Our Location
1310 Keraniganj, Dhaka.
Dhaka, Bangladesh.
শীতকালে ঠোঁট ফেটে যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। এটি খুবই বিরক্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়কও হতে পারে। ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পেতে বাজারে নানা ধরণের পণ্য পাওয়া যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়েও সহজেই সমাধান পাওয়া সম্ভব। শীতকালে ঠোঁটের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এতে ঠোঁট ফেটে যায় এবং রক্তপাতও হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ এই সমস্যার সম্মুখীন হন। বাজারে পাওয়া নানা ধরণের লিপ বাম ও ক্রিম ব্যবহার করেও অনেক সময় স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায় না। তাই প্রাকৃতিক উপায়েই ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়া উত্তম। প্রাকৃতিক উপায়গুলি সহজলভ্য এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন। এই ব্লগে আমরা শীতে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তির কিছু প্রাকৃতিক উপায় নিয়ে আলোচনা করব। নিয়মিত এই উপায়গুলি মেনে চললে ঠোঁট থাকবে নরম ও মসৃণ। আশা করি আপনাদের জন্য এটি উপকারী হবে।
শীতে ঠোঁট ফাটার কারণ সম্পর্কে জানলে আপনি সহজেই সমাধান খুঁজে পাবেন। ঠোঁট ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা, কিন্তু এর কারণগুলো জানা জরুরি। শীতকালে ঠোঁট ফাটার প্রধান দুটি কারণ হলো শুষ্ক আবহাওয়া এবং শরীরের পানিশূন্যতা।
শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। ফলে আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ঠোঁটের ত্বক সবচেয়ে নাজুক। তাই শুষ্ক আবহাওয়ায় তা সহজেই ফাটে। শীতের ঠাণ্ডা বাতাস ঠোঁটের আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে ফাটতে শুরু করে।
শীতকালে আমরা কম পানি পান করি। শরীরের পানির অভাব হলে ঠোঁটের আর্দ্রতা কমে যায়। পানি শরীরের সব কোষকে সজীব রাখে। পানিশূন্যতা হলে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। ফলস্বরূপ ঠোঁট ফেটে যায়। ঠোঁট ফাটার এই দুটি প্রধান কারণ দূর করতে প্রাকৃতিক উপায়ে সমাধান খুঁজে নিন।
শীতকালে ঠোঁট ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা। ঠোঁটের ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার জন্য এটি ঘটে। শীতে ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধের জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় মেনে চলা জরুরি।
ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হলো প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পানি অপরিহার্য। প্রতিদিন কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করুন। এটি শরীরের ত্বক আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধ করতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা দরকার। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, এবং ই যুক্ত করুন। এগুলো ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। শাকসবজি, ফলমূল এবং বাদাম খাবারের মধ্যে রাখুন।
শীতকালে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত কার্যকর। রাসায়নিকমুক্ত এই উপাদানগুলো ঠোঁটকে নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ফাটা ঠোঁটের সমস্যা দূর হয়।
মধু একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা ঠোঁট ফাটা রোধ করতে পারে। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য যা ঠোঁটের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। মধু ঠোঁটে প্রয়োগ করলে তা ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে এবং ঠোঁটকে নরম করে তোলে।
নারকেল তেল ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। এতে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড যা ঠোঁটকে নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। নারকেল তেল ঠোঁটে ব্যবহারের ফলে ঠোঁট ফাটা রোধ হয় এবং ঠোঁটের ত্বক পুনরুজ্জীবিত হয়।
Credit: www.aviationnewsbd.com
শীতকালে ঠোঁট ফাটা একটি খুবই সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান করতে ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠোঁটের যত্নে ঘরোয়া মাস্ক সহজেই প্রস্তুত করা যায় এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয়।
ঠোঁটের জন্য দই ও মধু মাস্ক খুবই কার্যকর। এটি ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে এবং মসৃণ করে।
এই মাস্ক সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন। ঠোঁট থাকবে নরম ও মসৃণ।
অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটের জন্য অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উপায়। এটি ঠোঁটকে হাইড্রেট করে এবং ফাটার হাত থেকে রক্ষা করে।
প্রতিদিন অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন। ঠোঁট থাকবে মসৃণ ও আর্দ্র।
