Our Location
1310 Keraniganj, Dhaka.
Dhaka, Bangladesh.
আপনি কল্পনা করুন এমন একটি জীবন যেখানে আপনি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে পারেন—স্বাস্থ্যগত সমস্যার ভয় ছাড়াই। এই জীবনে আপনার কিডনির স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আপনার মনে হতেই পারে, “কিডনি রোগ কি ভাল হয়?” অথবা “Can kidney diseases be cured?” — এই প্রশ্নটি অনেকের জীবনের সঙ্গে জড়িত, হয়তো আপনার কিংবা আপনার কোনো প্রিয়জনের। কিডনি স্বাস্থ্যের পথে সঠিক জ্ঞান আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে এবং আপনার সুস্থতার পথকে সহজ করতে পারে।
এই লেখায় আপনি জানতে পারবেন কিডনি রোগ সম্পর্কে সত্য, সম্ভাব্য চিকিৎসার উপায় এবং কার্যকর জীবনধারার পরিবর্তনগুলো। চলুন, শুরু করি এক স্বাস্থ্যকর জীবনের দিকে যাত্রা—যেখানে আপনার জ্ঞান হবে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। পড়ে যান এবং আবিষ্কার করুন কিডনি স্বাস্থ্য রক্ষার গোপন রহস্য, যা আপনাকে দিতে পারে নতুন আশার আলো এবং সুস্থতার সম্ভাবনা।
কিডনি রোগ একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যা অনেকের জীবনে বিপদ বয়ে আনে। কিডনি রোগের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে এবং প্রতিটি প্রকারের নিজস্ব লক্ষণ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি থাকে। কিডনি রোগের প্রকার বুঝে সঠিক চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি সুস্থতা বজায় রাখা এবং কিডনি রোগ প্রতিরোধ করতে সঠিক তথ্য জানা প্রয়োজন।
এক্সেসিভ প্রোটিনুরিয়া হল একটি অবস্থা যেখানে প্রস্রাবে অতিরিক্ত প্রোটিনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এটি কিডনি ফাংশনে সমস্যা নির্দেশ করে। সাধারণত কিডনি ফিল্টার করে প্রোটিন রক্তে রেখে দেয়। কিন্তু কিডনির সমস্যা হলে প্রোটিন প্রস্রাবে মিশে যায়।
এই অবস্থার চিকিৎসার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং কিডনি সুস্থতা বজায় রাখা জরুরি। কিডনি চিকিৎসা প্রোটিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। জলপান পরিমাণ বাড়িয়ে কিডনি ফাংশন উন্নত করা যায়।
ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা যা কিডনি ধীরে ধীরে কাজ করতে অক্ষম হয়। এটি কিডনি সুস্থতা হ্রাস করে এবং প্রায়ই ডায়ালিসিস প্রক্রিয়া প্রয়োজন হয়।
কিডনি রোগের লক্ষণগুলির মধ্যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা, ক্লান্তি এবং মূত্রের পরিবর্তন রয়েছে।
লক্ষণ | কারণ |
---|---|
উচ্চ রক্তচাপ | কিডনি ফাংশন হ্রাস |
ক্লান্তি | রক্তে বর্জ্য জমা |
কিডনি রোগ প্রতিরোধ করতে কিডনি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা অপরিহার্য।
অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি একটি হঠাৎ সমস্যা যা কিডনি ফাংশন দ্রুত হ্রাস করে। এটি সাধারণত কিডনির রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হলে হয়।
এই অবস্থার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
এই অবস্থার চিকিৎসা প্রাথমিকভাবে দ্রুত শুরু করা উচিত। জলপান পরিমাণ বাড়ানো এবং কিডনি চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে এই অবস্থা প্রতিরোধ করা যায়।
কিডনি রোগ, একটি নীরব ঘাতক, প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণ ও উপসর্গগুলি প্রায়ই অদৃশ্য থাকে। কিন্তু এই রোগ প্রতিরোধের জন্য কিডনি সুস্থতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি ব্যাধি সাধারণত মূত্রপ্রবাহ সমস্যার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। কিডনি ফাংশন যদি ঠিকমত কাজ না করে, তখন শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
শক্তি হ্রাস কিডনি রোগের অন্যতম সাধারণ লক্ষণ। কিডনি সুস্থতা বজায় রাখতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সঠিক কাজ করা প্রয়োজন। কিডনি ফাংশন ঠিকমত না হলে, শরীরের শক্তি কমে যায়।
কিডনি ব্যাধির সময় শরীরে টক্সিন জমা হতে পারে। এটি শক্তি হ্রাসের কারণ হতে পারে। কিডনি চিকিৎসা শুরু করলে এই সমস্যা কমতে পারে। টেবিলে কিডনি রোগের কারণে শক্তি হ্রাসের সাধারণ লক্ষণগুলি দেখানো হলো:
লক্ষণ | বর্ণনা |
---|---|
অতিরিক্ত ক্লান্তি | সারা দিন ক্লান্তি অনুভব করা |
পরিশ্রম করতে অসুবিধা | মাল্টিটাস্কিং করতে সমস্যা |
মেজাজ পরিবর্তন | সামান্য কারণে মেজাজের পরিবর্তন |
ফুলে যাওয়া কিডনি ব্যাধির আরেকটি লক্ষণ। কিডনি ফাংশন দুর্বল হলে, শরীরে অতিরিক্ত জল জমা হতে পারে। এটি শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যেতে পারে।
ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। কিডনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত জরুরি। নিচের টেবিলে ফুলে যাওয়ার সাধারণ লক্ষণগুলি দেখানো হয়েছে:
লক্ষণ | বর্ণনা |
---|---|
পায়ে ফোলা | পায়ের গোড়ালি এবং পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া |
মুখে ফোলা | চোখের নিচে ফুলে যাওয়া |
পেটে ফোলা | পেটের নিচের অংশ ফুলে যাওয়া |
মূত্রের পরিবর্তন কিডনি রোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ। কিডনি ফাংশন দুর্বল হলে, মূত্রপ্রবাহ সমস্যায় পড়তে পারেন। এটি কিডনি স্বাস্থ্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত দেয়।
কিডনি চিকিৎসা শুরু করলে এই সমস্যার উন্নতি হতে পারে। কিডনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এসব লক্ষণগুলি উপেক্ষা করবেন না। টেবিলের মাধ্যমে মূত্রের পরিবর্তনের লক্ষণগুলি দেখানো হলো:
লক্ষণ | বর্ণনা |
---|---|
মূত্রের রং পরিবর্তন | মূত্রের রং গাঢ় হওয়া |
মূত্রের গন্ধ পরিবর্তন | মূত্রের গন্ধ তীব্র হওয়া |
মূত্রের পরিমাণে পরিবর্তন | মূত্রের পরিমাণ কমে যাওয়া |
কিডনি রোগ কি ভাল হয়? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই থাকে। কিডনি রোগের কারণ জানতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে নজর দিতে হয়। ক্রনিক কিডনি রোগের মূল কারণগুলি হলো ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন এবং জেনেটিক ফ্যাক্টর। কিডনি রোগের লক্ষণগুলি প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করতে পারলে রোগের চিকিৎসা সহজ হয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে কিডনি রোগ হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ রক্তশর্করা কিডনি ফাংশন নষ্ট করে। কিডনি ফেলিওর-এর জন্য ডায়াবেটিস অন্যতম কারণ। ডায়াবেটিস থাকলে কিডনি স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
ফ্যাক্টর | প্রভাব |
---|---|
উচ্চ রক্তশর্করা | কিডনি ফাংশন নষ্ট |
অপর্যাপ্ত ডায়েট | কিডনি স্বাস্থ্য ক্ষতি |
হাইপারটেনশন এবং কিডনি রোগের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ফাংশন নষ্ট করতে পারে। কিডনি ফেলিওর-এর অন্যতম কারণ হলো হাইপারটেনশন। কিডনি স্বাস্থ্য রক্ষায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি।
ফ্যাক্টর | প্রভাব |
---|---|
উচ্চ রক্তচাপ | কিডনি ফাংশন নষ্ট |
অপর্যাপ্ত চিকিৎসা | কিডনি স্বাস্থ্য ক্ষতি |
জেনেটিক প্রভাব কিডনি রোগের কারণ হতে পারে। পারিবারিক ইতিহাস কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। জেনেটিক ফ্যাক্টর কিডনি ফাংশন নষ্ট করতে পারে। কিডনি রোগের লক্ষণগুলি প্রথম থেকেই সনাক্ত করতে পারলে, কিডনি চিকিৎসা সহজ হয়।
ফ্যাক্টর | প্রভাব |
---|---|
জেনেটিক প্রভাব | কিডনি ফাংশন নষ্ট |
পারিবারিক ইতিহাস | কিডনি রোগের ঝুঁকি |
কিডনি রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নানা ধরনের উপায় রয়েছে। কিডনি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। কিডনি চিকিৎসা পদ্ধতি মূলত তিনটি প্রধান উপায়ে বিভক্ত: মেডিকেশন, ডায়ালিসিস এবং কিডনি প্রতিস্থাপন। প্রতিটি পদ্ধতির নিজস্ব গুরুত্ব এবং কার্যকারিতা রয়েছে।
কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার জন্য মেডিকেশন বা ওষুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্রনিক কিডনি রোগের লক্ষণ কমাতে এবং কিডনি ফাংশন ঠিক রাখতে এই পদ্ধতি কার্যকর।
একটি টেবিলে কিছু সাধারণ ওষুধ এবং তাদের কাজ উল্লেখ করা হলো:
ওষুধের নাম | কাজ |
---|---|
এনালাপ্রিল | ব্লাড প্রেসার কমানো |
