Our Location
1310 Keraniganj, Dhaka.
Dhaka, Bangladesh.
হার্ট ব্লক হল একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতাকে ব্যাহত করে। হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ জানা জরুরি। কারণ তা দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণের পথ সুগম করে। হৃদযন্ত্রের কার্যক্রমে সমস্যা হলে তা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে প্রভাব ফেলতে পারে। হার্ট ব্লক হলে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত পৌঁছাতে সমস্যা হয়। এর ফলে ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা দেখা দিতে পারে। এই লক্ষণগুলি হৃদরোগের প্রাথমিক সংকেত হতে পারে। তাই, সময়মত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করা এবং চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান ব্লগে আমরা হার্ট ব্লকের লক্ষণগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। পাঠকরা এর মাধ্যমে সচেতন হতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবেন।
Credit: www.somoynews.tv
হার্ট ব্লক একটি সাধারণ হৃদরোগ সমস্যা। এটি হৃদযন্ত্রের ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হতে পারে। এই সমস্যা নানা মাত্রায় হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি মৃদু হলেও, কখনো কখনো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। সময়মতো লক্ষণগুলি চিহ্নিত করা জরুরি। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এই অবস্থা গুরুতর হতে পারে।
হার্ট ব্লক হলো হৃদযন্ত্রের ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের বাধা। এটি সাইনাস নোড থেকে এভি নোড পর্যন্ত সিগন্যালের প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটায়। সিগন্যালের এই বাধা বিভিন্ন স্তরের হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি সামান্য বিঘ্নিত হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে সিগন্যাল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এটি হৃদস্পন্দনকে ধীর বা অনিয়মিত করে তোলে।
হার্ট ব্লকের প্রধান কারণ হৃদরোগ। হৃদযন্ত্রের মাংসপেশির দুর্বলতা এই অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে এই সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। কিছু ক্ষেত্রে জন্মগত সমস্যার কারণেও হার্ট ব্লক হতে পারে। এছাড়া, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসও এর কারণ হতে পারে। কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়ও হার্ট ব্লক হতে পারে।
হার্ট ব্লক হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে শ্বাসকষ্ট ও বুকে অস্বস্তি সাধারণ। দুর্বলতা ও মাথা ঘুরানোও হতে পারে। এই লক্ষণগুলি অবহেলা করলে সমস্যা বাড়তে পারে।
বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা হার্ট ব্লকের আরও কিছু লক্ষণ। যদি আপনি হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান, তবে এটি অবশ্যই সতর্ক হওয়ার একটি সংকেত।
একদিন সকালে আপনি উঠে বসে মনে করতে পারেন, “আমি কেন এভাবে মাথা ঘুরছি?”। আপনি যদি এ ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়মিত অনুভব করেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
আপনার শরীরের সঙ্কেতগুলোকে গুরুত্ব দিন। হার্ট ব্লকের প্রাথমিক লক্ষণগুলি অগ্রাহ্য করবেন না। নিজের যত্ন নিন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।
হৃদপিণ্ডের ব্লকের লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বুকে অস্বস্তি বা ব্যথা। শ্বাসকষ্ট এবং ক্লান্তি দ্রুত দেখা দেয়। মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া অন্যতম সতর্ক সংকেত। হৃদস্পন্দনে অনিয়মও লক্ষ্য করা যায়।
অচেতনতা হার্ট ব্লকের একটি গুরুতর লক্ষণ। আপনি কি কখনো হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েছেন? এভাবে বারবার অচেতন হওয়া আপনার হৃদপিণ্ডের সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। এমন অবস্থায় তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অতিরিক্ত ক্লান্তি প্রায়ই দেখা যায় যখন আপনার হৃদপিণ্ড যথাযথভাবে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না। আপনি কি দিন শেষে অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব করেন? এমনকি ছোট কাজের পরও যদি আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তবে এটি হার্ট ব্লকের লক্ষণ হতে পারে। আপনার শরীর কি আপনাকে কিছু বলছে? শুনুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
এই উন্নত লক্ষণগুলি যদি আপনার মধ্যে দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্যকে অবহেলা করবেন না। নিজের যত্ন নেওয়া আপনার দায়িত্ব। আপনার জীবন মূল্যবান, তাই এটি রক্ষা করুন।
হার্ট ব্লক হওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী সম্পর্কে সচেতনতা থাকা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা হৃদরোগের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম হল বয়স্ক ব্যক্তিরা এবং যারা হৃদরোগে আক্রান্ত। তাদের জন্য বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে যায়। আপনার পরিচিত বয়স্ক ব্যক্তিরা কি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছেন? তাদের হার্ট ব্লকের লক্ষণগুলো চিনতে পারা জরুরি। হার্ট ব্লক হলে দ্রুত চিকিৎসা করা প্রয়োজন, অন্যথায় এটি বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
যারা আগে থেকেই হৃদরোগে ভুগছেন, তাদের জন্য হার্ট ব্লকের ঝুঁকি আরও বেশি। আপনি কি জানেন, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করলে হার্ট ব্লকের সম্ভাবনা কমানো যেতে পারে? হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের তাদের লাইফস্টাইল পরিবর্তনে মনোযোগী হওয়া উচিত। যেমন, স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা তাদের জন্য উপকারী হতে পারে।
এখন আপনি কি আপনার পরিচিতদের মাঝে এই ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর কাউকে চেনেন? তাদের সাথে স্বাস্থ্য সম্পর্কে আলোচনা করুন এবং তাদের হার্ট ব্লকের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন করুন।
হার্ট ব্লক হওয়ার পর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র জীবন রক্ষা করতেই নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতেও সহায়ক। চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে হার্ট ব্লকের ধরন এবং তার তীব্রতার উপর।
প্রাথমিক পর্যায়ে ঔষধ প্রয়োগ করা হয় হার্ট ব্লক নিয়ন্ত্রণে রাখতে। যেমন বেটা ব্লকার বা ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার যা হার্টের ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল ম্যানেজ করতে সাহায্য করে। আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।
আপনি কি কখনো ঔষধ গ্রহণের সময় ভুলে গেছেন? এতে কিন্তু সমস্যা হতে পারে। তাই নিয়মিতভাবে ঔষধ গ্রহণের রুটিন তৈরি করুন।
যদি ঔষধ পর্যাপ্ত না হয়, তবে পেসমেকার স্থাপন এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পেসমেকার একটি ছোট ডিভাইস যা হার্টের স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি স্থায়ীভাবে বা অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা হতে পারে, নির্ভর করে পরিস্থিতির উপর।
সার্জারি পরবর্তী সময়ে কিছু দিনের জন্য বিশ্রাম প্রয়োজন হতে পারে। পরিবারের সহায়তা নিন এবং নতুন জীবনধারায় অভ্যস্ত হন। আপনি কি এই পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত?
হার্ট ব্লক চিকিৎসায় সঠিক পদ্ধতি নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল হোন।
হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ শনাক্ত করতে বুকের ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি প্রভৃতি উপসর্গের দিকে নজর দিন। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন। সুস্থ জীবনযাপনে নিয়মিত ব্যায়াম ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি, প্রতিরোধের উপায়গুলোও জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কি জানেন, কিছু সাধারণ জীবনযাপনের পরিবর্তন ও নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা আপনাকে হার্ট ব্লক থেকে রক্ষা করতে পারে? আমরা এই অংশে সেই উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
আপনার দৈনন্দিন জীবনযাপনে ছোট কিছু পরিবর্তন হার্ট ব্লক প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ফল, শাকসবজি, এবং কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন গ্রহণ করুন।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
ধূমপান ছেড়ে দিন এবং অ্যালকোহল সীমিত করুন।
মানসিক চাপ কমানোর জন্য যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করতে পারেন।
আপনার কি কখনও মনে হয়েছে, আপনার জীবনযাপনের অভ্যাসগুলো আপনার হৃদরোগের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে?
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা আপনাকে হৃদরোগের ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত থাকতে সাহায্য করবে।
বয়স ৪০ বছরের বেশি হলে বছরে অন্তত একবার ডাক্তার দেখুন।
ইসিজি বা ইকোকার্ডিওগ্রাম করার মাধ্যমে আপনার হৃদয়ের অবস্থা জানতে পারেন।
ব্লাড প্রেসার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
আপনার কি মনে হয়, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আপনি আপনার হৃদয়ের অবস্থা সম্পর্কে আরও সচেতন হতে পারেন?
হার্ট ব্লক প্রতিরোধের উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার স্বাস্থ্যকে আরও ভালো রাখতে পারবেন।
হার্ট ব্লক একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি হৃদয়ের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমের ব্যাঘাতের কারণে ঘটে। হার্ট ব্লক হওয়ার কারণ, লক্ষণ এবং এর চিকিৎসা সম্পর্কে জানাটা জরুরি। দ্রুত চিকিৎসা না পেলে জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই, হার্ট ব্লকের লক্ষণগুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা হার্ট ব্লক হওয়ার জরুরি সতর্কতা নিয়ে আলোচনা করব।
হার্ট ব্লকের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। তারা ECG বা ইকোকার্ডিওগ্রামের মতো টেস্ট করতে পারেন। হৃদয়ের ব্লকের স্তর নির্ধারণে এসব পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। সঠিক চিকিৎসা পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। সময়মত চিকিৎসা না হলে সমস্যা জটিল হতে পারে।
হার্ট ব্লক হলে জরুরি কেয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট ব্লকের কারণে হৃদস্পন্দন কমে যেতে পারে। এতে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া উচিত। জরুরি বিভাগে আপনার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রয়োজন হলে পেসমেকার স্থাপন করা হতে পারে। দ্রুত পদক্ষেপ নিলে জীবন রক্ষা পেতে পারে।
হার্ট ব্লকের লক্ষণগুলো সাধারণত বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন হিসেবে দেখা যায়। উদ্বেগজনক এসব লক্ষণ দ্রুত চিকিৎসা করাতে সহায়ক হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা হার্ট ব্লকের জটিলতা কমাতে সহায়তা করে।
শিশুদের হার্ট ব্লকের লক্ষণগুলি সাধারণত ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, বুক ধড়ফড় এবং শ্বাসকষ্টের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন এবং ত্বকের প্যালর লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়। দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি মোকাবিলা করা গুরুত্বপূর্ণ।
শিশুদের মধ্যে হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণগুলি প্রায়শই সূক্ষ্ম হতে পারে। আপনি কি জানেন আপনার শিশু ক্লান্ত হয়ে পড়ছে, খাওয়ার সময় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, অথবা খেলার সময় অস্বাভাবিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে? আপনার সন্তান যদি খুবই কম ঘুমায় বা ঘুমানোর সময় অস্বাভাবিক ঘামতে থাকে, তাহলে তা হার্ট ব্লকের লক্ষণ হতে পারে। আপনার সন্তানের হৃদস্পন্দন অনিয়মিত বা ধীর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শিশুদের মধ্যে হার্ট ব্লকের চিকিৎসা করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। আপনার শিশুর জন্য সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে একজন পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ নিন। চিকিৎসায় প্রাথমিকভাবে ওষুধ ব্যবহার করা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে পেসমেকার স্থাপন করা জরুরি হতে পারে। আপনি কি ভাবছেন, আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ কি হবে? চিকিৎসার মাধ্যমে আপনার সন্তানের স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। তবে, মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভবতী নারীদের হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণগুলো অনেক সময় অগোচরে থাকে। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, বা বুকের ব্যথা হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
আধুনিক গবেষণা হার্ট ব্লকের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বিজ্ঞানীরা হার্ট ব্লক শনাক্তকরণের নতুন পথ আবিষ্কার করেছেন। এই গবেষণায় রোগের কারণ এবং প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে হার্ট ব্লকের লক্ষণগুলো খুঁজে বের করছেন। এই গবেষণা আমাদের হার্ট ব্লকের চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনার দোর খুলে দিচ্ছে।
নতুন গবেষণায় হার্ট ব্লকের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করা সহজ হয়েছে। বিজ্ঞানীরা নতুন সেন্সর এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। এগুলো দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে হার্ট ব্লক শনাক্ত করতে সাহায্য করছে। এই আবিষ্কার হার্ট ব্লকের চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটিয়েছে। রোগীরা দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন।
গবেষণার ফলে হার্ট ব্লকের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। উন্নত ডিভাইস এবং ইমেজিং প্রযুক্তি চিকিৎসাকে আরও কার্যকর করেছে। চিকিৎসকরা উন্নত ডিভাইসের সাহায্যে রোগ নির্ণয় করছেন। এর ফলে রোগীরা দ্রুত উপশম পাচ্ছেন। এই নতুন পদ্ধতিগুলি রোগীর জীবনের মান উন্নত করছে।
Credit: www.youtube.com
হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে। উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা এবং হতাশা বাড়িয়ে তোলে। মানসিক চাপ বাড়িয়ে হার্ট ব্লকের ঝুঁকি বাড়ায়। সতর্কতা ও সচেতনতা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হার্ট ব্লক হওয়ার পর মানসিক সমর্থন পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পরিবার বা বন্ধুদের সাথে কথা বলুন। তাদের সমর্থন আপনার মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে।
আপনি যদি মনে করেন একা কথা বলা কঠিন, তবে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে পারেন। মনস্তাত্ত্বিক থেরাপি আপনার মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে।
আপনি কি কখনো এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন যেখানে মানসিক সমর্থনের অভাব ছিল? নিজেকে একা অনুভব করছিলেন? এমন অবস্থায় মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা আপনাকে নতুন দৃষ্টিকোণ দিতে পারে।
আপনার মানসিক স্বাস্থ্য সবসময় প্রাধান্য পাওয়া উচিত। হার্ট ব্লক হওয়ার পর মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সময় নিন। এটি আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী হতে পারে।
হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বুকে চাপ, শ্বাসকষ্ট বা মাথা ঘোরার মতো লক্ষণ দেখা দিলে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে উৎসাহিত করতে পারেন। সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নেওয়া হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
Credit: www.somoynews.tv
হার্ট ব্লক হলে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, বুক ধড়ফড়ানি দেখা দেয়। এ লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হার্টের সমস্যা থাকলে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, দ্রুত হার্টবিট, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা এবং হাত-পায়ে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এই লক্ষণগুলি দেখে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ইসিজি করিয়ে হার্টের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলোর মধ্যে বুকের ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, ঘাম হওয়া এবং ক্লান্তি অন্যতম। বাঁ হাত বা কাঁধে ব্যথা হতে পারে। মাথা ঘোরা এবং বুকের ভারী অনুভূতি দেখা দেয়। দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।
হার্টের ভাল্ব নষ্ট হলে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, পায়ে ফোলাভাব এবং হার্টবিট অনিয়মিত হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।
হৃদয়ের সুরক্ষায় সতর্কতা অপরিহার্য। হার্ট ব্লকের লক্ষণগুলি অবহেলা করবেন না। এর মধ্যে বুকের ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা অন্তর্ভুক্ত। দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করুন। সুস্থ জীবনযাপন করুন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন। সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। ব্যায়াম করুন নিয়মিত। ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন। মানসিক চাপ কমান। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনার হৃদয় সুস্থ রাখুন। জীবন উপভোগ করুন। সঠিক পথে থাকুন। সচেতনতার মাধ্যমে হৃদয়কে সুস্থ রাখুন। নিজের ও পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। সতর্কতা অবলম্বন করুন। হৃদয়কে ভালোবাসুন। সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।