শীতকালে ঠোঁট ফাঁটা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। ঠোঁটের এক্সফোলিয়েশন এই সমস্যার সমাধানে খুবই কার্যকর। এটি মৃত কোষ সরিয়ে ঠোঁটকে নরম ও মসৃণ করে। নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন ঠোঁটের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। নিচে কিছু প্রাকৃতিক স্ক্রাবের পদ্ধতি আলোচনা করা হলো।
চিনি ও মধু স্ক্রাব ঠোঁটের জন্য খুবই কার্যকর। এক চামচ চিনি ও এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ঠোঁটে আলতোভাবে ঘষুন। ২-৩ মিনিট পরে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁট নরম ও মসৃণ হবে।
ওটমিল স্ক্রাব ঠোঁটের জন্য আরেকটি ভালো সমাধান। এক চামচ ওটমিল ও এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ঠোঁটে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। ২-৩ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁটের মৃত কোষ দূর হবে ও ঠোঁট হবে কোমল।
ভিটামিন ও খনিজের গুরুত্ব: শীতে ঠোঁট ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা। ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন ও খনিজের গুরুত্ব অপরিসীম। ভিটামিন ও খনিজ শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। এগুলো ঠোঁটের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ঠোঁটের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই তেলে, বাদামে এবং সবুজ শাকসবজিতে পাওয়া যায়।
ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অত্যন্ত কার্যকর। এটি ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাছ, আখরোট এবং চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
উপাদান | সূত্র |
---|---|
ভিটামিন ই | তেল, বাদাম, সবুজ শাকসবজি |
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড | মাছ, আখরোট, চিয়া সিড |
শীতকালে ঠোঁট ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা। ঠোঁটের সংবেদনশীল ত্বক শীতে শুষ্ক হয়ে যায়। তাই শীতে ঠোঁটের সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শীতকালে ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধে সানস্ক্রিন লিপ বাম অত্যন্ত কার্যকর। সূর্যের আলোর থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করে এটি। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে।
ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধে চাদর বা স্কার্ফ ব্যবহার একটি সহজ উপায়। শীতের তীব্রতা থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করে।
শীতে ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধে এই উপায়গুলি সহজ এবং কার্যকর।
শীতে ঠোঁট ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা। ঠোঁটের যত্ন নিতে প্রাকৃতিক উপায়গুলি খুবই কার্যকর। ঠোঁটের জন্য উপকারী পানীয়গুলি আমাদের ঠোঁটকে নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি ঠোঁটের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। গ্রিন টি নিয়মিত পান করলে ঠোঁটের শুকনোভাব কমে। ঠোঁটের ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
তুলসি চা ঠোঁটের যত্নে খুবই কার্যকর। এটি ঠোঁটের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। তুলসি চায়ের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ঠোঁটের ত্বককে সুস্থ রাখে। ঠোঁটের ত্বক নরম ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
শীতে ঠোঁট ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা। ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চর্বি খাবার একটি প্রাকৃতিক সমাধান। প্রাকৃতিক চর্বি ঠোঁটের ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে। এতে ঠোঁট ফাটা কমে যায়। নিচে চর্বি খাবারের কিছু উপায় দেওয়া হলো:
অলিভ অয়েল ঠোঁটের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ঠোঁটের ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে। দৈনিক রাতে অলিভ অয়েল ঠোঁটে লাগান। এটি ঠোঁটের ত্বককে গভীরভাবে আর্দ্র করে। ঠোঁট ফাটা কমে যায়।
বাদাম খেলে ঠোঁটের ত্বক আর্দ্র থাকে। বাদাম তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। এটি ঠোঁটের ত্বককে মসৃণ ও নরম রাখে। বাদাম তেল ঠোঁটে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। বাদাম তেল ঠোঁটের ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
চর্বি খাবার | উপকারিতা |
---|---|
অলিভ অয়েল | ঠোঁটের ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে |
বাদাম | ঠোঁটের ত্বক আর্দ্র রাখে |
শীতকালে ঠোঁট ফাটা খুবই সাধারণ সমস্যা। ঠোঁটের ব্যায়াম এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। ঠোঁটের ব্যায়াম ঠোঁটের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এবং এর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। ফলে ঠোঁট ফাটা সমস্যা কমে আসে। নিচে কিছু কার্যকরী ঠোঁটের ব্যায়ামের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো।
