Our Location
1310 Keraniganj, Dhaka.
Dhaka, Bangladesh.
চর্মরোগ কিসের অভাবে হয়? চর্মরোগ বা ত্বকের সমস্যা অনেক কারণেই হতে পারে। খাদ্যাভাসের অভাব, ভিটামিনের ঘাটতি, এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন কিছু সাধারণ কারণ। ত্বক আমাদের শরীরের প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর। ত্বকের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের সমস্যা হলে তা অস্বস্তি এবং অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে সঠিক পুষ্টি ও যত্ন প্রয়োজন। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব, কোন কোন অভাবে চর্মরোগ হতে পারে এবং কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায়। সঠিক তথ্য ও টিপস পেতে পড়তে থাকুন এবং আপনার ত্বককে সুস্থ রাখুন।
চর্মরোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাড়াতাড়ি শনাক্ত করলে, দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়। এতে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। নিচে চর্মরোগের কিছু সাধারণ লক্ষণ উল্লেখ করা হল।
ত্বকের শুষ্কতা চর্মরোগের একটি অন্যতম সাধারণ লক্ষণ। ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে এটি খসখসে ও অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। শুষ্ক ত্বক ফাটতে পারে এবং রক্তপাতও হতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় ভুগলে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
চুলকানি ও ত্বকে লালচে ভাব চর্মরোগের আরেকটি প্রধান লক্ষণ। ত্বক লালচে হয়ে গেলে এবং চুলকালে এটি খুবই বিরক্তিকর হয়। চুলকানি থেকে ত্বকে ঘা বা ক্ষতও হতে পারে। এ সময় ত্বকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
চর্মরোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি দ্রুত শনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করা দরকার। এতে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
পুষ্টির ঘাটতি চর্মরোগের একটি প্রধান কারণ হতে পারে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টির ঘাটতি ত্বকের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে যা জীবনকে অসহনীয় করে তোলে।
ভিটামিন ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ, সি, ই এবং ডি এর অভাবে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ ও অস্বাস্থ্যকর হয়ে যেতে পারে। ভিটামিন এ এর অভাবে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। ভিটামিন সি এর অভাবে ত্বকের প্রদাহ ও সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন ই এর অভাবে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায় এবং বলিরেখা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি এর অভাবে ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
শরীরের বিভিন্ন খনিজ উপাদানের অভাবে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও সেলেনিয়াম এর অভাবে ত্বকের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। জিঙ্ক এর অভাবে ত্বকে প্রদাহ ও ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। ম্যাগনেসিয়াম এর অভাবে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। আয়রন এর অভাবে ত্বক ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হয়। সেলেনিয়াম এর অভাবে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়।
আপনার চর্মরোগের পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, তার মধ্যে একটি প্রধান কারণ হল ভিটামিন এ এর অভাব। ভিটামিন এ ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে আমরা ভিটামিন এ এর অভাবে সৃষ্ট কিছু সাধারণ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব।
ভিটামিন এ এর অভাবে ত্বক শুষ্ক এবং অমসৃণ হতে পারে।
ত্বকে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা না থাকার কারণে ফাটল ও চুলকানি দেখা দেয়।
এটি ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়।
ভিটামিন এ এর অভাবে ত্বকের কোষ পুনরুজ্জীবিত হতে পারে না।
ভিটামিন এ এর অভাবে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে।
ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগও হতে পারে।
ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবে চর্মরোগ হতে পারে। ভিটামিন সি এর অভাবে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে চর্মরোগের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি এর অভাব মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
ভিটামিন সি এর অভাবে ঘা সারাতে সমস্যা দেখা দেয়। এটি কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। কোলাজেন ত্বকের সেল মেরামত করে। ভিটামিন সি এর অভাব হলে ঘা সারাতে সময় লাগে বেশি। ত্বক শুষ্ক ও দুর্বল হয়।
ভিটামিন সি এর অভাবে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়। এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হলে সংক্রমণ বাড়ে। ফলে চর্মরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শরীর সহজে সুস্থ হতে পারে না।
ভিটামিন ডি শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি এর অভাবে ত্বক এবং হাড়ের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ভিটামিন ডি এর অভাবে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা হলো সোরিয়াসিস। সোরিয়াসিস হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ যা ত্বকে চুলকানি, লালচে দাগ এবং খোসা উঠার সমস্যা সৃষ্টি করে।