লিসিনোপ্রিল | প্রোটিনুরিয়া নিয়ন্ত্রণ |
মেটফরমিন | ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ |
মেডিকেশন কিডনি চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কিডনি স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং কিডনি ফাংশন উন্নত করতে সহায়ক।
কিডনি ডায়ালিসিস প্রক্রিয়া কিডনি ক্ষতি হলে কিংবা কিডনি ফাংশন কাজ না করলে ব্যবহৃত হয়। এটি কিডনি পুনর্বাসনের একটি পদ্ধতি।
ডায়ালিসিসের দুটি প্রধান প্রকার:
ডায়ালিসিস কিডনি রোগীদের জন্য একটি জীবনরক্ষাকারী পদ্ধতি। এটি কিডনি ডায়ালিসিস প্রক্রিয়া অনুসারে রোগীর কিডনি ফাংশন উন্নত করতে সহায়ক।
কিডনি প্রতিস্থাপন কিডনি রোগের চিকিৎসায় একটি চূড়ান্ত পদ্ধতি। এটি কিডনি প্রতিস্থাপন সফলতা নিশ্চিত করতে সক্ষম।
কিডনি প্রতিস্থাপন পদ্ধতির কিছু ধাপ:
কিডনি প্রতিস্থাপন সফলতা রোগীর জীবন মান উন্নত করতে সহায়ক। এটি কিডনি চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
Credit: www.bbc.com
কিডনি রোগের প্রতিকার ও কিডনি ফাংশন উন্নতির জন্য প্রতিরোধের উপায়গুলো জানা গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগেই স্বাস্থ্যকর জীবনশৈলী গ্রহণ করতে হবে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা কিডনি স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা কিডনি রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য তালিকায় ফলমূল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এগুলো কিডনি ফাংশন উন্নতি করে।
জলপান এবং কিডনির স্বাস্থ্য সম্পর্ক গভীর। পর্যাপ্ত জলপান কিডনি থেকে বর্জ্য দূর করে। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল পান করা উচিত।
খাদ্য উপাদান | কিডনির জন্য উপকারী |
---|---|
ফলমূল | পটাশিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ |
সবজি | ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ |
নিয়মিত ব্যায়াম কিডনি ফাংশন উন্নতির জন্য অপরিহার্য। ব্যায়ামের উপকারিতা কিডনি স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
হাঁটা, যোগব্যায়াম বা সাইক্লিং কিডনি ফাংশন উন্নত করে। সপ্তাহে ৩-৫ দিন ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার গুরুত্ব কিডনি রোগের লক্ষণ দ্রুত শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কিডনি রোগের লক্ষণ দ্রুত ধরা পড়ে। ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা কিডনি ফাংশন উন্নতি নিশ্চিত করে। কিডনি স্বাস্থ্য বজায় রাখতে মাসে একবার পরীক্ষা করা উচিত।
কিডনি রোগ কি ভাল হয়? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশে নির্ভর করে জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের উপর। কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে লাইফস্টাইল পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া কিডনি ফাংশন পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। ন্যাচারাল রেমেডি এবং ডায়ালিসিসের পাশাপাশি জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন কিডনি স্বাস্থ্যকে দীর্ঘমেয়াদে রক্ষা করতে পারে।
কিডনি স্বাস্থ্য বজায় রাখতে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত স্ট্রেস কিডনি ফেইলিউর এর সম্ভাবনা বাড়ায় এবং কিডনি ফাংশন ক্ষতিগ্রস্ত করে। স্ট্রেস কমাতে কিছু কার্যকর পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলো:
এছাড়াও, সামাজিক সংযোগ এবং সঠিক সময়ে বিশ্রাম নেওয়া স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে সহায়ক। একটি সুখী ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য স্ট্রেস কমাতে লাইফস্টাইল পরিবর্তন অপরিহার্য।
সুস্থ কিডনি ফাংশনের জন্য সঠিক ঘুমের অভ্যাস অপরিহার্য। অপর্যাপ্ত ঘুম কিডনি ফেইলিউর এর ঝুঁকি বাড়ায়। ঘুমের অভ্যাস উন্নত করার জন্য কিছু কার্যকর পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলো:
একটি স্বাস্থ্যকর ঘুমের অভ্যাস কিডনি রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং কিডনি স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে।
কিডনি রোগ প্রতিরোধে হাইড্রেশন অর্থাৎ পর্যাপ্ত জলপান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জল কিডনি থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করে এবং কিডনি ফাংশন উন্নত করে।
একটি স্বাস্থ্যকর হাইড্রেশন অভ্যাস কিডনি রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। জলপান কিডনি ফাংশন উন্নত করে এবং কিডনি ফেইলিউর এর ঝুঁকি কমায়।
কিডনি রোগ কি ভাল হয়? এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই আসে। কিডনি রোগের কারণে দৈনন্দিন জীবনে অনেক সমস্যা হতে পারে। ভবিষ্যতের আশা এই রোগের চিকিৎসায় নতুন দিক উন্মোচন করছে। গবেষণা এবং প্রযুক্তি ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে, যা কিডনি রোগের চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে।
চিকিৎসা গবেষণা ক্রমাগত কিডনি রোগের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি এবং সমাধান খুঁজছে। নেফ্রোলজি বিভাগে গবেষণা কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। কিডনি রোগের লক্ষণ এবং কিডনি রোগের কারণ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। এই গবেষণা কিডনি প্রতিস্থাপনে নতুন প্রযুক্তি এবং কিডনি ডায়ালিসিস প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটাচ্ছে।
গবেষণা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি:
নতুন গবেষণার ফলাফল কিডনি স্বাস্থ্য রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখছে। কিডনি রোগের চিকিৎসায় এই অগ্রগতি গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন চিকিৎসা প্রযুক্তি কিডনি চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনছে। কিডনি ডায়ালিসিস এবং কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নতি দ্রুত ঘটছে। চিকিৎসকরা কিডনি রোগীদের জন্য নতুন পদ্ধতি এবং সরঞ্জাম তৈরি করছেন।
নতুন প্রযুক্তির কিছু উদাহরণ:
এই প্রযুক্তি কিডনি রোগের প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় সাহায্য করছে। কিডনি চিকিৎসায় প্রযুক্তি নতুন আশার আলো আনছে। কিডনি রোগীরা এর ফলে আরও উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন।
Credit: www.carehospitals.com
কিডনি রোগ সম্পূর্ণ ভালো হওয়া কঠিন, তবে সঠিক চিকিৎসা ও জীবনশৈলী পরিবর্তনে উন্নতি সম্ভব। প্রাথমিক স্তরে ধরা পড়লে নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত পানি পান কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক।
কিডনি ভালো রাখতে প্রচুর পানি পান করুন। তাজা ফল, সবজি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খান। কম লবণ এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার পরিহার করুন। বাদাম, দই, পুরো শস্য এবং সবুজ শাকসবজি উপকারী। চিনি ও প্রসেসড খাবার কম খান।
কিডনি রোগ ভালো করতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং লবণ কম খান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ধূমপান এবং অ্যালকোহল পরিহার করুন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
কিডনি রোগীদের জন্য হালকা ব্যায়াম ভালো। হাঁটা, যোগব্যায়াম, এবং সাইকেল চালানো উপকারী হতে পারে। ব্যায়াম শুরু করার আগে ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অতিরিক্ত ক্লান্তি এড়িয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
কিডনি রোগের চিকিৎসা সম্ভব হলেও, এটি সময়সাপেক্ষ। নিয়মিত চিকিৎসা প্রয়োজন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত জল পান করা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সচেতন থাকলে অনেক ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। জীবনযাত্রার মান উন্নত করলে সুস্থ থাকা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন। রোগমুক্ত জীবন যাপনের জন্য সচেতন হোন। কিডনি রোগ নিয়ে চিন্তিত হলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। নিয়ম মেনে চললে কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। সুস্থ থাকুন, সতর্ক থাকুন।