ঠোঁটের প্রসারিতকরণ ঠোঁটের পেশীকে শক্তিশালী করে। প্রতিদিন কয়েকবার এটি করলে ঠোঁটের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ঠোঁটের প্রসারিতকরণের জন্য:
ঠোঁটের ম্যাসাজ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং শুষ্কতা কমায়। এটি ঠোঁটের ফাটা সমস্যার জন্য উপকারী। ঠোঁটের ম্যাসাজের জন্য:
এছাড়া, ঠোঁটের ফাটা সমস্যা কমাতে প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করতে পারেন।
শীতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা খুবই সাধারণ। ঠোঁটের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে সহজেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। ঠোঁট ফাটা রোধে কিছু প্রাকৃতিক উপায় নিয়মিত অনুসরণ করা উচিত।
ধূমপান ঠোঁটের শুষ্কতা বাড়ায়। ঠোঁট ফাটার অন্যতম কারণ এটি। ধূমপান ঠোঁটে কালো দাগও ফেলে। তাই ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ধূমপান থেকে দূরে থাকুন।
অতিরিক্ত লিপস্টিক ঠোঁটের আর্দ্রতা কমায়। রাসায়নিক উপাদান ঠোঁটের ক্ষতি করে। তাই অতিরিক্ত লিপস্টিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। লিপস্টিক ব্যবহারের আগে লিপ বাম লাগান। এটি ঠোঁট আর্দ্র রাখে।
শীতকালে ঠোঁট ফেটে যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। ঠোঁটের চামড়ার পুনর্গঠন প্রাকৃতিক উপায়ে সম্ভব। বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে ঠোঁটের চামড়া পুনরুদ্ধার করা যায়। এতে ঠোঁট হয় কোমল ও মসৃণ। নিচে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে আলোচনা করা হলো।
গ্লিসারিন একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি ঠোঁটের চামড়ায় আর্দ্রতা ধরে রাখে। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে গ্লিসারিন খুবই কার্যকর। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগান। এতে ঠোঁট থাকবে নরম ও ফাটবে না।
রোজ ওয়াটার ঠোঁটের চামড়া পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে। এটি ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখে। রোজ ওয়াটার ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট হয় কোমল ও মসৃণ। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে রোজ ওয়াটার ঠোঁটে লাগান। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর হবে।
শীতকালে ঠোঁট ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা। ঠোঁটের ত্বক খুবই নাজুক। শীতকালে ঠোঁট আরও শুষ্ক হয়ে যায়। ঠোঁটের ফাটার ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে আপনি সহজেই এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। ঘরোয়া প্রতিকারে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ঠোঁটের ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই কিছু কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার।
গোলাপ পাপড়ি ও দুধ ঠোঁটের জন্য খুবই উপকারী। গোলাপ পাপড়ি ঠোঁটকে নরম করে এবং দুধ ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে।
কোকো বাটার প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এটি ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে এবং ঠোঁটকে নরম রাখে।
উপাদান | ব্যবহার পদ্ধতি |
---|---|
কোকো বাটার | ঠোঁটে প্রতিদিন রাতে লাগান। |
কোকো বাটার ও মধু মিশ্রণ | ঠোঁটে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। |
Credit: sukhabor.com
শীতকালে ঠোঁট ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা। ঠোঁটের ত্বক খুবই নরম এবং সংবেদনশীল। তাই শীতে ঠোঁটের ত্বকের নরমতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোঁটের ত্বকের নরমতা বজায় রাখা সম্ভব। এতে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ্যালমন্ড অয়েল ঠোঁটের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে এ্যালমন্ড অয়েল লাগান। এতে ঠোঁট নরম এবং মসৃণ থাকবে।
ক্যাস্টর অয়েল ঠোঁটের ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর। এটি ঠোঁটের ত্বকে গভীরভাবে আর্দ্রতা প্রদান করে। এতে ঠোঁট ফাটা কমে যায়। ক্যাস্টর অয়েল ঠোঁটে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁট নরম থাকবে।
শীতের দিনে ঠোঁট ফাটা আমাদের সবার জন্যই এক বিরক্তিকর সমস্যা। তবে, ঠোঁটের ফাটার রোগ নির্ণয় সঠিকভাবে করা জরুরি। কারণ, বিভিন্ন রোগ ঠোঁট ফাটার জন্য দায়ী হতে পারে।
ঠোঁট ফাটা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ফলেও হতে পারে। এই ইনফেকশন সাধারণত ক্যানডিডা প্রজাতির ফাঙ্গাসের কারণে হয়। ঠোঁটের কোণায় সাদা রঙের পদার্থ জমা হলে তা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে।
ঠোঁট ফাটা ভাইরাল ইনফেকশনের কারণেও হতে পারে। হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস এর প্রধান কারণ। ঠোঁটের ওপরে ছোট ছোট ফোস্কা দেখা গেলে তা ভাইরাল ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে।