এ রোগে আক্রান্ত হলে ত্বকের কোষগুলি দ্রুত গজায় এবং এর ফলে ত্বকে শুষ্ক ও খোসা ওঠার সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি ত্বকের কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা সোরিয়াসিস কমাতে সহায়ক।
ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়ের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে, যা হাড়ের গঠন ও মজবুত রাখতে অপরিহার্য।
ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়ের ক্ষয় (অস্টিওপরোসিস) এবং হাড়ের নরম হওয়া (অস্টিওমালেশিয়া) সমস্যা দেখা দেয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর অভাবে রিকেটস রোগ হতে পারে, যা হাড়ের বক্রতা এবং দুর্বলতা সৃষ্টি করে।
সমস্যা | লক্ষণ |
---|---|
সোরিয়াসিস | চুলকানি, লালচে দাগ, খোসা উঠা |
অস্টিওপরোসিস | হাড়ের ক্ষয়, হাড় দুর্বল হওয়া |
রিকেটস | হাড়ের বক্রতা, হাড় দুর্বলতা |
ভিটামিন ডি এর সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে নিয়মিত সূর্যালোকে থাকা এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত।
Credit: www.faisal24.com
ভিটামিন ই হল একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য। এই ভিটামিনটি শরীরের কোষগুলিকে সুরক্ষিত করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ভিটামিন ই এর অভাব হলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ত্বকের ফাটা ভিটামিন ই এর অভাবের একটি সাধারণ লক্ষণ। ভিটামিন ই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর অভাবে ত্বক শুষ্ক ও ফাটে যেতে পারে। বিশেষ করে শীতকালে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। ত্বকের ফাটা কমাতে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
ভিটামিন ই এর অভাবে ত্বকে প্রদাহ বৃদ্ধি পেতে পারে। ত্বকে লালচে ভাব, চুলকানি বা ফুসকুড়ি হতে পারে। প্রদাহ বৃদ্ধি ত্বকের সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ায়। ভিটামিন ই প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।
জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। এটি শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয়। জিংকের অভাবে শরীরে চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। এটি ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। জিংকের অভাবে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
জিংকের অভাবে চুল পড়া শুরু হতে পারে। চুলের বৃদ্ধির জন্য জিংক প্রয়োজন। এটি চুলের মূলকে মজবুত রাখে। জিংকের অভাবে চুল পাতলা হয়ে যায়। চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
জিংকের অভাবে ত্বকে আলসার হতে পারে। আলসার হল ত্বকের ক্ষত যা ধীরে ধীরে বাড়ে। জিংক ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। জিংকের অভাবে ত্বকের ক্ষত দ্রুত সারে না। ত্বকের আলসার থেকে রক্ষা পেতে জিংক প্রয়োজন।
আয়রনের অভাব শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। আয়রন একটি অপরিহার্য খনিজ যা আমাদের শরীরে রক্তের লাল কণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। আয়রনের অভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্মরোগের কারণ হতে পারে। নিচে আয়রনের অভাবে চর্মরোগের দুটি প্রধান লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে:
আয়রনের অভাবে ত্বকের রং পরিবর্তন হতে পারে। এটি সাধারণত প্যালর নামে পরিচিত।
আয়রনের অভাবে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। ফলে ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়। এর ফলে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
লক্ষণ | বিবরণ |
---|---|
শুষ্ক ত্বক | ত্বক শুষ্ক এবং খসখসে হয়ে যায়। |
চুলকানি | ত্বকে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া অনুভূতি হয়। |
আয়রনের অভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। ফলে ত্বকের কোষ গুলো পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। এর ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং চুলকানি দেখা দেয়।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব চর্মরোগ সৃষ্টির একটি প্রধান কারণ। এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এর অভাবে ত্বক ফেটে যায় এবং খসখসে হয়ে যায়।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এর অভাবে শরীরে প্রদাহ বেড়ে যায়। ত্বকে লালচে ভাব দেখা যায় এবং চুলকানি বাড়ে। প্রদাহ বৃদ্ধি ত্বকের অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করে।
Credit: www.facebook.com
প্রোটিন আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি শরীরের কোষ গঠনে ও মেরামতে সাহায্য করে। প্রোটিনের অভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে চর্মরোগ একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা।
প্রোটিনের অভাবে ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায়। ত্বক শুষ্ক ও ফাটা ফাটা হয়ে যায়। প্রোটিনের অভাবে ত্বকে প্রদাহ ও চুলকানি দেখা দিতে পারে। ত্বকের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
প্রোটিনের অভাবে নখ সহজেই ভেঙে যায়। নখ দুর্বল ও পাতলা হয়ে পড়ে। নখের রঙ পরিবর্তন হয় ও ফাঙ্গাল ইনফেকশন দেখা দেয়। নখের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি।
পানি পানের অপর্যাপ্ততা চর্মরোগের অন্যতম প্রধান কারণ। আমাদের শরীরের ত্বক সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। পানি শরীরের টক্সিন দূর করে ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে। কিন্তু পানি কম পান করলে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়।
শুষ্ক ত্বক পানি কম পান করার অন্যতম লক্ষণ। পানি কম পান করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। ফলে ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ ও খসখসে।
ফাটা ত্বকও পানি পানের অপর্যাপ্ততার ফল। পর্যাপ্ত পানি না পেলে ত্বক ফেটে যায়। বিশেষ করে ঠোঁট ও হাতের ত্বক বেশি ফাটে। ত্বকের ফাটল থেকে হতে পারে ব্যথা ও জ্বালা।
সুষম খাদ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সুষম খাদ্য অপরিহার্য। খাদ্য থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি উপাদান শরীরের বিভিন্ন কার্যকলাপ ঠিকঠাক চালাতে সহায়তা করে।
সুষম খাদ্য ত্বককে পুষ্টি সরবরাহ করে। এতে ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন থাকে।
পুষ্টি উপাদানের অভাবে ত্বক শুষ্ক ও নাজুক হয়ে পড়ে। নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণে ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকে।
সুষম খাদ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বকের বলিরেখা ও বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে।
পুষ্টি উপাদান | উপকারিতা |
---|---|
ভিটামিন সি | ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি |
ভিটামিন ই | ত্বককে ক্ষতি থেকে রক্ষা |
প্রোটিন | কোষ পুনরুদ্ধার ও মেরামত |
সুষম খাদ্য গ্রহণে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। সঠিক পুষ্টি ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখে।
পুষ্টির ঘাটতি নির্ণয় চর্মরোগের কারণ বুঝতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের পুষ্টির অভাব চর্মরোগের একটি সাধারণ কারণ। সঠিক পুষ্টি না পেলে ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায়। এটি একাধিক চর্মরোগের কারণ হতে পারে। নিচে পুষ্টির ঘাটতি নির্ণয়ের কিছু প্রধান পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে।
রক্ত পরীক্ষা পুষ্টির ঘাটতি নির্ণয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। বিভিন্ন পুষ্টির মাত্রা পরীক্ষা করার জন্য রক্তের নমুনা নেওয়া হয়। এটি দ্রুত এবং সঠিক ফলাফল দেয়। নিচে উল্লেখিত কিছু রক্ত পরীক্ষার তালিকা দেওয়া হল:
ডায়াগনস্টিক টেস্ট পুষ্টির ঘাটতি নির্ণয়ের আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি। এই টেস্টগুলি ত্বকের অবস্থা এবং পুষ্টির অভাব নির্ণয়ে সহায়ক। কিছু সাধারণ ডায়াগনস্টিক টেস্টের উদাহরণ নিচে দেওয়া হল:
প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে এই পরীক্ষাগুলি গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টি অপরিহার্য। পুষ্টির ঘাটতি নির্ণয়ে এই পদ্ধতিগুলি সহায়ক।
প্রাকৃতিক প্রতিকারের মাধ্যমে চর্মরোগ নিরাময় করা সম্ভব। চর্মরোগের পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব অন্যতম। প্রাকৃতিক উপাদান ও খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে এই অভাব পূরণ করা যায়। এতে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ফল ও সবজি চর্মরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এগুলোতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। আপেল, কমলা, গাজর, শসা ইত্যাদি। এই খাবারগুলো ত্বকের জন্য উপকারী। নিয়মিত ফল ও সবজি খেলে ত্বক সুস্থ থাকে।
জলযুক্ত খাবার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ত্বক শুষ্ক হলে চর্মরোগ হতে পারে। জলযুক্ত খাবার যেমন তরমুজ, কাকরি, টমেটো ইত্যাদি ত্বক আর্দ্র রাখে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে জলযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
চর্মরোগ নিরাময়ে খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস চর্মরোগের লক্ষণগুলি কমাতে সহায়ক। বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার চর্মরোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সুষম খাদ্যের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।
সুষম খাদ্য শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি, ফল, শস্য, প্রোটিন এবং চর্বি অন্তর্ভুক্ত করুন। এই খাদ্যগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পুষ্টিকর খাবার ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। ত্বকের সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের ক্ষতি রোধ করে। এই খাবারগুলি ফ্রি র্যাডিক্যালসের ক্ষতি কমায়। ফলমূল, সবুজ শাকসবজি, বাদাম এবং বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই খাবারগুলি ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ায়। প্রতিদিনের খাদ্যে এই খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
হ্যাঁ, ভিটামিন এবং মিনারেলের অভাবে চর্মরোগ হতে পারে। বিশেষ করে ভিটামিন ডি এবং জিঙ্ক।
চর্মরোগের প্রধান কারণ হলো পুষ্টির অভাব, অ্যালার্জি, ধুলাবালি এবং জীবাণু সংক্রমণ।
তাজা ফল, শাকসবজি, মাছ, এবং বাদাম খাওয়া উচিত। ভিটামিন ডি এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার।
ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই-এর অভাবে চর্মরোগ হতে পারে।
হ্যাঁ, হলুদ, নিমপাতা এবং মধু ব্যবহারে চর্মরোগ কমাতে পারে। নিয়মিত ব্যবহারে উপকার হয়।
চর্মরোগের কারণ হতে পারে পুষ্টির অভাব। সঠিক খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি দূর করতে হবে। ত্বকের যত্ন নিতে হবে নিয়মিত। পর্যাপ্ত পানি পান করাও প্রয়োজন। ত্বক সুস্থ রাখতে সঠিক পরিমাণে ঘুম জরুরি। ত্বকের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ত্বককে সুস্থ রাখে। চর্মরোগ থেকে মুক্ত থাকতে সচেতন থাকুন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। ত্বকের যত্নে সঠিক পুষ্টি ও যত্নই মূলমন্ত্র।