Our Location
1310 Keraniganj, Dhaka.
Dhaka, Bangladesh.
হার্ট অ্যাটাক কেন হয়? হার্ট অ্যাটাক হল হার্টের রক্ত সঞ্চালনে বাধা। এটি সাধারণত হৃদয়ের একটি অংশ অক্সিজেন না পাওয়ায় ঘটে। হার্ট অ্যাটাক আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। এটি যে কোনো সময় যে কারও হতে পারে, এবং এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন: উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ধূমপান, ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং মানসিক চাপ। এই কারণগুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং একসাথে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ও কারণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনি প্রাথমিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারবেন এবং আপনার জীবন বাঁচাতে সক্ষম হবেন। তাই এই ব্লগে আমরা হার্ট অ্যাটাকের কারণগুলি বিশদে আলোচনা করবো।
হার্ট অ্যাটাক কি? হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন (MI) হল একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। এটা ঘটে যখন হৃদয়ের মাংসপেশিতে রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে হৃদপেশিতে অক্সিজেনের অভাব হয় এবং কোষগুলি মারা যায়।
হার্ট অ্যাটাক হল এমন একটি অবস্থা, যেখানে হৃদপেশির কিছু অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
এটি সাধারণত করোনারি ধমনীতে বাধার কারণে হয়, যা হৃদপেশিতে রক্ত প্রবাহে সমস্যা সৃষ্টি করে।
আপনার বুকে তীব্র ব্যথা হতে পারে, যা আপনার কাঁধ, বাহু, পিঠ বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আপনার শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, ঠান্ডা ঘাম বা বমি বমি ভাবও হতে পারে।
যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এই লক্ষণগুলি অনুভব করেন, তবে দেরি না করে তাত্ক্ষণিক চিকিৎসা নিন।
আপনার হার্টের সুস্থতা আপনার জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাই, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি নিয়ে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং ঘাম ঝরানো উল্লেখযোগ্য। এসব লক্ষণ দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন জানায়।
হার্ট অ্যাটাক কেন হয় তা জানার জন্য প্রধান কারণগুলো বোঝা জরুরি। হৃদরোগের অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে কিছু প্রধান কারণ রয়েছে যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়।
ধমনীতে চর্বি জমা হওয়া হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ। যখন ধমনীর ভেতরে চর্বি জমা হয়, তখন রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। এতে হৃদপিণ্ডে রক্ত পৌঁছানোর সমস্যা হয়।
চর্বি জমা হওয়ার ফলে ধমনীর সংকীর্ণতা ঘটে। এটি হৃদপিণ্ডে রক্তের প্রবাহ কমিয়ে দেয়। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
উচ্চ রক্তচাপও হার্ট অ্যাটাকের একটি প্রধান কারণ। উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিণ্ডের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। এতে হৃদপিণ্ডের পেশী দুর্বল হয়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপের কারণে ধমনীর দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি ধমনীর সংকীর্ণতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে হৃদপিণ্ডে রক্তের প্রবাহ কমে যায়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আমাদের আধুনিক জীবনযাপনের ধরনগুলো প্রায়শই আমাদের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান কারণ হলো ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন। আপনি কি জানেন, আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসগুলোই আমাদের হৃদয়ের সুস্থতার জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু হতে পারে?
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আমাদের হৃদয়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, তেলযুক্ত খাবার, এবং চিনি সমৃদ্ধ পানীয়গুলির প্রতি আসক্তি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।
আপনি কি প্রতিদিন ফাস্ট ফুড খান? একবার ভেবে দেখুন, এই অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো আপনার হার্টের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে।
পরিবর্তে, স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন শাকসবজি, ফলমূল এবং পুরো শস্য খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।
অলসতা আমাদের স্বাস্থ্যকে ধ্বংস করে। নিয়মিত শরীরচর্চার অভাবে আমাদের হৃদপিণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন। আপনার হার্ট আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে।
অলসতা কাটিয়ে উঠতে, কোনও একটানা কাজের মাঝে একটু বিরতি নিন এবং হালকা ব্যায়াম করুন।
আপনি কি নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল? তাহলে এখনই সচেতন হোন এবং আপনার জীবনযাপনের অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করুন।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক সময় পারিবারিক ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত। যদি আপনার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেউ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন, তাহলে আপনার ঝুঁকি বাড়ে। পারিবারিক ইতিহাসের কারণে হার্ট অ্যাটাকের কারণগুলো বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
জিনের মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আপনার মধ্যে আসতে পারে। যদি আপনার বাবা-মা বা ভাই-বোনদের মধ্যে কেউ হার্টের রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে আপনার জিনে সেই ঝুঁকি থাকতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু বিশেষ জিন হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। আপনি কি জানেন আপনার পরিবারে এমন কোন রোগ আছে?