শীতে ঠোঁটের সংরক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে ঠোঁট ফেটে যায়। ঠোঁটের যত্ন নিতে প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করা যায়। এই উপায়গুলো সহজ এবং কার্যকর।
শীতে উষ্ণ পোশাক পরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উষ্ণ পোশাক ত্বককে ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করে। ঠোঁটের চারপাশের ত্বকও উষ্ণ থাকে। ফলে ঠোঁট শুষ্ক হয় না। শীতে উলের টুপি ও স্কার্ফ ব্যবহার করা উচিত। এগুলো ঠোঁটকে সরাসরি ঠাণ্ডা বাতাস থেকে রক্ষা করে।
ঠোঁটের আবরন ব্যবহার খুবই কার্যকর। ঠোঁটের আবরন হিসেবে লিপ বাম ব্যবহার করা যায়। লিপ বাম ঠোঁটকে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। প্রাকৃতিক লিপ বাম ব্যবহার করা ভালো। এতে কেমিক্যাল নেই। নারিকেল তেল, বাদাম তেল বা মধু ব্যবহার করা যায়। এরা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার।
উপাদান | উপকারিতা |
---|---|
নারিকেল তেল | ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ করে |
বাদাম তেল | ঠোঁট নরম করে |
মধু | ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখে |
প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার ঠোঁটের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। শীতকালে ঠোঁটের যত্ন নিতে প্রাকৃতিক উপায় খুবই কার্যকর।
শীতকালে ঠোঁট ফেটে যায়। এতে খুব কষ্ট হয়। ঠোঁটের যত্ন নিতে প্রাকৃতিক লিপ বাম ভালো কাজ করে। বাজারের লিপ বামেও কিছু সমস্যা থাকতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি লিপ বাম ব্যবহার করা সেরা উপায়। এটি আপনার ঠোঁটকে সুস্থ রাখবে। আসুন জেনে নেই কীভাবে প্রাকৃতিক লিপ বাম তৈরি করা যায়।
প্রথমে আপনাকে মোম ও তেলের মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এর জন্য ১ টেবিল চামচ মোম এবং ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল নিন। মোম গলানোর জন্য গরম পানির ওপরে একটি বাটিতে রাখুন। মোম গলে গেলে নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মিশ্রণটি ঠান্ডা হতে দিন।
ভ্যানিলা এসেন্স যোগ করলে লিপ বামের গন্ধ মনোরম হবে। মোম ও তেলের মিশ্রণে ১-২ ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স যোগ করুন। মিশ্রণটি ভালোভাবে নাড়ুন। এই প্রাকৃতিক লিপ বাম ঠোঁটকে নরম ও মসৃণ রাখবে।
শীতে ঠোঁট ফাটা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। ঠোঁটের ফাটার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজে পাওয়া অনেকের জন্য কঠিন হতে পারে। প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোঁটের যত্ন নেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নিচে কিছু টিপস দেওয়া হলো যা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান পেতে সাহায্য করবে।
ঠোঁটের ফাটা রোধে নিয়মিত যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ঠোঁট ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যেমন নারকেল তেল, শিয়া বাটার বা মধু ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ঠোঁটকে আর্দ্র রাখে এবং ফাটা ঠোঁটের সমস্যা কমায়। এছাড়া ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করতে সপ্তাহে একবার ঠোঁট স্ক্রাব ব্যবহার করুন।
ঠোঁটের ফাটা রোধে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অপরিহার্য। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। শরীর আর্দ্র রাখলে ঠোঁটও আর্দ্র থাকে। ভিটামিন এ, সি, এবং ই সমৃদ্ধ খাবার খান। এই ভিটামিনগুলো ঠোঁটের ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকুন। এই অভ্যাসগুলো ঠোঁটকে শুষ্ক করে তোলে।
শীতে ঠোঁট ফাটে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে। ঠোঁটের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
প্রতিদিন লিপ বাম ব্যবহার করুন। ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
মধু ও নারকেল তেল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। এটি ঠোঁট নরম রাখে।
ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খান। যেমন বাদাম, সবুজ শাকসবজি।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন। এটি ঠোঁট আর্দ্র রাখে ও ফাটা কমায়।
শীতে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক উপায়গুলি সত্যিই কার্যকর। মধু, নারকেল তেল, শসা এবং অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ঠোঁটকে ময়শ্চারাইজ করে ও পুষ্টি জোগায়। এছাড়া বেশি করে পানি পান করুন এবং ঠোঁট চাটবেন না। ঘরে তৈরি লিপ বাম ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিক উপাদানগুলো সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী। তাই শীতকালে ঠোঁট ফাটা এড়াতে এগুলো নিয়মিত ব্যবহার করুন। নিয়মিত যত্ন নিলে শীতে ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই।