Our Location
1310 Keraniganj, Dhaka.
Dhaka, Bangladesh.
ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপে ভুগছেন? চিন্তা করবেন না, আপনি একা নন। অনেকেই এই রোগের কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু আপনার জন্য সুখবর হচ্ছে, সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আপনি দ্রুত সুস্থতা লাভ করতে পারেন। আপনি কি জানেন, কোন খাবারগুলো আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে?
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে, তা জানতে হলে পুরো লেখাটি পড়ুন। আপনি যখন আপনার খাদ্য তালিকায় সঠিক খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করবেন, তখন আপনার শরীর দ্রুত সুস্থ হতে শুরু করবে। আজ আমরা আপনাকে সেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে যাচ্ছি যা আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক হবে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীর যত্নে পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা চলাকালীন, রোগীর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দ্রুত শক্তি পেতে প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার। ডেঙ্গু জ্বরের উপশমের জন্য সঠিক পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।
ডেঙ্গু জ্বরের খাবার হিসেবে কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় মিষ্টি খাবার গুরুত্বপূর্ণ। মিষ্টি খাবার শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে।
ভিটামিন সি ডেঙ্গু জ্বরের উপশমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে।
সময় | খাবার |
---|---|
সকাল | লেবুর রস ও গ্লুকোজ পানীয় |
দুপুর | ফলের রস ও মধু |
রাত | ইলেকট্রোলাইট পানীয় ও মিষ্টি খাবার |
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা করতে গেলে সঠিক তরল গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ যেমন জ্বর, মাথাব্যথা, এবং শরীরের ব্যথা কমাতে তরল খাবার খুব উপকারী হতে পারে। শরীরের যত্ন নেওয়ার সময়, তরল গ্রহণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। স্বাস্থ্যকর পানীয় যেমন পানি, নুন চা, এবং ফলের জুস ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার হিসেবে কাজ করতে পারে। এগুলো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে এবং ডেঙ্গু রোগের খাবার হিসেবে পুষ্টি সরবরাহ করে।
পানি হলো ডেঙ্গু জ্বরের সময় শরীরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তরল। পর্যাপ্ত পানি পান শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে সহায়ক। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ যেমন তৃষ্ণা, মাথাব্যথা, এবং ক্লান্তি কমাতে পানি খুবই কার্যকর।
পানির বিভিন্ন ধরণের ব্যবহার:
পানির ধরণ | উপকারিতা |
---|---|
সাধারণ পানি | প্রাকৃতিকভাবে হাইড্রেশন প্রদান করে। |
লেবুর পানি | ভিটামিন সি সরবরাহ করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। |
ডেঙ্গু জ্বরের সময় নুন চা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডেঙ্গুর লক্ষণ কমাতে নুন চা উপকারী।
নুন চা তৈরির উপায়:
ডেঙ্গু জ্বর হলে ফলের জুস অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি শরীরের জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে কাজ করে। ফলের জুস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
পুষ্টিকর ফলের তালিকা:
ফলের নাম | উপকারিতা |
---|---|
কমলার জুস | ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। |
পেঁপের জুস | শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। |
ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরকে দ্রুত সুস্থ করতে সঠিক খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। এই ধরনের খাবার রোগ প্রতিকার ও প্রাকৃতিক চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিনযুক্ত খাবার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি পুষ্টি বৃদ্ধি করে, যা জ্বরের সময় শরীরকে হাইড্রেশন রাখতে সাহায্য করে।
ডেঙ্গু জ্বরের সময় ফল খুবই উপকারী। এগুলো প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন দিয়ে ভরপুর।
ফল | ভিটামিন |
---|---|
পেঁপে | ভিটামিন সি, এ |
কমলা | ভিটামিন সি |
কলা | ভিটামিন বি৬ |
সবজি ভিটামিন সমৃদ্ধ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহায়ক। এগুলো শরীরের পুষ্টি বাড়ায়।
ভিটামিন সমৃদ্ধ সবজি খেলে জ্বরের সময় শরীরের শক্তি বাড়ে। এগুলো প্রাকৃতিক চিকিৎসায় সহায়ক।
কাঁচামরিচ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার। এটি ডেঙ্গু রোগ প্রতিকার করতে সহায়ক।
কাঁচামরিচে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পুষ্টি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ডেঙ্গু জ্বরের সময় কাঁচামরিচের ভিটামিন শরীরকে শক্তি দেয়। এটি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা জরুরি। প্রোটিনের উৎসের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু খাবার যা শরীরকে শক্তি দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মুরগির মাংস, ডিম, এবং মাছ রোগীর পুষ্টি এবং শক্তি যোগাতে সহায়ক। এই খাবারগুলি রোগীর শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, যা ডেঙ্গু জ্বরের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মুরগির মাংস প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস, যা ডেঙ্গু জ্বরের সময় শরীরের শক্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে। মুরগির মাংসে উপস্থিত প্রোটিন শরীরের কোষ পুনর্গঠন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। মুরগির স্যুপ বিশেষত তরল খাবার হিসেবে ডেঙ্গু রোগীর জন্য আদর্শ।
প্রোটিন | ভিটামিন | খনিজ |
---|---|---|
উচ্চ | বিভিন্ন | আয়রন, জিঙ্ক |
ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। ডিমে প্রোটিন ছাড়াও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন থাকে, যা শরীরের পুষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডিম সহজে রান্না করা যায় এবং রোগীর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
ডিম নাশতা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে, যা রোগীর শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক।
মাছ প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা ডেঙ্গু জ্বরের সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। মাছের প্রোটিন কোষের গঠন ও মেরামতে সহায়ক। বিশেষত মাছে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
মাছের বিভিন্ন প্রকার যেমন রুই, কাতলা, এবং ইলিশ রোগীর পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। মাছের তরকারি বা স্যুপ রোগীর হাইড্রেশন বজায় রাখতে সহায়ক।
ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। রোগ প্রতিরোধক খাবার গ্রহণ করলে শরীরের অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধি পায়, যা ডেঙ্গু রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন রসুন, আদা, এবং হলুদ প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। এই খাদ্য তালিকা আপনাকে ডেঙ্গু জ্বরের সময় ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে।
রসুনের উপকারিতা ডেঙ্গু জ্বরের সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরকে ভাইরাসের প্রভাব থেকে রক্ষা করে। রসুনের ব্যবহার নিয়মিত করলে ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ কমে যেতে পারে।
রসুনের উপকারিতা:
রসুন খাওয়ার উপায়:
খাওয়ার সময় | মাত্রা |
---|---|
সকালে খালি পেটে | একটি বা দুটি কাঁচা |
সঙ্গে খাদ্য | রান্নায় ব্যবহার |
আদার গুণ অনেক। আদা ডেঙ্গু জ্বরের সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে কার্যকর। আদায় থাকা অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আদার ব্যবহার নিয়মিত করলে শরীরের ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ বাড়ে।
আদার গুণ:
আদা খাওয়ার উপায়:
হলুদের ব্যবহার ডেঙ্গু জ্বরের সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হলুদে থাকা কারকিউমিন উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করতে সহায়তা করে। হলুদের ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ এবং ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর।
হলুদের গুণ:
হলুদ খাওয়ার উপায়:
খাওয়ার সময় | মাত্রা |
---|---|
খাবারে যোগ করুন | এক চা চামচ |
হলুদ দুধ | এক কাপ |
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা করতে গেলে খাবারের রন্ধন প্রণালী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সঠিক পুষ্টিকর খাবার বেছে নিতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরের উপশমে সাহায্যকারী প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, ফলমূল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। হাইড্রেশন বজায় রাখতে এবং ডেঙ্গু জ্বরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
সিদ্ধ করা খাবার ডেঙ্গু জ্বরের খাদ্য তালিকায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। সিদ্ধ খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় সিদ্ধ খাবার প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ হতে পারে।
একটি টেবিলের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বরের উপযোগী সিদ্ধ খাবার দেওয়া হলো:
খাবারের নাম | পুষ্টির উপাদান |
---|---|
সিদ্ধ ডিম | প্রোটিন, ভিটামিন বি |
মুরগির মাংস | প্রোটিন, ভিটামিন বি৬ |
গাজর | ভিটামিন এ, ফাইবার |
পোড়ানো খাবার ডেঙ্গু জ্বরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। পোড়ানো খাবারে থাকে পুষ্টিকর উপাদান যা শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে।
যে পোড়ানো খাবার ডেঙ্গু জ্বরের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:
খাবারের নাম | পুষ্টির উপাদান |
---|---|
পোড়ানো মুরগি | প্রোটিন, ভিটামিন বি৬ |
পোড়ানো মাছ | ওমেগা-৩, প্রোটিন |
পোড়ানো আপেল | ভিটামিন সি, ফাইবার |
ডেঙ্গু জ্বরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে খাবারের রন্ধন প্রণালীতে পরিবর্তন আনা জরুরি। কিছু খাবার ডেঙ্গু জ্বরের উপশমে সহায়তা করে, আবার কিছু খাবার বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে।
কিছু খাবার যা এড়িয়ে চলা উচিত:
পুষ্টিকর খাবার যা উপকারী:
ডেঙ্গু জ্বরের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানোর জন্য খাদ্য তালিকা:
খাবারের নাম | উপযোগিতা |
---|---|
ফলমূল | ভিটামিন সি বৃদ্ধি, হাইড্রেশন |
সবজি | পুষ্টি বৃদ্ধি, ফাইবার |
ডেঙ্গু জ্বর হলে আহার পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং দ্রুত সুস্থতা পেতে সঠিক খাবার খাওয়া জরুরি। পুষ্টিকর খাবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা যায়। জলীয় পদার্থ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করা যায়।
ডেঙ্গু জ্বরের সময় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য শরীরের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। মুরগির মাংস ও ডাল ভালো প্রোটিনের উৎস। এগুলো হালকা খাবার হিসাবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি অপরিহার্য। লেবু, কমলা এবং আমলকী খাওয়া যেতে পারে। এগুলো স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ডিহাইড্রেশন এড়াতে জলীয় পদার্থ গ্রহণ জরুরি। পানি, স্যুপ এবং ফলের রস খাওয়া উপকারী। এগুলো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে হালকা খাবার খাওয়া উচিত। বিরিয়ানি বা মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। ভাত, সেদ্ধ সবজি এবং ফল শরীরের জন্য সহজপাচ্য।
খাবার প্রকার | উপকারীতা |
---|---|
প্রোটিন সমৃদ্ধ | শরীরের পুনর্গঠন |
ভিটামিন সি | প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি |
জলীয় পদার্থ | ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ |
হালকা খাবার | সহজপাচ্য |
Credit: www.ric-bd.org
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাইরাসজনিত রোগের সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। কিন্তু কিছু খাবার আছে যা এ সময় বর্জন করা উচিত। ডেঙ্গু জ্বরের সময়ে খাবার বর্জন করলে শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের সময়ে তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তেলযুক্ত খাবার হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং শরীরের প্রদাহ বাড়াতে পারে।
এই খাবারগুলো খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
তেলযুক্ত খাবার | কারণ |
---|---|
ভাজা খাবার | হজমে সমস্যা |
তেলে ভাজা মাংস | প্রদাহ বৃদ্ধি |
স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন করুন যা সহজে হজম হয়। ফলের রস, শাকসবজি এবং স্যুপ ডেঙ্গু জ্বরের সময়ে উপকারী হতে পারে।
মিষ্টি খাবার ডেঙ্গু জ্বরের সময়ে এড়িয়ে চলা উচিত। অতিরিক্ত চিনি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
মিষ্টি খাবার খেলে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
মিষ্টি খাবার | কারণ |
---|---|
চকলেট | শর্করার বৃদ্ধি |
কেক | রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া |
ডেঙ্গু জ্বরের সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। ফলের রস এবং জলপান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডেঙ্গু জ্বরের সময় অ্যালকোহল পান করা উচিত নয়। অ্যালকোহল শরীরের প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যালকোহল | কারণ |
---|---|
বিয়ার | প্রদাহ বৃদ্ধি |
ওয়াইন | পানিশূন্যতা |
শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে জলপান এবং ফলের রস পান করা উচিত। এই স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পানীয় চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় সহায়ক হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরে পুষ্টিকর খাবার যেমন ফল, শাকসবজি, স্যুপ এবং তরল খাবার খাওয়া উচিত। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
ডেঙ্গু জ্বর হলে দুধ খাওয়া যেতে পারে। দুধ শরীরকে শক্তি এবং পুষ্টি দেয়। তবে, অতিরিক্ত না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। জল বেশি পান করুন এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।
জ্বর হলে ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে। এটি শরীরকে হাইড্রেট করে এবং প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট সরবরাহ করে। ডাবের পানিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারাল থাকে, যা জ্বরের সময় শরীরকে শক্তি দেয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডেঙ্গু হলে প্রতিদিন অন্তত ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিত। শরীর হাইড্রেটেড রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া, বমি বা ডায়রিয়া হলে আরও বেশি পানি পান করা প্রয়োজন।
ডেঙ্গু জ্বরের সময় সঠিক খাবার খাওয়া দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। প্রথমে শরীরকে হাইড্রেট রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর পরিমাণে পানি এবং তাজা ফলের রস পান করুন। স্যুপ ও ঝোল জাতীয় খাবার পুষ্টি দেয় এবং আরামদায়কও বটে। হালকা ও পুষ্টিকর খাবার যেমন খিচুড়ি বা সেদ্ধ সবজি খান। এসব খাবার সহজে হজম হয় এবং পেটের জন্যও উপকারী।
তেল-মসলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন, এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশ্রাম খুবই জরুরি—এটি সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ব্যক্তিগত পরামর্শের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে সব সময় অগ্রাধিকার দিন। সাধারণ কিছু খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন দ্রুত আরোগ্যে সহায়তা করতে পারে। সচেতন থাকুন এবং নিজের যত্ন নিন।