ফেস প্যাক বানানোর নিয়ম | ঝকঝকে ত্বক পাবার সহজ উপায়

সবার সাথে শেয়ার করুন

ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের যত্ন নেওয়া সহজ হয়। ফেস প্যাক ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল করে। ত্বকের যত্নে ফেস প্যাকের গুরুত্ব অপরিসীম। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ, শুষ্কতা বা অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে ফেস প্যাক কার্যকর। আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী বাড়িতে তৈরি ফেস প্যাক সবচেয়ে ভালো। এতে রাসায়নিক ব্যবহারের ঝুঁকি কম থাকে। ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে ফেস প্যাক তৈরি করা যায়। এই ব্লগে আমরা সহজেই বাড়িতে ফেস প্যাক বানানোর নিয়ম শিখব। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এই ফেস প্যাক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখতে এই নিয়মগুলো অনুসরণ করুন।

Table of Contents

ফেস প্যাকের গুরুত্ব

ফেস প্যাকের গুরুত্ব অপরিসীম। ত্বকের যত্নে ফেস প্যাক যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি তা সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। নিয়মিত ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে সতেজ রাখে।

ত্বকের যত্নে ফেস প্যাক

ত্বকের যত্নে ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক সুস্থ থাকে। এটি ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে মসৃণ করে। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের সমস্যা কমে যায়।

প্রাকৃতিক উপাদানের ভূমিকা

প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে ফেস প্যাক আরও কার্যকর হয়। প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। মধু, দুধ, হলুদ, বেসন প্রভৃতি উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

ফেস প্যাকের প্রকারভেদ

ফেস প্যাকের প্রকারভেদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন ত্বকের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফেস প্যাক আছে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক ফেস প্যাক ব্যবহার করা উচিত। এটি ত্বকের যত্ন এবং সৌন্দর্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

শুকনো ত্বকের জন্য

শুকনো ত্বকের জন্য ফেস প্যাক তৈরিতে মধু ও দই ব্যবহার করা যায়। মধু ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। দই ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। এক চামচ মধু এবং এক চামচ দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেস প্যাক তৈরিতে বেসন ও লেবুর রস ব্যবহার করা যায়। বেসন ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করে। লেবুর রস ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এক চামচ বেসন এবং এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে তেলমুক্ত ও উজ্জ্বল করে।

ফেস-প্যাক-বানানোর-নিয়ম
ফেস-প্যাক-বানানোর-নিয়ম

ফেস প্যাক তৈরির উপকরণ

ফেস প্যাক তৈরির উপকরণ নিয়ে চিন্তা করছেন? ফেস প্যাক তৈরির উপকরণ নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক উপকরণ ব্যবহার করলে ত্বকের যত্নে ভালো ফল পাওয়া যায়। এখানে আমরা আলোচনা করব ফেস প্যাক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান এবং উপকরণের গুণাগুণ সম্পর্কে।

প্রয়োজনীয় উপাদান

ফেস প্যাক তৈরি করতে প্রধানত কয়েকটি সাধারণ উপাদান দরকার হয়। এগুলো ঘরে সহজেই পাওয়া যায়। যেমন, মধু, দই, বেসন, হলুদ গুঁড়ো, গোলাপ জল। এসব উপাদান ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ফেস প্যাক তৈরি করা যায়।

উপকরণের গুণাগুণ

মধু ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ আছে। দই ত্বককে শীতল রাখে এবং প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। বেসন ত্বককে উজ্জ্বল করে। হলুদ গুঁড়ো অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। গোলাপ জল ত্বককে শীতল এবং সতেজ রাখে।

ফেস প্যাক বানানোর প্রক্রিয়া

ফেস প্যাক বানানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন। এই প্রক্রিয়া খুব সহজ এবং কার্যকর। আমরা দুইটি ধাপে এই প্রক্রিয়াকে ভাগ করেছি।

প্রথম ধাপ

প্রথমে, আপনার প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি সংগ্রহ করুন। এক্ষেত্রে, আপনি দই, মধু, ওটস, বেসন, হলুদ এবং লেবু ব্যবহার করতে পারেন।

আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী উপকরণ নির্বাচন করুন। যেমন, শুষ্ক ত্বকের জন্য দই এবং মধু ভালো, তেলযুক্ত ত্বকের জন্য লেবু ও বেসন।

উপকরণগুলি একটি পরিষ্কার বাটিতে মিশিয়ে নিন। একটি মিশ্রণ তৈরি করুন যা মুখে সহজে লাগানো যায়।

দ্বিতীয় ধাপ

মিশ্রণ তৈরি করার পর, মুখটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। মুখে কোনও ময়লা বা মেকআপ থাকলে তা তুলে ফেলুন।

