন, যখন মাথায় নারিকেল তেল লাগানো হত। এটি যেমন মাথার স্ক্যাল্পের জন্য উপকারী, তেমনি পাইলসের যন্ত্রণার উপশমেও দারুণ কাজে আসে।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল পাইলসের জন্য একটি প্রাকৃতিক উপশম। এটি চুলকানি ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা পাতার জেল সরাসরি প্রয়োগ করতে পারেন।
আপনি যদি একটি পাত্রে অ্যালোভেরা জেল সংরক্ষণ করেন, তাহলে প্রতিদিন সকালে ও রাতে এটি ব্যবহার করা সহজ হবে। অ্যালোভেরা আপনার ত্বককে শীতল ও আরামদায়ক রাখবে।
আপনার কি মনে আছে, একবার আপনি অ্যালোভেরা গাছ কাটতে গিয়ে হাত কেটে ফেলেছিলেন? তখন অ্যালোভেরা জেল তাৎক্ষণিকভাবে আরাম দিয়েছিল। ঠিক একইভাবে, পাইলসের ক্ষেত্রেও এটি ত্রাতা হতে পারে।
আপনি কি কখনও পাইলসের সমস্যা ভুগেছেন? যদি থেকে থাকেন, তবে এই প্রাকৃতিক চিকিৎসাগুলি চেষ্টা করতে পারেন।

Credit: www.youtube.com
গরম পানির সিটজ বাথ
পাইলসের সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য গরম পানির সিটজ বাথ একটি অত্যন্ত কার্যকরী ঘরোয়া চিকিৎসা। এটি সহজ, সাশ্রয়ী এবং বাড়িতেই করা যায়। গরম পানির সিটজ বাথ নিয়মিত করলে পাইলসের ব্যথা ও অস্বস্তি অনেকটা কমে যায়।
প্রস্তুতি
গরম পানির সিটজ বাথ নেওয়ার জন্য প্রথমে একটি বড় পাত্র বা বাথটব প্রয়োজন। নিশ্চিত করুন যে পাত্রটি পরিষ্কার।
এরপর, গরম পানি নিন। তবে খুব বেশি গরম নয়, যাতে আপনার ত্বক পুড়ে না যায়।
একটি থার্মোমিটার ব্যবহার করে পানির তাপমাত্রা প্রায় ৩৭-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখুন।
সাবান বা অন্য কোনও রাসায়নিক পদার্থ পানিতে মেশাবেন না। শুধু পরিষ্কার গরম পানি ব্যবহার করুন।
উপকারিতা
গরম পানির সিটজ বাথের অন্যতম বড় উপকারিতা হলো এটি পাইলসের ব্যথা ও অস্বস্তি কমায়।
এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং পাইলসের ফোলাভাব কমায়।
গরম পানি ত্বককে শিথিল করে এবং চুলকানি ও জ্বালাপোড়া কমায়।
এছাড়াও, নিয়মিত সিটজ বাথ নিলে মলদ্বারের সংক্রমণও প্রতিরোধ করা যায়।
আপনি কি কখনও গরম পানির সিটজ বাথ নিয়েছেন? যদি না নিয়ে থাকেন, তবে আজই চেষ্টা করে দেখুন।
আপনার পাইলসের সমস্যায় এর কতটা উপকার পাচ্ছেন, তা আমাদের জানাতে ভুলবেন না।
যোগব্যায়াম ও শরীরচর্চা
পাইলস এর চিকিৎসায় যোগব্যায়াম ও শরীরচর্চা একটি কার্যকরী পদ্ধতি। নিয়মিত যোগব্যায়াম ও শরীরচর্চা পাইলস এর উপশমে সহায়ক হতে পারে। এটি রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং পাইলসের কারণে সৃষ্ট অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। যোগব্যায়াম ও শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে এবং মলদ্বারের পেশির শক্তি বৃদ্ধি পায়।
যোগাসন
যোগাসন পাইলস এর চিকিৎসায় বিশেষ কার্যকর। যোগাসন শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে পাইলসের কারণে সৃষ্ট রক্তপাত ও অস্বস্তি কমে। পাইলসের জন্য উপকারী কিছু যোগাসন হলো পবনমুক্তাসন, ভুজঙ্গাসন ও মালাসন।
পবনমুক্তাসন গ্যাস ও বায়ু নিষ্কাশন করে। ভুজঙ্গাসন পেটের পেশি মজবুত করে। মালাসন মলদ্বারের চাপ কমায় এবং পাইলসের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
হালকা ব্যায়াম
হালকা ব্যায়ামও পাইলস এর চিকিৎসায় সহায়ক। নিয়মিত হাঁটা, সাইক্লিং ও সাঁতার শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। পাইলসের কারণে সৃষ্ট ফোলা ও অস্বস্তি কমে।
হালকা ব্যায়াম মলদ্বারের পেশির শক্তি বৃদ্ধি করে। এতে মলত্যাগ সহজ হয় এবং পাইলসের কারণে সৃষ্ট ব্যথা কমে। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের হালকা ব্যায়াম পাইলস এর উপশমে কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।

Credit: seradoctor.com
বাড়তি যত্ন ও সতর্কতা
পাইলস একটি জটিল সমস্যা যা অধিকাংশ মানুষই অভিজ্ঞতা করেন। ঘরোয়া চিকিৎসায় কিছু বাড়তি যত্ন ও সতর্কতা নিয়ে চললে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এখানে আমরা সেই বাড়তি যত্ন ও সতর্কতা নিয়ে আলোচনা করব যা আপনার পাইলসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে।
মলত্যাগের সময়