পারিবারিক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো রোগগুলো হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। যদি আপনার পরিবারের কারো এই রোগগুলো থাকে, তাহলে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
আপনার পরিবারের রোগগুলোর ইতিহাস জানার চেষ্টা করুন। এমনকি যদি আপনার পরিবারের কাউকে হার্ট অ্যাটাক না হয়ে থাকে, তবুও পারিবারিক রোগগুলো আপনার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
মানসিক চাপ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। মানসিক চাপ বিভিন্ন কারণ থেকে আসতে পারে। অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং ব্যক্তিগত সমস্যা মানসিক চাপের প্রধান কারণ।
অতিরিক্ত কাজের চাপ মানসিক চাপ বাড়ায়। কাজের চাপ বেশি হলে শরীরের উপর চাপ পড়ে। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। হার্টে অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে ঘুম কম হয়। ঘুমের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। মানসিক চাপ বাড়ে। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ব্যক্তিগত সমস্যা মানসিক চাপের আরেকটি প্রধান কারণ। পারিবারিক সমস্যা, আর্থিক সমস্যা, সম্পর্কের সমস্যা মানসিক চাপ বাড়ায়।
ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে মন খারাপ থাকে। শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
ধূমপান ও মদ্যপান আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। অনেকেই জানেন না যে, এই দুটি অভ্যাস আমাদের হৃদপিণ্ডের জন্য কতটা ক্ষতিকর। ধূমপান ও মদ্যপান, দুটিই হৃদরোগের প্রধান কারণ হতে পারে। নিচে আমরা আলোচনা করবো ধূমপান ও মদ্যপানের প্রভাব সম্পর্কে।
ধূমপানে থাকা নিকোটিন রক্তচাপ বাড়ায়। এটি হৃদপিণ্ডের ওপরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। কার্বন মনোক্সাইড রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমায়। ফলে হৃদপিণ্ড অক্সিজেনের অভাবে কষ্ট পায়। ধূমপান ধমনীতে চর্বি জমিয়ে দেয়। এর ফলে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ধূমপানে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
অতিরিক্ত মদ্যপান রক্তচাপ বাড়ায়। এটি হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর। মদ্যপানের ফলে হৃদপিণ্ড দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। মদ্যপানে হৃদপিণ্ডের মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে। মদ্যপানের ফলে ধমনীতে প্লাক জমে। এর ফলে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়।
অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা হলে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করলে ওজন কমানো সম্ভব।
আপনার খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। বেশি ফাইবার ও কম চর্বিযুক্ত খাবার খান। ফল এবং সবজি বেশি করে খান।
আপনি কি জানেন, প্রতিদিন ৫০০ ক্যালোরি কম খেলে সপ্তাহে প্রায় ১ পাউন্ড ওজন কমানো সম্ভব? ছোট ছোট পরিবর্তন বড় ফলাফল আনতে পারে।
ওজন এবং স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে রাখলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। তাই এখনই সচেতন হোন, নিজের এবং পরিবারের ভালোর জন্য।
আমাদের শরীরের সুস্থতা ও হৃদয়কে ভালো রাখার জন্য ব্যায়াম ও শরীরচর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম অত্যন্ত কার্যকরী। অনেকেই হয়তো জানেন না, ব্যায়াম কেবল শরীরের জন্যই উপকারী নয়, এটি মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
নিয়মিত ব্যায়াম আপনার হৃদয়কে শক্তিশালী করে তোলে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। আপনার হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে এটি অপরিহার্য।
আপনি কি জানেন, নিয়মিত ব্যায়াম আপনার স্ট্রেস লেভেলও কমাতে সাহায্য করে? শরীরচর্চার সময় আমাদের শরীরে এন্ডরফিন নামে একটি হরমোন নির্গত হয় যা আমাদের মনকে ভালো রাখে।
আপনার জন্য সঠিক ফিটনেস রুটিন তৈরি করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একেবারে নতুন হন, তাহলে হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি থেকে তীব্র ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
নিজের কাজের সময়সূচির সাথে মিলিয়ে ব্যায়ামের সময় নির্ধারণ করুন। সকালে উঠে কিছু হালকা যোগ ব্যায়াম কিংবা হাঁটা হতে পারে আপনার দিনের সেরা শুরু।
আপনার ব্যায়াম রুটিনে বৈচিত্র্য আনুন। বিভিন্ন ধরণের ব্যায়াম যেমন কার্ডিও, ওয়েট ট্রেনিং, যোগ বা সাঁতার যোগ করতে পারেন। এটি আপনার শরীরের সব অংশের জন্য কাজ করবে।
আপনার কি মনে হয়, আপনি প্রতিদিনের ব্যায়ামের সময় বের করতে পারবেন? আপনার শরীরের জন্য এটি একটি বড় উপকার হবে। নিজেকে ভালো রাখার জন্য আজই শুরু করুন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হার্টের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। খাদ্যাভ্যাসে সুষম খাবার খাওয়া, ফাস্ট ফুড এড়ানো প্রয়োজন।
সুষম খাদ্য হার্টের জন্য অপরিহার্য। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি, ফল, পুরো শস্য খাবার খাওয়া উচিত। এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ আছে। এগুলো হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, চর্বি, চিনি এবং লবণের পরিমাণ কমানো উচিত।
ফাস্ট ফুড হার্টের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোতে উচ্চমাত্রায় চর্বি, চিনি, লবণ থাকে। নিয়মিত ফাস্ট ফুড খেলে হার্টের সমস্যা বাড়ে। ফাস্ট ফুডের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। এতে হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় থাকবে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যার আগাম আভাস মেলে। ফলে দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব। নিয়মিত পরীক্ষা করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো যায়। এখন জেনে নেবো, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্যে কি কি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। নিয়মিত রক্তচাপ মাপার মাধ্যমে রক্তচাপের মাত্রা জানা যায়। উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়লে দ্রুত চিকিৎসা করানো সম্ভব। তাই নিয়মিত রক্তচাপ মাপা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সহায়ক। ইসিজি ও ইকোকার্ডিওগ্রামের মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের অবস্থা জানা যায়। হৃদযন্ত্রের কোন সমস্যা থাকলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া যায়। হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। তাই নিয়মিত হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করা উচিত।
হার্ট অ্যাটাকের পর, দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু জীবন বাঁচানোর জন্য নয়, বরং পরবর্তী জীবনে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করার জন্যও জরুরি। এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করব হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন প্রোগ্রাম সম্পর্কে।
হার্ট অ্যাটাকের সময়, সময়মতো প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি।
প্রথমেই অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন এবং রোগীকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
চিকিৎসক আসা পর্যন্ত রোগীকে শুইয়ে রাখুন এবং গভীর শ্বাস নিতে উৎসাহ দিন।
এসপিরিন ট্যাবলেট চিবিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে, যা রক্ত জমাট বাঁধা কমাতে সাহায্য করে।
হাসপাতালে পৌঁছানোর পর, চিকিৎসকরা ECG এবং রক্ত পরীক্ষা করে সঠিক চিকিৎসা শুরু করবেন।
এটি আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং পুনরায় হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
চিকিৎসক এবং প্রশিক্ষকরা একসাথে কাজ করে আপনার জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম ও ডায়েট পরিকল্পনা তৈরি করবেন।
আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে খোলামেলা কথা বলুন এবং তাদের সমর্থন নিন।
আপনার জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তনও বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
তাহলে, আপনি কি প্রস্তুত আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে?
হার্ট অ্যাটাকের জরুরি পরিস্থিতি অত্যন্ত ভীতিকর এবং জীবন হানিকর। এই অবস্থায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সঠিক সময়ে সঠিক প্রতিক্রিয়া দিলে প্রাণ রক্ষা সম্ভব।
হার্ট অ্যাটাকের প্রথম সংকেত পেলে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন। প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে। দ্রুত পদক্ষেপ নিলে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি কমানো সম্ভব।
প্রথমে আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্থির অবস্থায় বসতে বা শুয়ে থাকতে বলুন। তার শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করতে কিছুটা মাথা উঁচু রাখুন। অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়াতে চেষ্টা করুন।
সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ বা নিকটস্থ জরুরি সেবায় ফোন করুন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দিন।
প্রয়োজন হলে সিপিআর (CPR) প্রয়োগ করুন। সঠিক প্রশিক্ষণ থাকলে সিপিআর শুরু করুন। আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাস বা হৃদস্পন্দন না থাকলে সিপিআর জরুরি।
Credit: www.bbc.com
ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চ কোলেস্টেরল, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ব্যায়ামের অভাব হার্ট এটাকের কারণ।
হার্টের সমস্যার কারণ হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ধূমপান, ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং মানসিক চাপ। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
হার্টের ব্যথা সাধারণত বুকে চাপ বা সংকোচনের মতো অনুভূত হয়। এটি হাত, ঘাড় বা চোয়ালে ছড়াতে পারে।
হার্ট স্ট্রোকের প্রধান কারণ হলো রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধা। উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, ওবেসিটি এবং ডায়াবেটিসও ঝুঁকি বাড়ায়।
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান এড়িয়ে চলুন। মানসিক চাপ কমাতে শিথিলকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করুন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে হার্টের অবস্থান নিশ্চিত করুন। সচেতনতা বাড়িয়ে জীবন বাঁচানো সম্ভব। সঠিক যত্ন নিলে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধযোগ্য। সুতরাং, নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।