পরিষ্কার মুখে তৈরি করা ফেস প্যাকটি লাগান। চোখ এবং ঠোঁটের চারপাশে ফেস প্যাক লাগানো থেকে বিরত থাকুন।

২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

ফেস প্যাক ব্যবহারের পর, আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করুন। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক আরও মসৃণ ও কোমল হবে।

আপনি কি কখনও ফেস প্যাক ব্যবহার করেছেন? আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।

ফেস-প্যাক-বানানোর-নিয়ম
ফেস-প্যাক-বানানোর-নিয়ম

ফেস প্যাক প্রয়োগের পদ্ধতি

ফেস প্যাক প্রয়োগ করার সঠিক পদ্ধতি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু ত্বককে উজ্জ্বল করবে না, সেই সাথে ত্বকের যত্নেও সহায়ক হবে। আপনি কি জানেন, সঠিক পদ্ধতিতে ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা কমে যেতে পারে?

প্যাক লাগানোর নিয়ম

প্রথমে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করুন। নরম ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন যেন ত্বক শুষ্ক না হয়।

মুখ মুছে নিন, কিন্তু পুরোপুরি শুকনো না রেখে সামান্য ভিজে রাখুন।

ফেস প্যাক সমানভাবে মুখে ও গলায় লাগান। চোখ এবং ঠোঁটের চারপাশে লাগাবেন না।

ফেস প্যাক লাগানোর সময় হালকা হাতের আঙুল দিয়ে গোল করে ম্যাসাজ করুন।

প্যাক ধোয়ার নিয়ম

ফেস প্যাক শুকিয়ে গেলে, সাধারণত ১৫-২০ মিনিট পর, এটি ধুয়ে ফেলুন।

গরম পানি নয়, ঠাণ্ডা বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। গরম পানি ত্বককে শুষ্ক করতে পারে।

হালকা হাতে গোল করে ম্যাসাজ করতে করতে প্যাকটি ধুয়ে ফেলুন।

ধুয়ে ফেলার পর, একটি নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন।

প্যাক ধুয়ে ফেলার পর ত্বকে একটি হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগান।

আপনি কি জানেন, সঠিকভাবে ফেস প্যাক প্রয়োগ ও ধোয়ার মাধ্যমে আপনি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারেন? তাহলে আর দেরি কেন, আজই চেষ্টা করুন!

ফেস-প্যাক-বানানোর-নিয়ম
ফেস-প্যাক-বানানোর-নিয়ম

ফেস প্যাক ব্যবহারের উপকারিতা

ফেস প্যাক ব্যবহারের উপকারিতা অনেক। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ফেস প্যাক খুবই কার্যকর। এটি ত্বকের মৃত কোষ অপসারণেও সাহায্য করে। নিয়মিত ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক আরও উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়। ত্বকের পরিচর্যার জন্য ফেস প্যাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ত্বকের উজ্জ্বলতা

ফেস প্যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের গভীরে ময়লা ও তেল জমে থাকে। ফেস প্যাক সেই ময়লা ও তেল দূর করে। ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও ফ্রেশ হয়ে ওঠে।

ফেস প্যাক ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার করে। ফলে ত্বক আরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়। নিয়মিত ফেস প্যাক ব্যবহারে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হয়।

মৃত কোষ অপসারণ

ফেস প্যাক ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করে। ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ ত্বককে নিষ্প্রাণ করে তোলে। ফেস প্যাক সেই মৃত কোষ দূর করে ত্বককে নতুন করে তোলে।

ফেস প্যাক ত্বকের পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ফলে ত্বক আরও সজীব ও তরতাজা হয়। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক মোলায়েম ও কোমল হয়।

প্রাকৃতিক ফেস প্যাকের রেসিপি

প্রাকৃতিক ফেস প্যাকের রেসিপি ব্যবহার করে আপনি সহজেই ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। ঘরে বসেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ফেস প্যাক ত্বককে উজ্জ্বল ও কোমল রাখে। এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন, ব্রণ, মেছতা, শুষ্কতা থেকে মুক্তি দেয়। নিচে কয়েকটি সহজ ফেস প্যাকের রেসিপি দেওয়া হলো:

দই ও মধুর প্যাক

দই ও মধু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। দই ত্বকের শুষ্কতা দূর করে, মধু ত্বককে আর্দ্র রাখে। দই ও মধুর প্যাক তৈরি করতে একটি বাটিতে দুই চা চামচ দই নিন। এতে এক চা চামচ মধু মেশান। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ।

বেসন ও হলুদের প্যাক

বেসন ও হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। বেসন ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে, হলুদ ত্বকের প্রদাহ কমায়। বেসন ও হলুদের প্যাক তৈরি করতে একটি বাটিতে দুই চা চামচ বেসন নিন। এতে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মেশান। অল্প পানি দিয়ে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর।

ফেস প্যাকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ফেস প্যাক ত্বকের যত্নে বেশ কার্যকর। কিন্তু ফেস প্যাক ব্যবহারের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। তাই ফেস প্যাক ব্যবহারের আগে কিছু সতর্কতা থাকা জরুরি।

অ্যালার্জির সমস্যা

অনেক ফেস প্যাকে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান থাকে। এসব উপাদান ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। ত্বকে লালচে ভাব, চুলকানি, ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে ফেস প্যাক ব্যবহারের আগে ভালো করে উপাদানগুলো পরীক্ষা করা উচিত।

সংবেদনশীল ত্বক

সংবেদনশীল ত্বক ফেস প্যাকের উপাদানগুলির প্রতি খুবই সংবেদনশীল হয়। ফেস প্যাক ব্যবহারে ত্বকে জ্বালা, লালচে ভাব হতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য হালকা উপাদানযুক্ত ফেস প্যাক ব্যবহার করা ভালো।

ফেস-প্যাক-বানানোর-নিয়ম
ফেস-প্যাক-বানানোর-নিয়ম

ফেস প্যাকের সঠিক সময়

ফেস প্যাক ব্যবহার করার সময় ঠিকমতো জানা থাকলে আপনি চমৎকার ফলাফল পেতে পারেন। সঠিক সময়ে ফেস প্যাক লাগালে ত্বক থাকবে সতেজ ও মসৃণ। আসুন জেনে নেই কখন এবং কতক্ষণ ফেস প্যাক ব্যবহার করা উচিত।

কখন ব্যবহার করবেন

ফেস প্যাক ব্যবহার করার সঠিক সময় হলো রাতে।

রাতের বেলা ত্বক বিশ্রামে থাকে এবং ফেস প্যাকের উপাদানগুলো ত্বকে ভালোভাবে প্রবেশ করে।

আপনি চাইলে সকালেও ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন, তবে রাতে ব্যবহার করা বেশি কার্যকর।

ব্যবহারকালীন বিরতি

ফেস প্যাক ব্যবহার করার সময় ১৫-২০ মিনিট ত্বকে রেখে দিতে হবে।

এই সময়ে ত্বক ফেস প্যাকের উপাদানগুলো শোষণ করে।

তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন, তাড়াহুড়ো করবেন না।

আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেস প্যাকের ব্যবহারকালীন সময় সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

আপনার ত্বক খুব সংবেদনশীল হলে, ১০-১৫ মিনিটই যথেষ্ট।

ফেস প্যাকের সঠিক সময়ের গুরুত্ব সম্পর্কে আপনি কি জানতেন? এই ছোট্ট তথ্যগুলো আপনার দৈনন্দিন ত্বক পরিচর্যার অংশ হয়ে উঠতে পারে।

ফেস প্যাক ব্যবহারে সতর্কতা

ফেস প্যাক ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। ফেস প্যাক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম না মানলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই ফেস প্যাক ব্যবহারের আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত।

চোখের সংস্পর্শ এড়ানো

ফেস প্যাক লাগানোর সময় চোখের সংস্পর্শ এড়াতে হবে। চোখের চারপাশে ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। ফেস প্যাকের রাসায়নিক উপাদান চোখে ঢুকলে জ্বালাপোড়া হতে পারে। চোখের নিচে এবং উপরের অংশে ফেস প্যাক লাগানো থেকে বিরত থাকুন।

অতিরিক্ত ব্যবহার এড়ানো

অতিরিক্ত ফেস প্যাক ব্যবহার করা উচিত নয়। অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুষে যায়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। সপ্তাহে ২-৩ বার ফেস প্যাক ব্যবহার করা যথেষ্ট।

সপ্তাহের ফেস প্যাক রুটিন

ফেস প্যাক রুটিন আপনার সপ্তাহকে আরও সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর করতে পারে। সপ্তাহে ফেস প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকে। কিন্তু ফেস প্যাক ব্যবহারের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। এ নিয়মগুলো মেনে চললে আপনি পেতে পারেন আরও ভালো ফলাফল।

সপ্তাহে কয়বার ব্যবহার

সপ্তাহে কয়বার ফেস প্যাক ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করে আপনার ত্বকের ধরন ও অবস্থা। সাধারণত, সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।

শুকনো ত্বকের জন্য সপ্তাহে একবার ব্যবহার যথেষ্ট। তেলযুক্ত ত্বকের জন্য সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার উপযোগী।

আপনার ত্বকের অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নিন। অতিরিক্ত ব্যবহার ত্বকে ক্ষতি করতে পারে।