আপনি যদি মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত চাপ দেন, তা হলে পাইলসের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই মলত্যাগের সময় বেশি চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আপনার খাদ্যাভ্যাসে ফাইবার যুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং মল সহজে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।
জলপান বাড়িয়ে দিন। পর্যাপ্ত জল পান করলে মল নরম থাকে এবং মলত্যাগ সহজ হয়।
বাথরুমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বাথরুমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। বাথরুমের নোংরা পরিবেশ পাইলসের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
প্রতিবার মলত্যাগের পর ভালোভাবে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। তা ছাড়া, আপনি হালকা গরম জলে বসে থাকাও চেষ্টা করতে পারেন, যা আরাম দেয়।
ব্যবহার করুন নরম টয়লেট পেপার। খসখসে টয়লেট পেপার পাইলসের জ্বালা বৃদ্ধি করতে পারে।
আপনি যদি এই বাড়তি যত্ন ও সতর্কতা মেনে চলেন, তা হলে আপনার পাইলসের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
আপনার কি মনে হয় এই টিপসগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগবে? নিচে মন্তব্য করে জানান।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
পাইলস একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, কিছু গুরুতর লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তার দেখানো অত্যন্ত জরুরি। আপনি যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেন, তাহলে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। তাই, কখন ডাক্তার দেখাবেন, তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গুরুতর লক্ষণ
আপনার পাইলসের সমস্যা যদি গুরুতর হয়ে ওঠে, তাহলে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
- অত্যন্ত ব্যথা বা অস্বস্তি
- মলত্যাগের সময় অত্যাধিক রক্তপাত
- মলদ্বারের চারপাশে ফোলা বা গিঁট তৈরি হওয়া
- কোনও ওষুধ বা ঘরোয়া চিকিৎসায় উন্নতি না হওয়া
আপনি যদি এই লক্ষণগুলি লক্ষ্য করেন, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চিকিৎসা প্রয়োজন
পাইলসের গুরুতর লক্ষণগুলি উপেক্ষা করলে, সমস্যাটি আরও জটিল হতে পারে।
একবার আমার এক আত্মীয় পাইলসের সমস্যার কারণে অনেক দিন ভুগছিল। প্রথমে তিনি ঘরোয়া চিকিৎসা ব্যবহার করে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু পরে সমস্যাটি এতটাই গুরুতর হয়ে যায় যে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।
আপনার অবস্থাও যাতে এমন না হয়, তাই সময়মতো চিকিৎসা নিন।
তাহলে, আপনি কি এখনও সমস্যা উপেক্ষা করছেন? আর দেরি করবেন না। যদি গুরুতর লক্ষণগুলি দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান।
Frequently Asked Questions
পাইলসের জন্য কি কি ঘরোয়া সমাধান রয়েছে?
পাইলসের ঘরোয়া সমাধান: নিয়মিত আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান, চা গাছের তেল ব্যবহার, গরম পানিতে বসা।
পাইলস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না?
পাইলস হলে মশলাদার খাবার, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, মদ্যপান ও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
মলদ্বারে নারকেল তেল দিলে কি হয়?
মলদ্বারে নারকেল তেল দিলে শুষ্কতা দূর হয়, আরাম মেলে এবং ফাটল প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
অপারেশন ছাড়া পাইলস কিভাবে ভালো হয়?
পাইলস অপারেশন ছাড়া ভালো করতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন, প্রচুর জল পান করুন, ফাইবারযুক্ত খাবার খান, ব্যায়াম করুন, ওষুধ ব্যবহার করুন।
Conclusion
পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসা সহজ ও কার্যকর হতে পারে। প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ব্যবহার করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। আঁশযুক্ত খাবার খান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বিশ্রাম নিন এবং চাপমুক্ত থাকুন। পাইলসের প্রাথমিক অবস্থায় ঘরোয়া চিকিৎসা কার্যকর। তবে, অবস্থা গুরুতর হলে ডাক্তার দেখান। ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে সুস্থ থাকুন। আপনার জীবনের গুণগত মান উন্নত হবে।