বিশেষ দিনগুলোর রুটিন

বিশেষ দিনগুলোতে আপনার ত্বককে আরও প্রস্তুত করা দরকার। বিয়ের অনুষ্ঠান, পার্টি বা অন্য কোনো বিশেষ দিনের আগে ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

বিশেষ দিনের আগে রাতের বেলা ফেস প্যাক ব্যবহার করুন। এতে ত্বক সতেজ থাকবে এবং মেকআপ ভালোভাবে বসবে।

আপনি যে ফেস প্যাক ব্যবহার করবেন, তা আপনার ত্বকের সাথে মানানসই কিনা দেখে নিন। বিশেষ দিনে ত্বকে নতুন কিছু ব্যবহার না করাই ভালো।

আপনি কি ফেস প্যাক ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট সময় ঠিক করেছেন? যদি না করে থাকেন, তাহলে এখনই শুরু করুন।

ফেস প্যাক বানানোর নিয়ম: ঝকঝকে ত্বক পাবার সহজ উপায়

Credit: www.shajgoj.com

ফেস প্যাকের বিকল্প

ফেস প্যাক ছাড়াও আপনার ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য অনেক বিকল্প রয়েছে। আপনি কি জানেন, প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরেই সহজেই মাস্ক এবং স্ক্রাব তৈরি করা যায়? বাজারে অনেক ফেস প্যাক পাওয়া যায়, তবে ঘরোয়া উপাদান দিয়ে বানানো প্যাকও বেশ কার্যকর।

মাস্ক এবং স্ক্রাব

আপনি ঘরেই বিভিন্ন উপাদান দিয়ে মাস্ক এবং স্ক্রাব বানাতে পারেন। এক চামচ মধু আর অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।

একটি ভালো স্ক্রাব পেতে হলে এক চামচ চিনি আর এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। এই স্ক্রাব ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করবে।

বাজারজাত ফেস প্যাক

বাজারে অনেক ধরনের ফেস প্যাক পাওয়া যায়। এগুলো বিভিন্ন ত্বকের ধরন অনুযায়ী তৈরি হয়। আপনি আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক প্যাকটি বেছে নিন।

তবে বাজারজাত প্যাক ব্যবহার করার আগে অবশ্যই তার উপাদান তালিকা দেখে নিন। কিছু কিছু প্যাক ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।

আপনার কি কখনো বাজারের ফেস প্যাক ব্যবহার করে ত্বকে সমস্যা হয়েছে? যদি হয়ে থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই বুঝেছেন আপনার ত্বকের জন্য কোন প্যাকটি উপযুক্ত।

ঘরোয়া উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাক ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এতে আপনার ত্বকে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না।

ফেস প্যাক বানানোর নিয়ম: ঝকঝকে ত্বক পাবার সহজ উপায়

Credit: eisamay.com

Frequently Asked Questions

ফেসপ্যাক কিভাবে বানাবো?

ফেসপ্যাক বানাতে মধু, দই এবং হলুদ মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

ঘরে বসে উবটান ফেসপ্যাক তৈরি?

উবটান ফেসপ্যাক তৈরি করতে বেসন, হলুদ, চন্দন গুঁড়া, দই এবং মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট বানান। মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন, তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল হবে।

ফেসপ্যাক কতদিন লাগাতে হয়?

ফেসপ্যাক সাধারণত ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হয়। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাবেন।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে বসে কোন ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যায়?

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক: মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

Conclusion

ফেস প্যাক বানানো সহজ এবং উপকারী। নিজেই বানালে খরচ কমবে। ত্বক হবে উজ্জ্বল। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন। ক্ষতিকারক কেমিক্যাল থেকে দূরে থাকুন। নিয়মিত ব্যবহারে মিলবে ভালো ফলাফল। নিজের ত্বকের যত্ন নিন। সুন্দর থাকতে প্রতিদিন সময় দিন। শরীরের মতো ত্বকও যত্ন চায়। নিয়ম মেনে চলুন। ত্বক থাকবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর।

সবার সাথে শেয়ার করুন

DR. SOHEL RANA
DR. SOHEL RANA

হার্বাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ সোহেল রানা B.A.M.S (DU) সরকারী ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিরপুর-১৩ ঢাকা।

ডিএমইউ (আলট্রাসনোগ্রাফি) ঢাকা রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট আয়ুর্বেদিক ফিজিসিয়ান।

উৎপাদন এবং গভেষনা কর্মকর্তা (এলিয়েন ফার্মা লিমিটেড)

চর্ম ও যৌন, রুপ ও ত্বক, বাত ব্যাথা, গ্যাস্ট্রিক লাইফ স্টাইল আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ও হারবাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।

Articles: 242

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *